ওয়ারফেজ-আর্টসেল কনসার্টে মাতোয়ারা দর্শক 

টেলিজ সেন্টারে রচিত হলো   বাংলাদেশিদের ইতিহাস 

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:১৩ , অনলাইন ভার্সন
নিউইয়র্ক সিটির অদূরে লং আইল্যান্ডের ব্রুকভিলে টেলিজ সেন্টার ফর দ্য পারফরমিং আর্টসের বিশাল অডিটরিয়াম, যার দর্শক ধারণক্ষমতা দুই হাজার ২৪২ জন। গত ২৬ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের তুমুল জনপ্রিয় দুটি ব্যান্ডদল   যথাক্রমে ওয়ারফেজ ও আর্টসেলের কনসার্টে দুই হাজারেরও বেশী দর্শক অংশ নেন। এই বিপুল দর্শক এবং জনপ্রিয় দুটি ব্যান্ডদলকে একমঞ্চে হাজির করার মধ্য দিয়ে টেলিজ সেন্টারে রচিত হয়েছে বাংলাদেশিদের ইতিহাস। এই অভিজাত অডিটরিয়ামে বাংলাদেশিদের কোনো অনুষ্ঠান এটাই প্রথম। 
টেলিজ সেন্টারের ইতিহাসের অংশীদার হয়েছে কনসার্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বহির্বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রবাসের প্রাচীনতম সংবাদমাধ্যম ‘ঠিকানা’ এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি মালিকাধীন টেলিকম কোম্পানি ‘রিভারটেল’। আর এই কনসার্টের যৌথভাবে আয়োজক ছিল গ্যালাক্সি মিডিয়া ও দেশী মিউজিক। 
লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অবস্থিত টেলিজ সেন্টার। নয়নাভিরাম পরিবেশে এই বড় আয়োজনের প্রস্তুতি ছিল অনেক আগে থেকেই। বাংলাদেশের রক ও হেভিমেটাল ব্যান্ড ওয়ারফেজ ও আর্টসেলের কনসার্ট বলে কথা। দরকার ভালো মঞ্চ। আর এজন্য হন্যে হয়ে ভালো অডিটরিয়াম খুঁজছিলেন আয়োজকরা। অবশেষে তারা পেয়ে যান টেলিজ সেন্টার। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পাওয়া ব্যয়বহুল এই টেলিজ সেন্টারে ২৬ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় কনসার্ট আয়োজন চূড়ান্ত হয়। 
প্রায় দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছিল ওয়ারফেজ ও আর্টসেল। বিভিন্ন স্টেটে তারা ২০টির বেশী কনসার্ট করেছেন। সবগুলোতে পেয়েছেন বিপুল সাড়াও। কিন্তু নিউইয়র্কের আয়োজন সব কনসার্টকে ছাপিয়ে গেছে। খোদ ব্যান্ডতারকাই বললেন, টেলিজ সেন্টারের কনসার্ট ‘বেস্ট অব দ্য বেস্টস’। দর্শকদের মধ্যে ছিল ক্রেজ। সববয়সী দর্শক নেচে-গেয়ে আনন্দে মাতোয়ারা হন এই কনসার্টে। তরুণদের মাঝে ছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। কখনো কখনো তা উন্মাদনায়ও পৌঁছে যায়। দর্শকদের এই উচ্ছ্বাসে দারুণ খুশী ছিলেন ব্যান্ডতারকাও। তাইতো অনুষ্ঠান শেষে তারা সেলফি তুলেছেন দর্শক ও ভক্তদের সাথে। 
কনসার্ট শুরুর সময় ছিল সন্ধ্যা ৭টা। কিন্তু দুপুর গড়াতেই ভিড় বাড়দে থাকে। টেলিজ সেন্টারের প্রবেশ পথে ছিল সাজ সাজ রব। রিভারটেল আগে থেকেই অন্যরকম এক আবহ তৈরি করে রেখেছিল সেখানে। ছিল দুই ব্যান্ডদলের ছবি দিয়ে স্টেপ অ্যান্ড রিপিট ব্যাকগ্রাউন্ড। হলের প্রবেশের আগে ভক্তরা সেখানে ইচ্ছামত ছবি তুলেছেন। রিভারটেল কর্মীদের কাছে অনেকেই তাদের আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন, যা ভিডিওচিত্রে ধারণ করেরাখা হয়। টেলিজ সেন্টারের বিশাল অডিটরিয়াম যেমন দর্শকে টইটম্বুর ছিল, তেমনি সেন্টারের পার্কিং লট ছিল গাড়িতে কানায় কানায় পূর্ণ। 
