সিলেটের কানাইঘাটের আলোচিত নিখোঁজ শিশু মুনতাহা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক চারজনের মধ্যে একজন পুরুষ ও তিনজন নারী। এর মধ্যে একজন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে শিশু মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), তার মা আলিফজান বিবি (৫৫), পাশের বাড়ির মৃত ছইদুর রহমানের ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)।
১০ নভেম্বর (রবিবার) সন্ধ্যায় সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত। আটক চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একজন নারী গৃহশিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। আরও কি কারণ থাকতে পারে সেটিও আমরা তদন্ত করছি। আর কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসবে।’
স্থানীয়দের ধারণা, মুনতাহার সাবেক গৃহ শিক্ষিকা তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে। মুনতাহার শিক্ষিকা মার্জিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল তার পরিবারের উপর। এছাড়া মার্জিয়ার উপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকেও এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মার্জিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ তারিখ রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ডোবায় ফেলে রাখা হয়।
৩ নভেম্বর সকালে নিখোঁজ হয় কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে ৫ বছরের কন্যা শিশু মুনতাহা। সারাদিন খোঁজাখুঁজির পর মুনতাহা ফিরে না আসায় থানায় জিডি করে পরিবার। নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর, রোববার ভোররাতে প্রতিবেশি আলিফজান বিবি, লাশ ডোবা থেকে পুকুরে ফেলার সময় হাতেনাতে আটক করা হয় তাকে। এ ঘটনায় হতবাক এলাকার মানুষ। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আগুন দিয়েছে ঘাতক পরিবারের বাসায়।
মুনতাহার চাচা কায়সার আহমেদ জানান, মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া পূর্ব শত্রুতার জেরে অপহরণ করে হত্যা করে। পরে বাড়ির পাশে ডোবায় কাদার নিচে পুঁতে রাখে। রোববার ভোর রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবি সেই লাশ সরিয়ে নিতে গেলে জনতার হাতে আটক হয়।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, আমরা আগে থেকে এলাকার কিছু মানুষকে বলে রেখেছিলাম পাহারা দেওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী লোকজন পাহারায় ছিল। জড়িত থাকার সন্দেহে চার জনকে আটক করেছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মার্জিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়। আটক করা হয়েছে মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবিকেও । আলোচিত নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর।
ঠিকানা/এএস
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে শিশু মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), তার মা আলিফজান বিবি (৫৫), পাশের বাড়ির মৃত ছইদুর রহমানের ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)।
১০ নভেম্বর (রবিবার) সন্ধ্যায় সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত। আটক চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একজন নারী গৃহশিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। আরও কি কারণ থাকতে পারে সেটিও আমরা তদন্ত করছি। আর কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসবে।’
স্থানীয়দের ধারণা, মুনতাহার সাবেক গৃহ শিক্ষিকা তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে। মুনতাহার শিক্ষিকা মার্জিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল তার পরিবারের উপর। এছাড়া মার্জিয়ার উপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকেও এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মার্জিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ তারিখ রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ডোবায় ফেলে রাখা হয়।
৩ নভেম্বর সকালে নিখোঁজ হয় কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে ৫ বছরের কন্যা শিশু মুনতাহা। সারাদিন খোঁজাখুঁজির পর মুনতাহা ফিরে না আসায় থানায় জিডি করে পরিবার। নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর, রোববার ভোররাতে প্রতিবেশি আলিফজান বিবি, লাশ ডোবা থেকে পুকুরে ফেলার সময় হাতেনাতে আটক করা হয় তাকে। এ ঘটনায় হতবাক এলাকার মানুষ। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আগুন দিয়েছে ঘাতক পরিবারের বাসায়।
মুনতাহার চাচা কায়সার আহমেদ জানান, মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া পূর্ব শত্রুতার জেরে অপহরণ করে হত্যা করে। পরে বাড়ির পাশে ডোবায় কাদার নিচে পুঁতে রাখে। রোববার ভোর রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবি সেই লাশ সরিয়ে নিতে গেলে জনতার হাতে আটক হয়।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, আমরা আগে থেকে এলাকার কিছু মানুষকে বলে রেখেছিলাম পাহারা দেওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী লোকজন পাহারায় ছিল। জড়িত থাকার সন্দেহে চার জনকে আটক করেছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মার্জিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়। আটক করা হয়েছে মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবিকেও । আলোচিত নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর।
ঠিকানা/এএস