আল-জাজিরায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের তার সরকারের চার বছর মেয়াদের ইঙ্গিত দেশের রাজনীতিতে আচমকা ঢেউ তুলেছে। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘... এটা (অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ) চার বছরের কম হওয়া উচিত, এটা নিশ্চিত। এটা আরও কম হতে পারে। এটা পুরোটা নির্ভর করছে মানুষ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায়, তার ওপর।’
সেখানে ড. ইউনূস একটা ফাঁক রেখেছেন। সেটি হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায়, তার ওপর। মানে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে যায়, তাহলে তিনি শুরু করা সংস্কার বাদ দিয়েই নির্বাচন দিয়ে চলে যাবেন। এভাবেই সংবাদটির বাংলা অনুবাদ প্রচার হয়েছে রবি-সোমবার দিনভর। এতে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো অনেকটা থ বনে যায়। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতেও সাবধান হয়ে যায়। তারা ঠিক দেখছেন-শুনছেন কি না, এ নিয়ে ঘোরের মধ্যে পড়ে যান দলগুলোর নেতারা। সোমবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নাগাদ সংশোধনী আনা হয় তার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে দিয়ে। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছর হবে, আল-জাজিরাকে এমন কোনো বক্তব্য দেননি প্রধান উপদেষ্টা। দেশের কিছু গণমাধ্যম ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে যোগ করেন, সংসদের মেয়াদ চার বছর করা নিয়ে কাজ চলছে।
এদিকে মুখে মুখে এ কদিন নানা কথা বলা হলেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ কমানোর পক্ষে নয় বিএনপি। অন্যান্য দলেও নানা মত। নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছরের জায়গায় চার বছর করার প্রস্তাব এসেছে বলে ড. ইউনূসের বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনের অন্দরে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলছে। তারেক রহমানের এক প্রস্তাবনায়ও চার বছরের কথা রয়েছে। কিন্তু কথাটি প্রচার পেয়েছে ইউনূসের বরাতে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৯) ফাঁকে কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ভিডিও সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করেছে আল-জাজিরা। সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, সাধারণত নিয়মিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সংবিধানে নতুন করে চার বছরের প্রস্তাব করা হচ্ছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশন এ পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধি ও সংগঠনের সঙ্গে ১৫-১৬টি সভা করেছে। কমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এসব বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ চার বছর করার পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপিসহ আলোচিত দলগুলোর মনোভাব ভিন্ন। বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, চার বছর পরপর নির্বাচন করা হলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাড়বে। এ ছাড়া নির্বাচন করার জন্য বড় অঙ্কের অর্থব্যয়ের বিষয়ও রয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, চার বছর পরপর নির্বাচন হলে একটা নির্বাচিত সরকার কাজ করার সময় পাবে না। বাস্তবতা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পাঁচ বছর মেয়াদের পক্ষেই বিএনপির অবস্থান।
আল-জাজিরার কেওয়াজের মাঝেই বোমা ফাটিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’। সেখানে আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দেওয়া হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এটা ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি। বিএনপি এটা করেছে, বলেছে, সব রাজনৈতিক দল অবশ্যই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সুতরাং তারা ইতিমধ্যে রায় দিয়ে দিয়েছে। আমরা দেশের একটি প্রধান দলের মতামতকে উপেক্ষা করব না।’ তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আপনার কোনো আপত্তি নেই, সে প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘কোনো একটি দল বা আরেকটি দলকে বেছে নেওয়ার জন্য আমি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নই। আমি রাজনীতিকদের আকাক্সক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করছি।’
ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রচার হয় দ্য হিন্দুর অনলাইন সংস্করণে। সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে দেওয়া বিবৃতির কথা তুলে ধরে হিন্দুর সাংবাদিক প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, নতুন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সময় আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত থাকার বিষয়ে তিনি কতটা আত্মবিশ্বাসী। জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেননি।’ তখন হিন্দুর সাংবাদিক বলেন, ‘তিনি দিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে...।’ জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ভালো। এখন বাংলাদেশ ও সংখ্যালঘুদের বিষয়ে বলি। সম্ভবত তিনি সঠিকভাবে অবগত নন। এটা অপপ্রচার, যা বিশ্বজুড়ে চলছে। কিন্তু যখন তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বাস্তবতা সম্পর্কে জানবেন, তখন জনাব ট্রাম্প অবাক হবেন যে তাকে কতটা ভিন্নভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।’
এই আনলিমিটেড সংবাদযন্ত্রণার মধ্যে যোগ হয়েছে রাষ্ট্রচিন্তক পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা করা আলোচিত বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারের হাটহাজারীর ইসকন মন্দিরে যাওয়ার ঘটনা। সোমবার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) পরিচালিত শ্রীশ্রী পুণ্ডরীক ধাম মন্দির পরিদর্শন করেছেন ফরহাদ মজহার। সেখানে তাকে স্বাগত জানান চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ ও ইসকনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা চিন্ময় ব্রহ্মচারী ও ফরহাদ মজহার মন্দিরের ভেতরের কক্ষে একান্তে আলাপ করেন। এর আগে রোববার সনাতনী সম্প্রদায়ের আট দফা আন্দোলনের বড় দুটি প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট একীভূত হয়ে ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট’-এর আত্মপ্রকাশ হয়। ফরহাদ মজহার মাত্র ৯ নভেম্বর ইসকনের বিরুদ্ধে একটা কড়া লম্বা পোস্ট লিখেছিলেন। এর ৯ দিনেই আরেক রূপ। এই সময়ের মাঝেই ইসকনের অ্যাকটিভ সদস্যা তুলসী গ্যাবার্ডের নাম যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবে গত ১৩ নভেম্বর ঘোষণা করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সেখানে ড. ইউনূস একটা ফাঁক রেখেছেন। সেটি হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায়, তার ওপর। মানে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে যায়, তাহলে তিনি শুরু করা সংস্কার বাদ দিয়েই নির্বাচন দিয়ে চলে যাবেন। এভাবেই সংবাদটির বাংলা অনুবাদ প্রচার হয়েছে রবি-সোমবার দিনভর। এতে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো অনেকটা থ বনে যায়। