বাড়ি কেনার লোনের ইন্টারেস্ট রেট অনেক দিনই ধরেই বেশি। এটি আশানুরূপভাবে কমছে না। এই রেট কমার জন্য অনেকেই অপেক্ষায় থেকে বাড়ি কিনতে পারছেন না। যদিও আগের তুলনায় আস্তে আস্তে ইন্টারেস্ট রেট কিছুটা কমেছে। আগে ছিল ৭ শতাংশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬.৫ শতাংশ চলছে। ইন্টারেস্ট রেট কত হবে, এটি সাধারণত নির্ভর করে আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর, ইনকাম, তার সম্পদ, দায় দেনা, তার লোনের পরিমাণসহ আর্থিক অন্যান্য বিষয়ের ওপর। এ অবস্থায় কারও লোনের ইন্টারেস্ট রেট একটু বেশি হয়, কারও-বা কম। সব মিলিয়েই বলা যায়, ইন্টারেস্ট রেট কমতে একটু সময় লাগবে। এই সরকারের আমলে তা কমবে না, এটি নিশ্চিত। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তা আরও কমতে পারে। এ জন্য অন্তত অপেক্ষা করতে হবে ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। এই খাত সম্পর্কে তার অত্যন্ত ভালো ও নিখুঁত ধারণা রয়েছে। তিনি জানেন ও বোঝেন, কীভাবে এই খাতকে আরও বেশি চাঙা করা যায়। এ জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
এ বিষয়ে এক্সিট রিয়েলটি প্রাইমের ব্রোকার মোহাম্মদ জামান মজুমদার বলেন, এখন রিয়েল এস্টেট খাতের ব্যবসা অত ভালো নয়। কারণ এখানে ইনভেন্টরি কম আর বায়ার বেশি। বায়ার বেশি হওয়ার কারণে বাড়ি ও কন্ডোমোনিয়ামের দাম কমছে না। কো-অপের দাম কম হলেও এটির দাম সহজে বাড়ে না। ফলে চাইলেই কো-আপের দাম বাড়বে না। অন্যদিকে কন্ডো ও বাড়ির দাম এখন বেশিই আছে, সেই সঙ্গে ইন্টারেস্ট রেটও তুলনামূলক বেশি। তবে বাজারে যখন ইন্টারেস্ট রেট কমবে, তখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন হবে। ওই সময়ে কিন্তু আর বাড়ির দাম কম থাকবে না। ইন্টারেস্ট রেট কমে গেলে বাজারে আর বায়ার আসবে। বায়ার বেশি এলে তখন প্রতিযোগিতাও বাড়বে। ফলে বাড়ির দাম বাড়বে।
তিনি বলেন, আমরা এর পরও ক্রেতাকে বলব, যারা অনেক দিন ধরেই বাড়ি কেনার জন্য অপেক্ষা করছেন, তারা আগামী জানুয়ারি মাসের দিকে বাড়ি দেখা শুরু করতে পারেন। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের দিকে বাড়ি পছন্দ করে চুক্তি করে ফেলবেন। এতে করে বাড়িটি নাগালের দামের মধ্যেই পাওয়া যাবে। আমরা আশা করছি, আগামী বছরের শুরুতে লোনের ইন্টারেস্টের পরিমাণ কমে আসবে। তবে ঠিক জানি না, এই লোনের ইন্টারেস্টের পরিমাণ কমে ৪ শতাংশে আসবে কি না। যদি ৪ শতাংশে আসে, তাহলে সবার জন্য ব্যবসাও ভালো হবে। যদি ৫ শতাংশও হয়, তাহলেও অন্তত পছন্দের ও মনের মতো বাড়ি হলে বুকিং দেওয়া উচিত।
মোহাম্মদ জামান মজুমদার আরও বলেন, এখন মার্কেটে বাড়ি কম। বাড়ির দামও কম নয়। এর পরও কিন্তু ক্রেতা বেশি। যারা বড়ি কেনার, তারা কখনোই বসে থাকেন না। এখন আবার অনেকেই লং আইল্যান্ড, সাউথ জ্যামাইকার দিকে বাড়ি কিনছেন। এই এলাকাগুলোতে দাম তুলনামূলক কম। যারা সিটির ভেতরে বাসাবাড়ি কিনতে পারছেন না, তারা একটু দূরে হলেও অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিচ্ছেন।
