হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার পুরোনো রোগ বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনআপের। সেটির পুনরাবৃত্তি হলো বুধবার, প্রথম ভেন্যু হিসেবে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ৩০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের ইতিহাস গড়ার ম্যাচে। আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৩ রানের মধ্যে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে অল আউট বাংলাদেশ। আফগানিস্তান জিতেছে ৯২ রানে। এই জয়ে তিন ওয়ানডের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানরা।
অথচ একটা সময় মনেই হয়েছিল এই ম্যাচে হারবে না বাংলাদেশ। ২৩৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে এসে ২৫ ওভারে ২ উইকেটে ১১৮ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তখন দলের জয়ের সহজ সমীকরণটাও ছিল কত সহজ—বাকি ৮ উইকেটে ২৫ ওভারে তুলতে হবে ১১৮। কিন্তু সহজ এই সমীকরণের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে মোহাম্মদ গজনফারের দুর্বোধ্য স্পিন। ২৬ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো আফগান বোলারের ৫ কিংবা তার চেয়ে বেশি উইকেট পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
রান তাড়ায় দলীয় ১২ রানে তানজিদ তামিমকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৫৩) এবং শান্তর সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের (৫৫) দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি শুরুর বুঝতে দেয়নি। কিন্তু উইকেটে যে দায়িত্ব নিয়ে খেলার কথা, বরাবরের মতো এবার সে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে ব্যর্থ বাংলাদেশ ব্যাটাররা। সৌম্যর আউটটার কথাই ধরা যাক না। ৪৫ বলে ৬ চারে ৩৩ রান করেছেন তিনি। কিন্তু যেভাবে আউট হলেন, তা দেখে মনে হয়েছিল আউট হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন! আগের বলেই এলবিডব্লিউর আবেদন থেকে বেঁচে যাওয়া সৌম্য অযথাই পুল করতে গিয়েছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। খাটো লেন্থের বলে পুল করতে গিয়েছিলেন।
কয়েকবার ‘জীবন’ পেলেও ফিফটি ছোঁয়ার আগেই আউট হয়েছেন শান্ত। ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ৬৮ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রান করলেও সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় তাকেও। অফ স্টাম্পের বাইরের বল দূর থেকেই সুইপ করতে গিয়ে শট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। এর পরই তো গজনফারের ‘গজবে’ মড়ক লাগে বাংলাদেশ ইনিংসে। শেষ ২৩ রানে হারায় ৮ উইকেট।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৩৫ রান করে আফগানিস্তান। তাসকিন আহমেদ আর মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপের মুখে একপর্যায়ে ৩৫ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল আফগানিস্তান। তখন মনেই হয়নি আফগানদের স্কোর দুই শ ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়েছে অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদি ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর ব্যাটিংয়ের সুবাদে। দুজনই ফিফটি করেছেন। মোস্তাফিজের শিকার হওয়ার আগে ৯২ বলে ৫২ রান করেন শাহিদি। আর তাসকিনকে উইকেট দিয়ে আসার আগে ৭৯ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন নবী। ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো এই ইনিংসের সুবাদে রেকর্ড বইয়ের ছোট একটা জায়গায় নামও উঠিয়েছেন আফগান অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি বয়সে ৫০ পেরোনো ইনিংস খেলা ব্যাটার এখন তিনিই।
৩৫ রানে ৪ উইকেটে পতনের পর পঞ্চম উইকেটে গুলবদিন নাইবকে নিয়ে ৩৬ রানের জুটি গড়েন শাহিদি। নাইবের বিদায়ের পর নবী-শাহিদি ১২২ বলে ১০৪ রান করেন। এই জুটিই আফগানদের পাইয়ে দেয় ২৩৫ রানের স্কোর। বল হাতে সবচেয়ে সফল তাসকিন ও মোস্তাফিজ। দুজনই নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। ৬ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন মোহাম্মদ গজনফার।
ঠিকানা/এনআই
অথচ একটা সময় মনেই হয়েছিল এই ম্যাচে হারবে না বাংলাদেশ। ২৩৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে এসে ২৫ ওভারে ২ উইকেটে ১১৮ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তখন দলের জয়ের সহজ সমীকরণটাও ছিল কত সহজ—বাকি ৮ উইকেটে ২৫ ওভারে তুলতে হবে ১১৮। কিন্তু সহজ এই সমীকরণের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে মোহাম্মদ গজনফারের দুর্বোধ্য স্পিন। ২৬ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো আফগান বোলারের ৫ কিংবা তার চেয়ে বেশি উইকেট পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
রান তাড়ায় দলীয় ১২ রানে তানজিদ তামিমকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৫৩) এবং শান্তর সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের (৫৫) দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি শুরুর বুঝতে দেয়নি। কিন্তু উইকেটে যে দায়িত্ব নিয়ে খেলার কথা, বরাবরের মতো এবার সে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে ব্যর্থ বাংলাদেশ ব্যাটাররা। সৌম্যর আউটটার কথাই ধরা যাক না। ৪৫ বলে ৬ চারে ৩৩ রান করেছেন তিনি। কিন্তু যেভাবে আউট হলেন, তা দেখে মনে হয়েছিল আউট হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন! আগের বলেই এলবিডব্লিউর আবেদন থেকে বেঁচে যাওয়া সৌম্য অযথাই পুল করতে গিয়েছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। খাটো লেন্থের বলে পুল করতে গিয়েছিলেন।
কয়েকবার ‘জীবন’ পেলেও ফিফটি ছোঁয়ার আগেই আউট হয়েছেন শান্ত। ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ৬৮ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রান করলেও সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় তাকেও। অফ স্টাম্পের বাইরের বল দূর থেকেই সুইপ করতে গিয়ে শট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। এর পরই তো গজনফারের ‘গজবে’ মড়ক লাগে বাংলাদেশ ইনিংসে। শেষ ২৩ রানে হারায় ৮ উইকেট।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৩৫ রান করে আফগানিস্তান। তাসকিন আহমেদ আর মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপের মুখে একপর্যায়ে ৩৫ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল আফগানিস্তান। তখন মনেই হয়নি আফগানদের স্কোর দুই শ ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়েছে অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদি ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর ব্যাটিংয়ের সুবাদে। দুজনই ফিফটি করেছেন। মোস্তাফিজের শিকার হওয়ার আগে ৯২ বলে ৫২ রান করেন শাহিদি। আর তাসকিনকে উইকেট দিয়ে আসার আগে ৭৯ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন নবী। ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো এই ইনিংসের সুবাদে রেকর্ড বইয়ের ছোট একটা জায়গায় নামও উঠিয়েছেন আফগান অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি বয়সে ৫০ পেরোনো ইনিংস খেলা ব্যাটার এখন তিনিই।
৩৫ রানে ৪ উইকেটে পতনের পর পঞ্চম উইকেটে গুলবদিন নাইবকে নিয়ে ৩৬ রানের জুটি গড়েন শাহিদি। নাইবের বিদায়ের পর নবী-শাহিদি ১২২ বলে ১০৪ রান করেন। এই জুটিই আফগানদের পাইয়ে দেয় ২৩৫ রানের স্কোর। বল হাতে সবচেয়ে সফল তাসকিন ও মোস্তাফিজ। দুজনই নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। ৬ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন মোহাম্মদ গজনফার।
ঠিকানা/এনআই