যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন শেষ। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম নতুন প্রেসিডেন্ট। এই নির্বাচন এবং ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে কথা হচ্ছে এবং আরও হতেই থাকবে। কিন্তু নির্বাচনী খবর ছাড়াও ঠিকানার এক প্রথম পাতাতেই একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ০৬.১১.২০২৪ সংখ্যাতেই, যার সবগুলো সংবাদ নিয়েই পৃথক সম্পাদকীয় লেখা যায়। যেমন ‘দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে’, ‘বঙ্গবন্ধুকে অবমূল্যায়ন’, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরূপ প্রকাশ’, ‘রাজরোগ আতঙ্কে বিএনপি’, ‘সাংবিধানিক জটিলতায় বিপ্লবী সরকার’, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ’, ‘জাপার ভবিষ্যৎ কী’, ‘অর্থনীতিতে স্বস্তি-রাজনীতিতে অস্বস্তি’ ইত্যাদি।
সবগুলো সংবাদই সম্পাদকীয় লেখার মতো গুরুত্বপূর্ণ। তার মধ্যে এ সপ্তাহের সম্পাদকীয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ‘অর্থনীতিতে স্বস্তি-রাজনীতিতে অস্বস্তি’। সাধারণ মানুষ মাত্রই মনে করে, দেশের অর্থনীতি ভালো থাকলে মানুষ ভালো থাকে। জীবনযাপন সহজ হয়। কিন্তু যারা অর্থনীতি এবং একই সঙ্গে রাজনীতির জ্ঞান রাখেন, তারা খুব ভালো করেই জানেন, রাজনীতি নষ্ট তো সবকিছু নষ্ট। নীতি-নৈতিকতা, সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা, অর্থনীতি, গণতন্ত্র, সংবিধান, বিচার বিভাগ-সব নষ্ট। খুন, দুর্নীতি, চরিত্রহীনতা, যত প্রকার অপকর্ম আছে, সব ক্যানসারের মতো সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। রাজনীতি সঠিক পথে পা বাড়ালে, রাষ্ট্র ও সমাজের সবকিছু সঠিক পথে চলে। রাজনীতিতে যখন পচন ধরে, তখন রাষ্ট্র ও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পচন ধরে। নষ্ট রাজনীতি সমাজের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। একশ্রেণির মানুষকে মানবতা-বিবর্জিত অমানুষ বানিয়ে দেয়। মনে রাখতে হবে, যারা দাম্ভিক, অহংকারী, মানুষকে মানুষ ভাবতে পারে না, তারাও নষ্ট রাজনীতির শিকার।
অর্থনীতিতে যতই স্বস্তি আসুক, রাজনীতিতে অস্বস্তি থাকলে অর্থনীতির স্বস্তি মানুষ উপভোগ করতে পারে না। মানুষের মন সব সময় অস্বস্তিতে ভুগবে, যদি সমাজের মধ্যে রাজনৈতিক স্বস্তি না থাকে। সমাজে ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, খুন, রাহাজানি বৃদ্ধি পায় রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও উচ্চারিত হচ্ছে রাজনৈতিক অস্বস্তির কথা। এই অস্বস্তির নমুনা স্পষ্ট দৃশ্যমান হচ্ছে বিভিন্ন শিল্প স্থাপনায়, সড়কে, রাজপথে। আর বাজারে এখনো অস্থিরতা বিদ্যমান। যার উত্তাপ সমাজের মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত মানুষকে এখনো পোড়াচ্ছে। গডফাদার, মাফিয়া, মধ্যস্বত্বভোগীদের চক্রান্ত ও দাপট থামছে না। রাজনীতি সঠিক পথে ফিরে এলে সমাজের এসব অস্থিরতা দূর হতো বলে বাজার বিশেষজ্ঞদের অভিমত। সাধারণ মানুষও তা-ই মনে করে। রাজনৈতিক স্বস্তি ফিরে না এলে অর্থনৈতিক স্বস্তি থাকলেও মানুষ প্রকৃত স্বস্তি উপভোগ করতে পারবে না।
আমাদের প্রত্যাশা, দেশে দ্রুত রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হোক। মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরে আসুক।
সবগুলো সংবাদই সম্পাদকীয় লেখার মতো গুরুত্বপূর্ণ। তার মধ্যে এ সপ্তাহের সম্পাদকীয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ‘অর্থনীতিতে স্বস্তি-রাজনীতিতে অস্বস্তি’। সাধারণ মানুষ মাত্রই মনে করে, দেশের অর্থনীতি ভালো থাকলে মানুষ ভালো থাকে। জীবনযাপন সহজ হয়। কিন্তু যারা অর্থনীতি এবং একই সঙ্গে রাজনীতির জ্ঞান রাখেন, তারা খুব ভালো করেই জানেন, রাজনীতি নষ্ট তো সবকিছু নষ্ট। নীতি-নৈতিকতা, সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা, অর্থনীতি, গণতন্ত্র, সংবিধান, বিচার বিভাগ-সব নষ্ট। খুন, দুর্নীতি, চরিত্রহীনতা, যত প্রকার অপকর্ম আছে, সব ক্যানসারের মতো সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। রাজনীতি সঠিক পথে পা বাড়ালে, রাষ্ট্র ও সমাজের সবকিছু সঠিক পথে চলে। রাজনীতিতে যখন পচন ধরে, তখন রাষ্ট্র ও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পচন ধরে। নষ্ট রাজনীতি সমাজের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। একশ্রেণির মানুষকে মানবতা-বিবর্জিত অমানুষ বানিয়ে দেয়। মনে রাখতে হবে, যারা দাম্ভিক, অহংকারী, মানুষকে মানুষ ভাবতে পারে না, তারাও নষ্ট রাজনীতির শিকার।
অর্থনীতিতে যতই স্বস্তি আসুক, রাজনীতিতে অস্বস্তি থাকলে অর্থনীতির স্বস্তি মানুষ উপভোগ করতে পারে না। মানুষের মন সব সময় অস্বস্তিতে ভুগবে, যদি সমাজের মধ্যে রাজনৈতিক স্বস্তি না থাকে। সমাজে ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, খুন, রাহাজানি বৃদ্ধি পায় রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও উচ্চারিত হচ্ছে রাজনৈতিক অস্বস্তির কথা। এই অস্বস্তির নমুনা স্পষ্ট দৃশ্যমান হচ্ছে বিভিন্ন শিল্প স্থাপনায়, সড়কে, রাজপথে। আর বাজারে এখনো অস্থিরতা বিদ্যমান। যার উত্তাপ সমাজের মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত মানুষকে এখনো পোড়াচ্ছে। গডফাদার, মাফিয়া, মধ্যস্বত্বভোগীদের চক্রান্ত ও দাপট থামছে না। রাজনীতি সঠিক পথে ফিরে এলে সমাজের এসব অস্থিরতা দূর হতো বলে বাজার বিশেষজ্ঞদের অভিমত। সাধারণ মানুষও তা-ই মনে করে। রাজনৈতিক স্বস্তি ফিরে না এলে অর্থনৈতিক স্বস্তি থাকলেও মানুষ প্রকৃত স্বস্তি উপভোগ করতে পারবে না।
আমাদের প্রত্যাশা, দেশে দ্রুত রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হোক। মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরে আসুক।