২০২২ সালে প্রথমবার দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কষ্টের দিন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উল্টো আরও সংগ্রাম করতে হয়েছে সাবিনাদের। অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পর বেতন বৃদ্ধি হলেও সেটা অনিয়মিত। ২০২৩ সালের এপ্রিলে ২০ লাখ টাকার অভাবে অলিম্পিকের বাছাইপর্ব খেলতে মিয়ানমারে যেতে পারেনি নারী ফুটবল দল।
যার কারণে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল বাফুফেকে। তারপরও ফুটবলারদের বেতন নিয়মিত দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে কার্পণ্য করেননি দেশের মেয়েরা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেছেন নারী ফুটবলার।
এরপরই ২ নভেম্বর (শনিবার) সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সাজজয়ীরা। যেখানে নিজেদের সমস্যাগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তুলে ধরেছেন সাবিনারা।
২০১৬ সাল থেকে বাফুফে ভবনে থাকেন নারী ফুটবলরা। সানজিদা-কৃষ্ণাদের মাধ্যমে শুরু হওয়া সেই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন অনেক নতুনরা। বাফুফে ভবনের চার তলায় কয়েকটি কক্ষে অনেক সময় ৭০ জন ফুটবলার থাকেন। এক রুমে ৬-৭ জনও থাকতে হয়। নারী ফুটবল দলে আবাসনও একটা সমস্যা।
তাই প্রধান উপদেষ্টার কাছে ঢাকায় স্থায়ী আবাসনের একটা চাহিদা তুলে ধরেছেন ফুটবলাররা। সাক্ষাৎ শেষে বাফুফে ভবনে ফিরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানান অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
তিনি বলেন, আমাদের পরিবারের অনেকে ঢাকায় আসে, কিন্তু তাদের থাকার জায়গা থাকে না। তাই প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি আমাদের পরিবারের জন্য একটি আবাসন ব্যবস্থার।
ঢাকায় আবাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি অনেক ফুটবলারের নিজ জেলার আবাসনের অবস্থাও খারাপ। অনেকের ঘর ভাঙা আবার অনেকের বাড়ির পথ দুর্গম। পাহাড়ি এলাকায় অনেকের বাড়িতে নেই বিদ্যুৎও। তাই এদিন ব্যক্তিগত সমস্যাও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছেন ফুটবলাররা।
সাবিনা বলেন, মারিয়া, কৃষ্ণা, মনিকা, মাসুরাসহ অনেকেই ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলেছে। যেমন, মনিকার বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা খারাপ এবং সেই এলাকার বিদ্যুৎ সমস্যা।
ব্যক্তিগত চাহিদার পাশাপাশি ফুটবলের কিছু বিষয় নিয়েও আলাপ করেছেন নারী ফুটবলাররা। ফুটবলের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এখনও সংস্কারাধীন। বাফুফে ভবনের পাশে টার্ফ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফও অকেজো প্রায়। তাই নারীদের খুব ভোরে মতিঝিল থেকে বসুন্ধরায় যেতে হয়।
নারী ফুটবলারদের অভাব-অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনে লিখিত আকারে দিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ বিষয়ে সাবিনা বলেন, উপদেষ্টা আমাদের প্রতিটি বিষয় মনোযোগ দিয়ে জেনেছেন। সবগুলো লিখিত দিতে বলেছেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ক্রীড়া উপদেষ্টার মাধ্যমে এই চিঠি দেব।
ঠিকানা/এএস
যার কারণে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল বাফুফেকে। তারপরও ফুটবলারদের বেতন নিয়মিত দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে কার্পণ্য করেননি দেশের মেয়েরা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেছেন নারী ফুটবলার।
এরপরই ২ নভেম্বর (শনিবার) সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সাজজয়ীরা। যেখানে নিজেদের সমস্যাগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তুলে ধরেছেন সাবিনারা।
২০১৬ সাল থেকে বাফুফে ভবনে থাকেন নারী ফুটবলরা। সানজিদা-কৃষ্ণাদের মাধ্যমে শুরু হওয়া সেই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন অনেক নতুনরা। বাফুফে ভবনের চার তলায় কয়েকটি কক্ষে অনেক সময় ৭০ জন ফুটবলার থাকেন। এক রুমে ৬-৭ জনও থাকতে হয়। নারী ফুটবল দলে আবাসনও একটা সমস্যা।
তাই প্রধান উপদেষ্টার কাছে ঢাকায় স্থায়ী আবাসনের একটা চাহিদা তুলে ধরেছেন ফুটবলাররা। সাক্ষাৎ শেষে বাফুফে ভবনে ফিরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানান অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
তিনি বলেন, আমাদের পরিবারের অনেকে ঢাকায় আসে, কিন্তু তাদের থাকার জায়গা থাকে না। তাই প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি আমাদের পরিবারের জন্য একটি আবাসন ব্যবস্থার।
ঢাকায় আবাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি অনেক ফুটবলারের নিজ জেলার আবাসনের অবস্থাও খারাপ। অনেকের ঘর ভাঙা আবার অনেকের বাড়ির পথ দুর্গম। পাহাড়ি এলাকায় অনেকের বাড়িতে নেই বিদ্যুৎও। তাই এদিন ব্যক্তিগত সমস্যাও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছেন ফুটবলাররা।
সাবিনা বলেন, মারিয়া, কৃষ্ণা, মনিকা, মাসুরাসহ অনেকেই ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলেছে। যেমন, মনিকার বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা খারাপ এবং সেই এলাকার বিদ্যুৎ সমস্যা।
ব্যক্তিগত চাহিদার পাশাপাশি ফুটবলের কিছু বিষয় নিয়েও আলাপ করেছেন নারী ফুটবলাররা। ফুটবলের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এখনও সংস্কারাধীন। বাফুফে ভবনের পাশে টার্ফ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফও অকেজো প্রায়। তাই নারীদের খুব ভোরে মতিঝিল থেকে বসুন্ধরায় যেতে হয়।
নারী ফুটবলারদের অভাব-অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনে লিখিত আকারে দিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ বিষয়ে সাবিনা বলেন, উপদেষ্টা আমাদের প্রতিটি বিষয় মনোযোগ দিয়ে জেনেছেন। সবগুলো লিখিত দিতে বলেছেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ক্রীড়া উপদেষ্টার মাধ্যমে এই চিঠি দেব।
ঠিকানা/এএস