তিনি জানান, বাড়ি কেনার ব্যাপারে কারও কারও আবার অনীহাও আছে। এর কারণ, বাড়ির গার্বেজ পরিষ্কার করা, কিছু নষ্ট হলে নিজে ঠিক করানো অথবা মিস্ত্রিকে কল করা, ভাড়াটিয়া অনেক সময় ভাড়া দেন না, ভাড়াটিয়া সময়মতো ভাড়া না দিলে বাড়ির মর্টগ্রেজ পেমেন্ট দেওয়া অনেকটা দুঃসাধ্য ও কষ্টকর হয়ে ওঠে। ফলে বাড়ি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়। এ ছাড়া ভাড়াটিয়ার কারণে অনেক বাড়িওয়ালাকে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। এ কারণে বলা হয়, যারা বাড়ি কিনতে পছন্দ করেন না, তারা অন্তত একটি কন্ডোমিনিয়াম কিনতে পারেন। যদিও এর দামও এখন বেশি। দুই বেডরুমের একটি কন্ডোর দাম অর্ধ মিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি। এ অবস্থায় এত বেশি অর্থ দিয়ে অনেকেই নিতে চান না। যারা বাড়ি কিনতে পছন্দ করেন না, তাদের সামনে অপশন নেই বলে তারা কন্ডো কিনতে বাধ্য হন। মনে রাখতে হবে, দিন যতই যাচ্ছে বাসাবাড়ির দাম ততই বাড়ছে। ফলে যিনি যত বেশি আগে কিনবেন, তিনি তত বেশি বুদ্ধিমানের কাজ করবেন।
তিি বলেন, যারা বাড়ি কিনতে চান না, তারা নিরাপদেই কন্ডো কিনতে পারেন। তবে কো-অপ কিনতে না করব। কারণ এটি হাইলি সফসকেটিক। এখানে অনেক বেশি পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর যদি যোগ্য হয়, তাহলে তার কাছে বাসা বিক্রি করতে পারে। বোর্ড অনুমতি দিতে পারে। তবে কেনার প্রক্রিয়াটি অনেক কঠিন। এখানে অনেক নথিপত্র চাওয়া হবে। ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হবে পুরো পরিবারের, ক্রেডিট হিস্ট্রি চেক করা হবে, সকল সম্পদ ও দায়দেনার হিসাব দিতে হবে। সব নথিপত্র দেওয়ার পর কো-অপ বোর্ড তা নিখুঁতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। তারা যদি মনে করে আবেদনকারী ইন্টারভিউয়ের যোগ্য নন, তাহলে তাকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে না। আগেই আবেদন বাতিল হবে। আর যদি কেউ ইন্টারভিউয়ের যোগ্য হন, তাহলে তাকে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তার উত্তরে বোর্ড সন্তুষ্ট হলে তিনি কো-অপ কিনতে পারবেন। কো-অপের মানদণ্ড পূরণ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। আবার কো-অপের দাম বেশি বাড়ে না বলে অনেকেই কিনতে চান না। কারণ এটি চাইলেই যে কারও কাছে ভাড়া দেওয়া যাবে না। ভাড়া দিলে নিয়ম আছে দুই বছরের আগে দেওয়া যাবে না। দুই বছর আগে যেমন দেওয়া যাবে না, তেমনি ভাড়া দিলে সেখান থেকে কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কেটে রাখবে তার মেইনটেন্যান্সের বাইরেও। বিল্ডিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ বা আর্থিক সংকটের কারণে মালিক যদি ব্যাংকক্রাপ্সি করেন, তখন দেখা যায়, এটা কো-অপের মালিকেরা জানতেও পারেন না। সব মিলিয়ে বলা যায়, কো-অপ কিনলে ঝামেলা আছে।
এ বিষয়ে এক্সিট রিয়েলটি প্রাইমের ব্রোকার মোহাম্মদ জামান মজুমদার বলেন, এখন রিয়েল এস্টেট খাতের ব্যবসা অত ভালো নয়। কারণ এখানে ইনভেন্টরি কম আর বায়ার বেশি। বায়ার বেশি হওয়ার কারণে বাড়ি ও কন্ডোমোনিয়ামের দাম কমছে না। কো-অপের দাম কম হলেও এটির দাম সহজে বাড়ে না। ফলে চাইলেই কো-আপের দাম বাড়বে না। অন্যদিকে কন্ডো ও বাড়ির দাম এখন বেশিই আছে, সেই সঙ্গে ইন্টারেস্ট রেটও তুলনামূলক বেশি। তবে বাজারে যখন ইন্টারেস্ট রেট কমবে, তখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন হবে। ওই সময়ে কিন্তু আর বাড়ির দাম কম থাকবে না। ইন্টারেস্ট রেট কমে গেলে বাজারে আর বায়ার আসবে। বায়ার বেশি এলে তখন প্রতিযোগিতাও বাড়বে। ফলে বাড়ির দাম বাড়বে।
তিনি বলেন, আমরা এর পরও ক্রেতাকে বলব, যারা অনেক দিন ধরেই বাড়ি কেনার জন্য অপেক্ষা করছেন, তারা আগামী জানুয়ারি মাসের দিকে বাড়ি দেখা শুরু করতে পারেন। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের দিকে বাড়ি পছন্দ করে চুক্তি করে ফেলবেন। এতে করে বাড়িটি নাগালের দামের মধ্যেই পাওয়া যাবে। আমরা আশা করছি, আগামী বছরের শুরুতে লোনের ইন্টারেস্টের পরিমাণ কমে আসবে। তবে ঠিক জানি না, এই লোনের ইন্টারেস্টের পরিমাণ কমে ৪ শতাংশে আসবে কি না। যদি ৪ শতাংশে আসে, তাহলে সবার জন্য ব্যবসাও ভালো হবে। যদি ৫ শতাংশও হয়, তাহলেও অন্তত পছন্দের ও মনের মতো বাড়ি হলে বুকিং দেওয়া উচিত।
