বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২৭ অক্টোবর। নির্বাচনে কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৯টি পদেই সেলিম-আলী প্যানেল জয়লাভ করেছে। এই জয়লাভের মধ্য দিয়ে তারা সোসাইটি পরিচালনার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সোসাইটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলতি মাসেই নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র জানায়, নির্বাচনের পর অভিষেক ও দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়ে বর্তমান সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিদ্দিকীর সঙ্গে দুই দফা কথা হয়েছে নবনির্বাচিত সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলীর। প্রথমবার বর্তমান সেক্রেটারি নবনির্বাচিত সেক্রেটারিকে বলেছিলেন তারা আলোচনা করে অভিষেক অনুষ্ঠানের সময় ঠিক করবেন। তখন তিনি আভাস দিয়েছিলেন নভেম্বরেই অভিষেক হওয়ার কথা। দ্বিতীয়বার আলাপকালেও অভিষেক নভেম্বরের কথা বলেছেন, তবে দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। একটি সূত্র আভাস দিয়েছে, সোসাইটির পরিচালনা কমিটির মধ্যে এ নিয়ে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে। কেউ কেউ চাইছেন অভিষেক ডিসেম্বরে করতে আবার কেউ কেউ নভেম্বরেই করতে চান। কারণ অভিষেক ও দায়িত্ব হস্তান্তরের পর সাধারণ বিদায়ী কমিটি রুটিন কাজ ছাড়া তেমন কোনো কর্মকাণ্ড করে না। তাই কমিটির কোনো কোনো নেতা চাইছেন কিছুটা বিলম্ব করতে। এমনও শোনা গেছে, কমিটির সব নেতা অভিষেক অনুষ্ঠানে নাও থাকতে পারেন। কমিটির কেউ দায়িত্ব বোঝানোর জন্য উপস্থিত না থাকলে বা দায়িত্ব না দিলে ১ জানুয়ারির আগেই ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমেও ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে বলে একজন কর্মকর্তা আভাস দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, সোসাইটির সব ধরনের হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করেই তারা আমাদেরকে দায়িত্ব দেবে। অভিষেক হয়ে যাওয়া মানেই দায়িত্ব হস্তান্তর। তবে শুনেছি কিছু কিছু বিষয়ে সমস্যা আছে। বিশেষ করে, আর্থিক হিসাব-নিকাশের বিষয়টি। এ কারণে একটি গ্রুপ চাইছে দায়িত্ব হস্তান্তর আগেভাগে না করে ৩ জানুয়ারি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার। এ কারণে নির্বাচনের পরপর এ বিষয়ে আলোচনা হলেও এখন ধীর গতিতে এগোচ্ছে বিষয়টি। তবে নবনির্বাচিত একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন অভিষেক সম্পন্ন করবে, কমিটি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবে। তবে কেউ যদি দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে দেরি করেন বা অভিষেক অনুষ্ঠানে থাকতে না চান, তাহলে নির্বাচন কমিশনই নতুন কমিটিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবে।
সূত্র জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগেই অভিষেক হয়ে যাবে। সোসাইটির নবনির্বাচিত কমিটির নেতারা দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। এ ব্যাপারে দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। তবে সহসাই ঠিক হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নবনির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের সময় সোসাইটির পূর্ণাঙ্গ হিসাব নেবে। সিপিএ সার্টিফায়েড হিসাব হতে হবে। গত নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন হিসাব দিতে দেরি করেছে, এবার তা করা হবে না। সোসাইটির নির্বাচন কমিশনকেও ডিসেম্বরের মধ্যেই সিপিএ সার্টিফায়েড হিসাব শেষ করতে হবে। সোসাইটির অ্যাকাউন্ট হ্যাকের ঘটনার বর্তমান পরিস্থিতি, মামলার অবস্থাসহ সবকিছুই বুঝে নেবে। পাশাপাশি চলমান কোনো প্রকল্প থাকলে তা কোন অবস্থায় আছে, এরও ইতিবৃত্ত তারা বুঝে নেবে।
