কিছু ফল ও সবজি খাওয়ার পরে পেট ফোলা বা ফাঁপা ভাব দেখা দিতে পারে।
এটা হজমের সাধারণ সমস্যা। তবে অনুভূতিটা অনেক কষ্টকর।
খাবার খাওয়ার পরে পেট ভরা, শক্ত হওয়া বা টান টান অনুভূত হতে পারে। এটা ‘ব্লোটিং’ বা পেট ফাঁপা বা ফোলা নামে পরিচিতি।
হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের মহারাষ্ট্রে অবস্থিত ‘আত্মাতান ওয়েলনেস’য়ের মেডিকেল পরিচালক ও পুষ্টিবিদ ডা. মঞ্জু কাতেরি বলেন, “হজমের সমস্যা সাধারণত খাবারের কারণেই হয়ে থাকে। আর খুব কমই চিকিৎসার সহায়তা নিতে হয়। তবে এর অস্বস্তি অনেক বেশি।”
হরমোন ও মানসিক চাপসহ নানান কারণে পেট ফাঁপা বা ফোলাভাব সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পরে পেট ফাঁপাভাব দেখা দেওয়ার কারণ
সাধারণত ফল ও সবজিকে পুষ্টিকর এবং হজমের জন্য উপকারী বিবেচনা করা হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এসব খাবার পেটফাঁপা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধি খাবার: প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া পেট ফাঁপা অনুভূতি সৃষ্টি করে।
জটিল কার্বোহাইড্রেইট: কাতেরি বলেন, “জটিল কার্বোহাইড্রেইট মলাশয়ে পৌঁছে অন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে গাঁজিত হয় এবং গ্যাস ও ফোলাভাব সৃষ্টি করে। এতে থাকে শর্করার অ্যালকোহল যেমন- সরবিটল গাঁজনের ফলে ফোলাভাব সৃষ্টি করে।”
যাদের হজমের জটিলতা যেমন- ‘এসআইবিও’ বা ‘আইবিএস’ আছে তাদের ফল ও সবজিতে সংবেদনশীলতা দেখা দেয়। ফলে বদহজম ও ফাঁপাভাব হয়।
ফোডম্যাপ ধরনের খাবার: অনেক ফল ও সবজি ‘ফোডম্যাপ’ (ফার্মেন্টেবল ওলিগো-ডি-মোনোস্যাকারাইড অ্যান্ড পল্যোলস)এর অন্তর্গত যা পেট ফাঁপা সৃষ্টি করে।
এছাড়াও মাসিক চক্র সাময়িক পেট ফাঁপা তৈরি করতে পারে।
যেসব ফল ও সবজি পেট ফাঁপা সৃষ্টি করে
সাধারণ খাবারও পেটে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
ক্রুসিফেরাস সবজি: ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রাসেলস স্প্রাউটের মতো খাবার ‘রাফিনোজ’ ও ‘ফ্রুক্ট্যান্স’ সমৃদ্ধ। এগুলো জটিল কার্বোহাইড্রেইট। এই ধরনের খাবার হজমে জটিলতা, গ্যাস সৃষ্টি ও পেট ফাঁপাভাব দেখা দেয়।
মটর ও ডাল: মটর, ডাল ও কাবলি ‘এলিগোসাকারাইডস’ ধরনের জটিল কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ। আর ‘ফোডম্যাপ’ খাবারের অন্তর্গত। এই উপাদান হজম করা কঠিন। ফলে পেটে গাস ও ফাঁপাভাব দেখা দেয়।
পেঁয়াজ ও রসুন: এগুলোতে আছে ‘ফ্রুক্ট্যান্স’ নামক জটিল কার্বোহাইড্রেইট যা অনেকের পক্ষেই হজম করা কঠিন। ফলে এসব খাওয়া পেট-ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা বাড়ায়।
আপেল ও নাশপাতি: এসব ফলে আছে নানান রকমের আঁশ যা ‘পেকটিন’ নামে পরিচিত। এগুলো হজমক্রিয়ার মাধ্যমে গাঁজনের ফলে গ্যাস সৃষ্টি করে।
এতে রয়েছে ‘সরবিটল’ যা পেটফাঁপা করে। ‘সরবিটল’ সমৃদ্ধ আরও কয়েকটি ফল হল- পিচ, চেরি ও পাম।
তরমুজ: এর অধিকাংশই জলীয় অংশ, এটা উচ্চ ফ্রুকটোজ সমৃদ্ধ এবং সাধারণ ‘ফোডম্যাপ’ তালিকার খাবার গ্রহণে গাঁজনের সৃষ্টি করে।
অনেকেরই ফ্রুকটোজ হজমে সমস্যা থাকে। ফলে গ্যাস ও পাট-ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয়।
আঁশ সমৃদ্ধ সবজি: কাতেরির মতে, “কিছু সবজি যেমন- আর্টিচোকস, অ্যাসপ্যারাগাস ও সিলেরি আঁশ সমৃদ্ধ। আঁশ সাধারণত হজমের জন্য উপকারী। তবে অতিরিক্ত আঁশ গ্রহণ হজমে সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করে।”