মোহাম্মদ জামান মজুমদার আরও বলেন, এখন মার্কেটে বাড়ি কম। বাড়ির দামও কম নয়। এর পরও কিন্তু ক্রেতা বেশি। যারা বড়ি কেনার, তারা কখনোই বসে থাকেন না। এখন আবার অনেকেই লং আইল্যান্ড, সাউথ জ্যামাইকার দিকে বাড়ি কিনছেন। এই এলাকাগুলোতে দাম তুলনামূলক কম। যারা সিটির ভেতরে বাসাবাড়ি কিনতে পারছেন না, তারা একটু দূরে হলেও অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিচ্ছেন।
তিনি জানান, বাড়ি কেনার ব্যাপারে কারও কারও আবার অনীহাও আছে। এর কারণ, বাড়ির গার্বেজ পরিষ্কার করা, কিছু নষ্ট হলে নিজে ঠিক করানো অথবা মিস্ত্রিকে কল করা, ভাড়াটিয়া অনেক সময় ভাড়া দেন না, ভাড়াটিয়া সময়মতো ভাড়া না দিলে বাড়ির মর্টগ্রেজ পেমেন্ট দেওয়া অনেকটা দুঃসাধ্য ও কষ্টকর হয়ে ওঠে। ফলে বাড়ি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়। এ ছাড়া ভাড়াটিয়ার কারণে অনেক বাড়িওয়ালাকে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। এ কারণে বলা হয়, যারা বাড়ি কিনতে পছন্দ করেন না, তারা অন্তত একটি কন্ডোমিনিয়াম কিনতে পারেন। যদিও এর দামও এখন বেশি। দুই বেডরুমের একটি কন্ডোর দাম অর্ধ মিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি। এ অবস্থায় এত বেশি অর্থ দিয়ে অনেকেই নিতে চান না। যারা বাড়ি কিনতে পছন্দ করেন না, তাদের সামনে অপশন নেই বলে তারা কন্ডো কিনতে বাধ্য হন। মনে রাখতে হবে, দিন যতই যাচ্ছে বাসাবাড়ির দাম ততই বাড়ছে। ফলে যিনি যত বেশি আগে কিনবেন, তিনি তত বেশি বুদ্ধিমানের কাজ করবেন।
তিি বলেন, যারা বাড়ি কিনতে চান না, তারা নিরাপদেই কন্ডো কিনতে পারেন। তবে কো-অপ কিনতে না করব। কারণ এটি হাইলি সফসকেটিক। এখানে অনেক বেশি পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর যদি যোগ্য হয়, তাহলে তার কাছে বাসা বিক্রি করতে পারে। বোর্ড অনুমতি দিতে পারে। তবে কেনার প্রক্রিয়াটি অনেক কঠিন। এখানে অনেক নথিপত্র চাওয়া হবে। ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হবে পুরো পরিবারের, ক্রেডিট হিস্ট্রি চেক করা হবে, সকল সম্পদ ও দায়দেনার হিসাব দিতে হবে। সব নথিপত্র দেওয়ার পর কো-অপ বোর্ড তা নিখুঁতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। তারা যদি মনে করে আবেদনকারী ইন্টারভিউয়ের যোগ্য নন, তাহলে তাকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে না। আগেই আবেদন বাতিল হবে। আর যদি কেউ ইন্টারভিউয়ের যোগ্য হন, তাহলে তাকে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তার উত্তরে বোর্ড সন্তুষ্ট হলে তিনি কো-অপ কিনতে পারবেন। কো-অপের মানদণ্ড পূরণ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। আবার কো-অপের দাম বেশি বাড়ে না বলে অনেকেই কিনতে চান না। কারণ এটি চাইলেই যে কারও কাছে ভাড়া দেওয়া যাবে না। ভাড়া দিলে নিয়ম আছে দুই বছরের আগে দেওয়া যাবে না। দুই বছর আগে যেমন দেওয়া যাবে না, তেমনি ভাড়া দিলে সেখান থেকে কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কেটে রাখবে তার মেইনটেন্যান্সের বাইরেও। বিল্ডিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ বা আর্থিক সংকটের কারণে মালিক যদি ব্যাংকক্রাপ্সি করেন, তখন দেখা যায়, এটা কো-অপের মালিকেরা জানতেও পারেন না। সব মিলিয়ে বলা যায়, কো-অপ কিনলে ঝামেলা আছে।