সন্ধ্যা ৭টায় কনসার্ট শুরু হলে প্রথমে মঞ্চে আসে আর্টসেল। তারা প্রায় দুই ঘণ্টা তাদের মৌলিক গান পরিবেশন করেন। এরপর বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও ব্যান্ড তারকাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের কিছু গান পরিবেশন করেন, যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এমনকী কনসার্টে অংশ নেওয়া ৪০ বছরের পুরনো ব্যান্ড ওয়ারফেজেওর একটি গান পরিবেশন করে মহত্ব প্রকাশ করেন আর্টসেল সদস্যরা। 
২৫ বছরের পূরনো আর্টসেল ব্যান্ডদলে ছিলেন ভোকাল জর্জ লিঙ্কন ডি’কস্তা, গিটারিস্ট কাজী ফয়সাল আহমেদ, ইকবাল আসিফ জুয়েল ও আশফাক আহমেদ তুর্য এবং ড্রামার কাজী আশেকীন সাজু। 
আর্টসেলের গানের ফাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাতে খুব অল্প সময়ের জন্য মঞ্চে ডাকা হয় প্রধান পৃষ্ঠপোষক রিভারটেলের ফাউন্ডার ও সিইও রুহিন হোসেন, আয়োজক দেশী মিডিয়ার কর্ণধার জামান মনির ও গ্যালাক্সি মিডিয়ার কর্ণধার মো. বদরুদ্দোজা সাগরকে। তারা সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানের এমসি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, টিভি ও রেডিও উপস্থাপিকা নওশীন মৌ। 
আর্টসেলের পর মঞ্চ কাঁপাতে আসেন ওয়ারফেজ। ব্যান্ডদলটিতে ছিলেন ভোকাল পলাশ নূর ও বাবনা করিম, গিটারিস্ট সমির নাফিজ ও নাঈমুল হক রজার, কি-বোর্ডিস্ট শামস মনসুর ঘানি এবং ড্রামার ও দলনেতা শেখ মনিরুল আলম টিপু। 
নিজেদের মৌলিক গান ছাড়াও মাইকেল জ্যাকসনের বিটস পরিবেশন করেন পলাশ। একসময় ওয়ারফেজ ব্যান্ড ছেড়ে যাওয়া বাবনা নিউইয়র্কে দলের যুক্ত হয়ে পরিবেশন করেন বেশ কিছু গান। দুজনের গানে মাতোয়ারা হয়ে যায় দর্শক। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম নেচে-গেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সারা রাত গান গাইলেও শেষ হতো না তাদের উচ্ছ্বাস। কিন্তু ঘড়ির কাটা থামিয়ে দেয় সেই গতি। রাত ১১টায় অনুষ্ঠান শেষ করার কথা থাকলেও আরো আধাঘণ্টা বাড়িয়ে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। বলতে গেলে প্রতিটি মুহূর্ত ছিল দারুণ উপভোগ্য। 
এর আগে বিরতিতে আবারো শুভেচ্ছা জানাতে মঞ্চে আসেন অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ঠিকানার ভাইস চেয়ারম্যান ও রিভারটেলের কো-ফাউন্ডার মুশরাত শাহীন অনুভা, রিভারটেল ফাউন্ডার ও সিইও রুহিন হোসেন, কো-ফাউন্ডার ইয়াসির, ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক ও সিইও খালেদ মুহিউদ্দীন, আয়োজক দেশী মিউজিকের কর্ণধার জামান মনির, গ্যালাক্সি মিডিয়ার কর্ণধার মো. বদরুদ্দোজা সাগর। এ আয়োজন সফল করায় দর্শকদের ধন্যবাদ জানান তারা।  



 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041