সূত্র জানায়, সোসাইটির আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা আনা হবে। এর আগে নির্বাচনের জন্য ৩ লাখ ২৫ হাজার ডলার খরচ হয়েছে। এই খরচের হিসাব ওই সময়ে দেওয়া হয়েছে। এই হিসাব শুরুতে সিপিএ সার্টিফায়েড ছিল না। পরে দিয়েছে বলে শোনা যায় কিন্তু সেটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এর আগে সোসাইটির নির্বাচন বারবার পেছানো হয়েছে, বারবার কমিশনকে বাজেট দেওয়া হয়েছে নির্বাচনের জন্য। এ নিয়ে আপত্তিও ছিল। সেটির সমাধান কীভাবে হয়েছে, সেটিও জানতে হবে। কমিশনের যুক্তি ছিল তারা এক নির্বাচনের জন্য বারবার হিসাব না দিয়ে একবারই দেবে। সে হিসেবে তারা তাদের ইচ্ছেমতো সময়ে হিসাব দিয়েছে। ওই সময়ের কমিটি বিষয়টি মেনে নিয়েছে। ওই সময়ের আর্থিক বিষয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে কি না, তা দেখা হবে।
সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশ সোসাইটির বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নোয়াখালী সোসাইটির উদ্যোগে ও জাহিদ মিন্টুর নেতৃত্বে কবর প্রকল্প থেকে পাঁচ হাজার কবর কেনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ওই কবর কেনার জন্য কত ডলার দেওয়া হয়েছে, আরও কত ডলার দিতে হবে, কবর কেনার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা কতদূর বাস্তবায়নের পথে, কবরের ন্যায্য মূল্য ধরা হয়েছে কি না এসব বিষয় খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থাৎ পরিষদ পাঁচ হাজার কবর কেনার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে কি না, তাও দেখা হবে। সোসাইটির একাধিক বিষয়ে তদন্ত করা হবে এবং এরপর তা ভোটারদের উদ্দেশে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। সংবাদ সম্মেলন করে তা সবাইকে অবহিত করা হবে।
সূত্র জানায়, নির্বাচনের পর অভিষেক ও দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়ে বর্তমান সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিদ্দিকীর সঙ্গে দুই দফা কথা হয়েছে নবনির্বাচিত সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলীর। প্রথমবার বর্তমান সেক্রেটারি নবনির্বাচিত সেক্রেটারিকে বলেছিলেন তারা আলোচনা করে অভিষেক অনুষ্ঠানের সময় ঠিক করবেন। তখন তিনি আভাস দিয়েছিলেন নভেম্বরেই অভিষেক হওয়ার কথা। দ্বিতীয়বার আলাপকালেও অভিষেক নভেম্বরের কথা বলেছেন, তবে দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। একটি সূত্র আভাস দিয়েছে, সোসাইটির পরিচালনা কমিটির মধ্যে এ নিয়ে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে। কেউ কেউ চাইছেন অভিষেক ডিসেম্বরে করতে আবার কেউ কেউ নভেম্বরেই করতে চান। কারণ অভিষেক ও দায়িত্ব হস্তান্তরের পর সাধারণ বিদায়ী কমিটি রুটিন কাজ ছাড়া তেমন কোনো কর্মকাণ্ড করে না। তাই কমিটির কোনো কোনো নেতা চাইছেন কিছুটা বিলম্ব করতে। এমনও শোনা গেছে, কমিটির সব নেতা অভিষেক অনুষ্ঠানে নাও থাকতে পারেন। কমিটির কেউ দায়িত্ব বোঝানোর জন্য উপস্থিত না থাকলে বা দায়িত্ব না দিলে ১ জানুয়ারির আগেই ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমেও ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে বলে একজন কর্মকর্তা আভাস দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, সোসাইটির সব ধরনের হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করেই তারা আমাদেরকে