ঠিকানা/এসআর
এটা হজমের সাধারণ সমস্যা। তবে অনুভূতিটা অনেক কষ্টকর।
খাবার খাওয়ার পরে পেট ভরা, শক্ত হওয়া বা টান টান অনুভূত হতে পারে। এটা ‘ব্লোটিং’ বা পেট ফাঁপা বা ফোলা নামে পরিচিতি।
হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের মহারাষ্ট্রে অবস্থিত ‘আত্মাতান ওয়েলনেস’য়ের মেডিকেল পরিচালক ও পুষ্টিবিদ ডা. মঞ্জু কাতেরি বলেন, “হজমের সমস্যা সাধারণত খাবারের কারণেই হয়ে থাকে। আর খুব কমই চিকিৎসার সহায়তা নিতে হয়। তবে এর অস্বস্তি অনেক বেশি।”
হরমোন ও মানসিক চাপসহ নানান কারণে পেট ফাঁপা বা ফোলাভাব সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পরে পেট ফাঁপাভাব দেখা দেওয়ার কারণ
সাধারণত ফল ও সবজিকে পুষ্টিকর এবং হজমের জন্য উপকারী বিবেচনা করা হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এসব খাবার পেটফাঁপা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধি খাবার: প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া পেট ফাঁপা অনুভূতি সৃষ্টি করে।
জটিল কার্বোহাইড্রেইট: কাতেরি বলেন, “জটিল কার্বোহাইড্রেইট মলাশয়ে পৌঁছে অন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে গাঁজিত হয় এবং গ্যাস ও ফোলাভাব সৃষ্টি করে। এতে থাকে শর্করার অ্যালকোহল যেমন- সরবিটল গাঁজনের ফলে ফোলাভাব সৃষ্টি করে।”
যাদের হজমের জটিলতা যেমন- ‘এসআইবিও’ বা ‘আইবিএস’ আছে তাদের ফল ও সবজিতে সংবেদনশীলতা দেখা দেয়। ফলে বদহজম ও ফাঁপাভাব হয়।
ফোডম্যাপ ধরনের খাবার: অনেক ফল ও সবজি ‘ফোডম্যাপ’ (ফার্মেন্টেবল ওলিগো-ডি-মোনোস্যাকারাইড অ্যান্ড পল্যোলস)এর অন্তর্গত যা পেট ফাঁপা সৃষ্টি করে।
এছাড়াও মাসিক চক্র সাময়িক পেট ফাঁপা তৈরি করতে পারে।
যেসব ফল ও সবজি পেট ফাঁপা সৃষ্টি করে
সাধারণ খাবারও পেটে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
ক্রুসিফেরাস সবজি: ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রাসেলস স্প্রাউটের মতো খাবার ‘রাফিনোজ’ ও ‘ফ্রুক্ট্যান্স’ সমৃদ্ধ। এগুলো জটিল কার্বোহাইড্রেইট। এই ধরনের খাবার হজমে জটিলতা, গ্যাস সৃষ্টি ও পেট ফাঁপাভাব দেখা দেয়।
মটর ও ডাল: মটর, ডাল ও কাবলি ‘এলিগোসাকারাইডস’ ধরনের জটিল কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ। আর ‘ফোডম্যাপ’ খাবারের অন্তর্গত। এই উপাদান হজম করা কঠিন। ফলে পেটে গাস ও ফাঁপাভাব দেখা দেয়।
পেঁয়াজ ও রসুন: এগুলোতে আছে ‘ফ্রুক্ট্যান্স’ নামক জটিল কার্বোহাইড্রেইট যা অনেকের পক্ষেই হজম করা কঠিন। ফলে এসব খাওয়া পেট-ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা বাড়ায়।
আপেল ও নাশপাতি: এসব ফলে আছে নানান রকমের আঁশ যা ‘পেকটিন’ নামে পরিচিত। এগুলো হজমক্রিয়ার মাধ্যমে গাঁজনের ফলে গ্যাস সৃষ্টি করে।
এতে রয়েছে ‘সরবিটল’ যা পেটফাঁপা করে। ‘সরবিটল’ সমৃদ্ধ আরও কয়েকটি ফল হল- পিচ, চেরি ও পাম।
তরমুজ: এর অধিকাংশই জলীয় অংশ, এটা উচ্চ ফ্রুকটোজ সমৃদ্ধ এবং সাধারণ ‘ফোডম্যাপ’ তালিকার খাবার গ্রহণে গাঁজনের সৃষ্টি করে।
অনেকেরই ফ্রুকটোজ হজমে সমস্যা থাকে। ফলে গ্যাস ও পাট-ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয়।
আঁশ সমৃদ্ধ সবজি: কাতেরির মতে, “কিছু সবজি যেমন- আর্টিচোকস, অ্যাসপ্যারাগাস ও সিলেরি আঁশ সমৃদ্ধ। আঁশ সাধারণত হজমের জন্য উপকারী। তবে অতিরিক্ত আঁশ গ্রহণ হজমে সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করে।”
ঠিকানা/এসআর