আফগান ইনিংসের ৩৯তম ওভারে মিরাজকে ছক্কা মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে জাকিরের তালুবন্দী হয়ে যখন ফিরলেন সেঞ্চুরিয়ান রহমানুল্লাহ গুরবাজ, তখনো ম্যাচের পাল্লা হেলে আফগানদের অনুকূলে। ১১.২ ওভারে তখন আফগানদের দরকার ৬১ রান। এর কিছু সময় পর ৪১তম ওভারে নাহিদ রানা গুলবাদিন নাইবকে (১) ফিরিয়ে দিলে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ শিবির। ম্যাচে ফিরে আসে উত্তেজনা। তবে সে উত্তেজনা জিইয়ে রেখে আর উইকেট নিতে ব্যর্থ বাংলাদেশের বোলাররা। ১০ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জিতেছে আফগানিস্তান।
সোমবার (১১ নভেম্বর) শারজায় ম্যাচ শুরুর আগে পিচ রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এই উইকেটে ২৩০+ রান করে জেতা সম্ভব। ২৪৪ রান তুলে তাই জয়ের আশাও করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওপেনার গুরবাজের সেঞ্চুরি, আর পাঁচে নামা আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অপরাজিত ফিফটির সুবাদে ম্যাচ জিতে যায় আফগানিস্তান। ২-১ ব্যবধানে সিরিজও।
রান তাড়ায় ৮৪ রানে আফগানিস্তান ৩ উইকেট হারালেও চতুর্থ উইকেটে ওমরজাই- গুরবাজের ১০০ রানের জুটি জয়ের ভিত গড়ে দেয় আফগানদের। ১২০ বলে ৫টি চার ও ৭টি ছয়ে ১০১ রান করে গুরবাজ আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। তার ৭৭ বলের ইনিংসে ৩টি চার ছাড়াও রয়েছে ৫টি ছয়। শরীফুলকে ছক্কা মেরেই দলের জয় ও সিরিজ নিশ্চিত করেন তিনি। ওমরজাইয়ের সঙ্গে ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন মোহাম্মদ নবি।
এর আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ২৪৪ রান। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো একটা শুরু পেয়েছিল দল। ওপেনিংয়ে তানজিদ তামিম (১৯) ও সৌম্য সরকার (২৩) ৫৩ রানের জুটি গড়ে দিয়েছিলেন। ৪৯ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ দলীয় ফিফটি করলে ভাবা হয়েছিল বড় স্কোরই করতে যাচ্ছে। কিন্তু এর পরই ইনিংসে লাগে ‘মিনি মড়ক’। বিনা উইকেটে ৫৩ থেকে একপর্যায়ে দলের স্কোর দাঁড়ায় ৫৮/৩!
পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে ২৩ রান করে সৌম্য ও ১৯ রান করে আউট হয়ে যান তানজিদ। এই জোড়া ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই রান আউটের শিকার জাকির হাসান। ইনিংসের ১১তম ওভারে ওমরজাইকে পয়েন্টে ঠেলেই সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন মিরাজ। জাকিরও যখন চলে এসেছেন, তখন মিরাজ তাকে ‘না’ করেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তার পৌঁছার আগেই খারোতের সরাসরি থ্রোতে নিরাশ হতে হয় জাকিরকে (৪)।
১২ বলের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট। বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে ব্যাটিংয়ে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন মিরাজ ও রান-খরায় থাকা মাহমুদউল্লাহ। ধৈর্য, রক্ষণ আর আক্রমণের মিশেলে ১৮৮ বলে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪৬তম ওভারে ওমরজাইকে মেরে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান মিরাজ। তার ১১৯ বলের ৬৬ রানের মন্থর ইনিংসে রয়েছে চারটি চার। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের ‘নতুন’ অধিনায়কের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ইনিংস নিয়ে দেখার বিষয় ছিল দুটি—বাংলাদেশ ২৫০ পেরোয় কি না, আর মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি পান কি না। কোনোটিই হয়নি। আড়াই শ থেকে ৬ রান দূরে থেকে থেমেছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি থেকে ২ রান আগে থেমেছেন মাহমুদউল্লাহ।
