স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। ৪ নভেম্বর (সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনে আমাদের অনেক ছেলে-মেয়ে আহত হয়েছেন, অনেকে শহীদ হয়েছেন। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের জন্য সরকারের একটা বরাদ্দ আছে, সেটা তারা পেয়ে যাবেন। আহতদের বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব তাদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া। সেটা নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। চিকিৎসকদের পরামর্শে আহত তিনজনকে এরইমধ্যে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আরও ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে আহতদের সুচিকিৎসা।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে নানা ধরনের বহুমুখী সমস্যা আছে। বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নার্সের সংকট রয়েছে। যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। অনেক জায়গায় এম.আর.আই মেশিন, এক্সরে মেশিন নষ্ট। এসব সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নূরজাহান বেগম বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য চায়না, নেপাল, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসেছে। নেপাল ৫০ জনের চোখের কর্নিয়া স্থাপনের ব্যবস্থা করছে। এরইমধ্যে দুইজনের চোখে সফলভাবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেক শ্রেণির পেশার মানুষ আছেন। অনেকে হাত হারিয়েছেন, অনেকে পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আহতদের অনেকে নানা ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এটা শুধু মন্ত্রণালয়ের না, পুরো জাতির বিষয়।
চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা বলেন, হাসপাতালটি ২২শ শয্যার হলেও রোগী থাকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। ধারণক্ষমতার বাইরে রোগী থাকায় কিছু তো ব্যতিক্রম হবেই। এখানে বাড়তি টাকা নেওয়াসহ নানা অভিযোগ আছে। এখানে সরকারেরও যথেষ্ট দায়বদ্ধতা আছে।
পরে তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্রু মারমা, সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ বিভাগের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঠিকানা/এএস
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনে আমাদের অনেক ছেলে-মেয়ে আহত হয়েছেন, অনেকে শহীদ হয়েছেন। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের জন্য সরকারের একটা বরাদ্দ আছে, সেটা তারা পেয়ে যাবেন। আহতদের বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব তাদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া। সেটা নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। চিকিৎসকদের পরামর্শে আহত তিনজনকে এরইমধ্যে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আরও ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে আহতদের সুচিকিৎসা।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে নানা ধরনের বহুমুখী সমস্যা আছে। বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নার্সের সংকট রয়েছে। যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। অনেক জায়গায় এম.আর.আই মেশিন, এক্সরে মেশিন নষ্ট। এসব সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নূরজাহান বেগম বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য চায়না, নেপাল, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসেছে। নেপাল ৫০ জনের চোখের কর্নিয়া স্থাপনের ব্যবস্থা করছে। এরইমধ্যে দুইজনের চোখে সফলভাবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেক শ্রেণির পেশার মানুষ আছেন। অনেকে হাত হারিয়েছেন, অনেকে পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আহতদের অনেকে নানা ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এটা শুধু মন্ত্রণালয়ের না, পুরো জাতির বিষয়।
চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা বলেন, হাসপাতালটি ২২শ শয্যার হলেও রোগী থাকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। ধারণক্ষমতার বাইরে রোগী থাকায় কিছু তো ব্যতিক্রম হবেই। এখানে বাড়তি টাকা নেওয়াসহ নানা অভিযোগ আছে। এখানে সরকারেরও যথেষ্ট দায়বদ্ধতা আছে।
পরে তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্রু মারমা, সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ বিভাগের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঠিকানা/এএস