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতেও সাবধান হয়ে যায়। তারা ঠিক দেখছেন-শুনছেন কি না, এ নিয়ে ঘোরের মধ্যে পড়ে যান দলগুলোর নেতারা। সোমবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নাগাদ সংশোধনী আনা হয় তার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে দিয়ে। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছর হবে, আল-জাজিরাকে এমন কোনো বক্তব্য দেননি প্রধান উপদেষ্টা। দেশের কিছু গণমাধ্যম ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে যোগ করেন, সংসদের মেয়াদ চার বছর করা নিয়ে কাজ চলছে।
এদিকে মুখে মুখে এ কদিন নানা কথা বলা হলেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ কমানোর পক্ষে নয় বিএনপি। অন্যান্য দলেও নানা মত। নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছরের জায়গায় চার বছর করার প্রস্তাব এসেছে বলে ড. ইউনূসের বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনের অন্দরে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলছে। তারেক রহমানের এক প্রস্তাবনায়ও চার বছরের কথা রয়েছে। কিন্তু কথাটি প্রচার পেয়েছে ইউনূসের বরাতে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৯) ফাঁকে কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ভিডিও সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করেছে আল-জাজিরা। সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, সাধারণত নিয়মিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সংবিধানে নতুন করে চার বছরের প্রস্তাব করা হচ্ছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশন এ পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধি ও সংগঠনের সঙ্গে ১৫-১৬টি সভা করেছে। কমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এসব বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ চার বছর করার পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপিসহ আলোচিত দলগুলোর মনোভাব ভিন্ন। বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, চার বছর পরপর নির্বাচন করা হলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাড়বে। এ ছাড়া নির্বাচন করার জন্য বড় অঙ্কের অর্থব্যয়ের বিষয়ও রয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, চার বছর পরপর নির্বাচন হলে একটা নির্বাচিত সরকার কাজ করার সময় পাবে না। বাস্তবতা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পাঁচ বছর মেয়াদের পক্ষেই বিএনপির অবস্থান।
আল-জাজিরার কেওয়াজের মাঝেই বোমা ফাটিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’। সেখানে আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দেওয়া হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এটা ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি। বিএনপি এটা করেছে, বলেছে, সব রাজনৈতিক দল অবশ্যই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সুতরাং তারা ইতিমধ্যে রায় দিয়ে দিয়েছে। আমরা দেশের একটি প্রধান দলের মতামতকে উপেক্ষা করব না।’ তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আপনার কোনো আপত্তি নেই, সে প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘কোনো একটি দল বা আরেকটি দলকে বেছে নেওয়ার জন্য আমি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নই। আমি রাজনীতিকদের আকাক্সক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করছি।’
ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রচার হয় দ্য হিন্দুর অনলাইন সংস্করণে। সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে দেওয়া বিবৃতির কথা তুলে ধরে হিন্দুর সাংবাদিক প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, নতুন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সময় আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত থাকার বিষয়ে তিনি কতটা আত্মবিশ্বাসী। জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেননি।’ তখন হিন্দুর সাংবাদিক বলেন, ‘তিনি দিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে...।’ জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ভালো। এখন বাংলাদেশ ও সংখ্যালঘুদের বিষয়ে বলি। সম্ভবত তিনি সঠিকভাবে অবগত নন। এটা অপপ্রচার, যা বিশ্বজুড়ে চলছে। কিন্তু যখন তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বাস্তবতা সম্পর্কে জানবেন, তখন জনাব ট্রাম্প অবাক হবেন যে তাকে কতটা ভিন্নভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।’
এই আনলিমিটেড সংবাদযন্ত্রণার মধ্যে যোগ হয়েছে রাষ্ট্রচিন্তক পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা করা আলোচিত বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারের হাটহাজারীর ইসকন মন্দিরে যাওয়ার ঘটনা। সোমবার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) পরিচালিত শ্রীশ্রী পুণ্ডরীক ধাম মন্দির পরিদর্শন করেছেন ফরহাদ মজহার। সেখানে তাকে স্বাগত জানান চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ ও ইসকনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা চিন্ময় ব্রহ্মচারী ও ফরহাদ মজহার মন্দিরের ভেতরের কক্ষে একান্তে আলাপ করেন। এর আগে রোববার সনাতনী সম্প্রদায়ের আট দফা আন্দোলনের বড় দুটি প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট একীভূত হয়ে ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট’-এর আত্মপ্রকাশ হয়। ফরহাদ মজহার মাত্র ৯ নভেম্বর ইসকনের বিরুদ্ধে একটা কড়া লম্বা পোস্ট লিখেছিলেন। এর ৯ দিনেই আরেক রূপ। এই সময়ের মাঝেই ইসকনের অ্যাকটিভ সদস্যা তুলসী গ্যাবার্ডের নাম যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবে গত ১৩ নভেম্বর ঘোষণা করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।