দায়িত্ব দেবে। অভিষেক হয়ে যাওয়া মানেই দায়িত্ব হস্তান্তর। তবে শুনেছি কিছু কিছু বিষয়ে সমস্যা আছে। বিশেষ করে, আর্থিক হিসাব-নিকাশের বিষয়টি। এ কারণে একটি গ্রুপ চাইছে দায়িত্ব হস্তান্তর আগেভাগে না করে ৩ জানুয়ারি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার। এ কারণে নির্বাচনের পরপর এ বিষয়ে আলোচনা হলেও এখন ধীর গতিতে এগোচ্ছে বিষয়টি। তবে নবনির্বাচিত একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন অভিষেক সম্পন্ন করবে, কমিটি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবে। তবে কেউ যদি দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে দেরি করেন বা অভিষেক অনুষ্ঠানে থাকতে না চান, তাহলে নির্বাচন কমিশনই নতুন কমিটিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবে।
সূত্র জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগেই অভিষেক হয়ে যাবে। সোসাইটির নবনির্বাচিত কমিটির নেতারা দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। এ ব্যাপারে দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। তবে সহসাই ঠিক হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নবনির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের সময় সোসাইটির পূর্ণাঙ্গ হিসাব নেবে। সিপিএ সার্টিফায়েড হিসাব হতে হবে। গত নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন হিসাব দিতে দেরি করেছে, এবার তা করা হবে না। সোসাইটির নির্বাচন কমিশনকেও ডিসেম্বরের মধ্যেই সিপিএ সার্টিফায়েড হিসাব শেষ করতে হবে। সোসাইটির অ্যাকাউন্ট হ্যাকের ঘটনার বর্তমান পরিস্থিতি, মামলার অবস্থাসহ সবকিছুই বুঝে নেবে। পাশাপাশি চলমান কোনো প্রকল্প থাকলে তা কোন অবস্থায় আছে, এরও ইতিবৃত্ত তারা বুঝে নেবে।
সূত্র জানায়, সোসাইটির আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা আনা হবে। এর আগে নির্বাচনের জন্য ৩ লাখ ২৫ হাজার ডলার খরচ হয়েছে। এই খরচের হিসাব ওই সময়ে দেওয়া হয়েছে। এই হিসাব শুরুতে সিপিএ সার্টিফায়েড ছিল না। পরে দিয়েছে বলে শোনা যায় কিন্তু সেটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এর আগে সোসাইটির নির্বাচন বারবার পেছানো হয়েছে, বারবার কমিশনকে বাজেট দেওয়া হয়েছে নির্বাচনের জন্য। এ নিয়ে আপত্তিও ছিল। সেটির সমাধান কীভাবে হয়েছে, সেটিও জানতে হবে। কমিশনের যুক্তি ছিল তারা এক নির্বাচনের জন্য বারবার হিসাব না দিয়ে একবারই দেবে। সে হিসেবে তারা তাদের ইচ্ছেমতো সময়ে হিসাব দিয়েছে। ওই সময়ের কমিটি বিষয়টি মেনে নিয়েছে। ওই সময়ের আর্থিক বিষয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে কি না, তা দেখা হবে।
সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশ সোসাইটির বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নোয়াখালী সোসাইটির উদ্যোগে ও জাহিদ মিন্টুর নেতৃত্বে কবর প্রকল্প থেকে পাঁচ হাজার কবর কেনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ওই কবর কেনার জন্য কত ডলার দেওয়া হয়েছে, আরও কত ডলার দিতে হবে, কবর কেনার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা কতদূর বাস্তবায়নের পথে, কবরের ন্যায্য মূল্য ধরা হয়েছে কি না এসব বিষয় খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থাৎ পরিষদ পাঁচ হাজার কবর কেনার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে কি না, তাও দেখা হবে। সোসাইটির একাধিক বিষয়ে তদন্ত করা হবে এবং এরপর তা ভোটারদের উদ্দেশে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। সংবাদ সম্মেলন করে তা সবাইকে অবহিত করা হবে।