সরকারি চাকরি বিধিতে বদলী অনিবার্য। যেসব আমলা ও কূটনীতিক রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে বিশেষ সখ্যতা বজায় রাখতে পারেন, তারা বদলীর ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পান। ব্রাজিলে বাংলাদেশের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজের পছন্দের দেশে পোস্টিং নিয়ে নজির সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। আগে ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ। অন্তর্বর্তী সরকার তাকে নেপালে পদায়ন করলেও তদবির করছেন বর্তমান ‘বয়ফ্রেন্ড’-এর কাছাকাছি কোনো দেশে থাকার।
নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেল থাকা অবস্থায় কনস্যুলেটে আর্থিক অনিয়ম এবং নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উঠেছিল সাদিয়া ফয়জুন্নেসার বিরুদ্ধে। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিষয়টি তদন্তের জন্য ওয়াশিংটনের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। দূতাবাসের ওই তদন্তে আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এরপর সাদিয়া ফয়জুন্নেসার রাষ্ট্রদূতের পদোন্নতি স্থগিত করে তাকে ভারতের মুম্বাইয়ে কনসাল জেনারেল হিসাবে বদলী করা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে যোগ না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। সাবেক রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন মন্ত্রীর পদমর্যাদায় বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ হলে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় সাদিয়া ফয়জুন্নেসার। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে একহাত দেখিয়ে এম. জিয়াউদ্দিনের সুপারিশে নিজের পছন্দে পদোন্নতিসহ ব্রাজিলে পোস্টিং নেন তিনি।
নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালনকালে সেবা অথবা অন্য কোনো অনিয়মের অভিযোগ উঠলেই তা অস্বীকার করতেন সাদিয়া ফয়জুন্নেসা। এমনকী কোনো প্রবাসী এ ধরণের অভিযোগ করলে তার গায়ে বিএনপি-জামাতের তকমা লাগিয়ে দিতেন তিনি।
নিজের ইচ্ছায় ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূত হিসাবে পোস্টিং নিয়ে নানান কথা ছড়াতে থাকে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। নৈতিক স্খলনের অভিযোগ ওঠে সাদিয়া ফয়জুন্নেসার বিরুদ্ধে। নিউইয়র্কে একজন ব্রাজিলিয়ান আমেরিকান শেফের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে তিনি ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূত হিসাবে যোগ দেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ২১টি দেশে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার পদে পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। সে অনুযায়ী সাদিয়া ফয়জুন্নেসাকে পদায়ন করা হয় নেপালে। এখনো দেশটি এই নিয়োগ অনুমোদন করেনি। কিন্তু সাদিয়া ফয়জুন্নেসা নেপালে না যাওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন। ঢাকায় একজন উর্ধতন সিনিয়র কূটনীতিক, এমনকী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রভাবশালী একজন সমন্বয়কের নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, তাকে যেন উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় পোস্টিং দেওয়া হয়। সেখানে সম্ভব না হলে সাউথ আমেরিকার কোনো দেশে দেওয়া হোক। কিন্তু কোথাও থেকে এখনো ইতিবাচক সাড়া পাননি তিনি।
সাদিয়া ফয়জুন্নেসার কারণে নিউইয়র্ক কনস্যুলেট থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়া একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতারা যেমন সহজেই বিপক্ষের লোকজনকে বিএনপি-জামাতের তকমা লাগিয়ে দিতেন, সাদিয়া ফয়জুন্নেসাও একই কায়দায় চলতেন। অফিসে তার স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে কেউ কানাঘুষা করলে পরে জানতে পারলে তাকে বিএনপি-জামাতের চর বলে অ্যাখ্যায়িত করতেন। এসব নিয়ে কেউ টুশব্দটি করতে পারতেন না।