সেঞ্চুরি না পেলেও ৯৮ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো ৯৮ রানের ইনিংসটির প্রশংসা করতেই হয়। ধারাপাতের সংখ্যার মতো আগের চার ইনিংসে ০, ১, ২ ও ৩ রান করা মাহমুদউল্লাহর দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে এটিই সেরা ইনিংস। আর সেটিও তিনি করেছেন পেশিতে টান পড়ার পর মেডিকেল শুশ্রূষা নিয়ে। বল হাতে আফগানদের সবচেয়ে সফল মিডিয়াম পেসার ওমরজাই; ৩৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং ম্যান অব দ্য সিরিজ মোহাম্মদ নবী।
ঠিকানা/এনআই
সোমবার (১১ নভেম্বর) শারজায় ম্যাচ শুরুর আগে পিচ রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এই উইকেটে ২৩০+ রান করে জেতা সম্ভব। ২৪৪ রান তুলে তাই জয়ের আশাও করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওপেনার গুরবাজের সেঞ্চুরি, আর পাঁচে নামা আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অপরাজিত ফিফটির সুবাদে ম্যাচ জিতে যায় আফগানিস্তান। ২-১ ব্যবধানে সিরিজও।
রান তাড়ায় ৮৪ রানে আফগানিস্তান ৩ উইকেট হারালেও চতুর্থ উইকেটে ওমরজাই- গুরবাজের ১০০ রানের জুটি জয়ের ভিত গড়ে দেয় আফগানদের। ১২০ বলে ৫টি চার ও ৭টি ছয়ে ১০১ রান করে গুরবাজ আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। তার ৭৭ বলের ইনিংসে ৩টি চার ছাড়াও রয়েছে ৫টি ছয়। শরীফুলকে ছক্কা মেরেই দলের জয় ও সিরিজ নিশ্চিত করেন তিনি। ওমরজাইয়ের সঙ্গে ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন মোহাম্মদ নবি।
এর আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ২৪৪ রান। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো একটা শুরু পেয়েছিল দল। ওপেনিংয়ে তানজিদ তামিম (১৯) ও সৌম্য সরকার (২৩) ৫৩ রানের জুটি গড়ে দিয়েছিলেন। ৪৯ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ দলীয় ফিফটি করলে ভাবা হয়েছিল বড় স্কোরই করতে যাচ্ছে। কিন্তু এর পরই ইনিংসে লাগে ‘মিনি মড়ক’। বিনা উইকেটে ৫৩ থেকে একপর্যায়ে দলের স্কোর দাঁড়ায় ৫৮/৩!
পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে ২৩ রান করে সৌম্য ও ১৯ রান করে আউট হয়ে যান তানজিদ। এই জোড়া ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই রান আউটের শিকার জাকির হাসান। ইনিংসের ১১তম ওভারে ওমরজাইকে পয়েন্টে ঠেলেই সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন মিরাজ। জাকিরও যখন চলে এসেছেন, তখন মিরাজ তাকে ‘না’ করেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তার পৌঁছার আগেই খারোতের সরাসরি থ্রোতে নিরাশ হতে হয় জাকিরকে (৪)।
১২ বলের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট। বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে ব্যাটিংয়ে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন মিরাজ ও রান-খরায় থাকা মাহমুদউল্লাহ। ধৈর্য, রক্ষণ আর আক্রমণের মিশেলে ১৮৮ বলে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪৬তম ওভারে ওমরজাইকে মেরে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান মিরাজ। তার ১১৯ বলের ৬৬ রানের মন্থর ইনিংসে রয়েছে চারটি চার। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের ‘নতুন’ অধিনায়কের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ইনিংস নিয়ে দেখার বিষয় ছিল দুটি—বাংলাদেশ ২৫০ পেরোয় কি না, আর মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি পান কি না। কোনোটিই হয়নি। আড়াই শ থেকে ৬ রান দূরে থেকে থেমেছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি থেকে ২ রান আগে থেমেছেন মাহমুদউল্লাহ।
সেঞ্চুরি না পেলেও ৯৮ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো ৯৮ রানের ইনিংসটির প্রশংসা করতেই হয়। ধারাপাতের সংখ্যার মতো আগের চার ইনিংসে ০, ১, ২ ও ৩ রান করা মাহমুদউল্লাহর দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে এটিই সেরা ইনিংস। আর সেটিও তিনি করেছেন পেশিতে টান পড়ার পর মেডিকেল শুশ্রূষা নিয়ে। বল হাতে আফগানদের সবচেয়ে সফল মিডিয়াম পেসার ওমরজাই; ৩৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং ম্যান অব দ্য সিরিজ মোহাম্মদ নবী।
ঠিকানা/এনআই