জানা গেছে, ব্যক্তিগত জীবনে সাদিয়া ফয়জুন্নেসা অসুখী একজন মানুষ। দাম্পত্য কলহের কারণে নিউইয়র্কে রুজভেল্টের আইল্যান্ডের সরকারি বাসা ছাড়েন তার স্বামী। পরে একমাত্র মেয়েও মাকে ছেড়ে অনত্র চলে যান। এরপর ব্রাজিলের বংশোদ্ভূত বিশেষ বন্ধুর সঙ্গে অ্যাম্বাসেডর হিসাবে সাদিয়া ফয়জুন্নেসা পাড়ি দেন ব্রাজিলে।
নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেল থাকা অবস্থায় কনস্যুলেটে আর্থিক অনিয়ম এবং নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উঠেছিল সাদিয়া ফয়জুন্নেসার বিরুদ্ধে। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিষয়টি তদন্তের জন্য ওয়াশিংটনের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। দূতাবাসের ওই তদন্তে আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এরপর সাদিয়া ফয়জুন্নেসার রাষ্ট্রদূতের পদোন্নতি স্থগিত করে তাকে ভারতের মুম্বাইয়ে কনসাল জেনারেল হিসাবে বদলী করা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে যোগ না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। সাবেক রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন মন্ত্রীর পদমর্যাদায় বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ হলে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় সাদিয়া ফয়জুন্নেসার। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে একহাত দেখিয়ে এম. জিয়াউদ্দিনের সুপারিশে নিজের পছন্দে পদোন্নতিসহ ব্রাজিলে পোস্টিং নেন তিনি।
নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালনকালে সেবা অথবা অন্য কোনো অনিয়মের অভিযোগ উঠলেই তা অস্বীকার করতেন সাদিয়া ফয়জুন্নেসা। এমনকী কোনো প্রবাসী এ ধরণের অভিযোগ করলে তার গায়ে বিএনপি-জামাতের তকমা লাগিয়ে দিতেন তিনি।
নিজের ইচ্ছায় ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূত হিসাবে পোস্টিং নিয়ে নানান কথা ছড়াতে থাকে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। নৈতিক স্খলনের অভিযোগ ওঠে সাদিয়া ফয়জুন্নেসার বিরুদ্ধে। নিউইয়র্কে একজন ব্রাজিলিয়ান আমেরিকান শেফের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে তিনি ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূত হিসাবে যোগ দেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ২১টি দেশে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার পদে পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। সে অনুযায়ী সাদিয়া ফয়জুন্নেসাকে পদায়ন করা হয় নেপালে। এখনো দেশটি এই নিয়োগ অনুমোদন করেনি। কিন্তু সাদিয়া ফয়জুন্নেসা নেপালে না যাওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন। ঢাকায় একজন উর্ধতন সিনিয়র কূটনীতিক, এমনকী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রভাবশালী একজন সমন্বয়কের নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, তাকে যেন উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় পোস্টিং দেওয়া হয়। সেখানে সম্ভব না হলে সাউথ আমেরিকার কোনো দেশে দেওয়া হোক। কিন্তু কোথাও থেকে এখনো ইতিবাচক সাড়া পাননি তিনি।
সাদিয়া ফয়জুন্নেসার কারণে নিউইয়র্ক কনস্যুলেট থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়া একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতারা যেমন সহজেই বিপক্ষের লোকজনকে বিএনপি-জামাতের তকমা লাগিয়ে দিতেন, সাদিয়া ফয়জুন্নেসাও একই কায়দায় চলতেন। অফিসে তার স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে কেউ কানাঘুষা করলে পরে জানতে পারলে তাকে বিএনপি-জামাতের চর বলে অ্যাখ্যায়িত করতেন। এসব নিয়ে কেউ টুশব্দটি করতে পারতেন না।
জানা গেছে, ব্যক্তিগত জীবনে সাদিয়া ফয়জুন্নেসা অসুখী একজন মানুষ। দাম্পত্য কলহের কারণে নিউইয়র্কে রুজভেল্টের আইল্যান্ডের সরকারি বাসা ছাড়েন তার স্বামী। পরে একমাত্র মেয়েও মাকে ছেড়ে অনত্র চলে যান। এরপর ব্রাজিলের বংশোদ্ভূত বিশেষ বন্ধুর সঙ্গে অ্যাম্বাসেডর হিসাবে সাদিয়া ফয়জুন্নেসা পাড়ি দেন ব্রাজিলে।