কোরআন পুরো বিশ্ববাসীর জন্য হেদায়েতের বার্তা নিয়ে এসেছে। পৃথিবীতে কোরআনের আগেও অনেকে নবী-রাসূলের ওপর আল্লাহ তায়ালা অনেক কিতাব নাজিল করেছেন। কিন্তু সেই সব কিতাব স্বরূপে সংরক্ষিত থাকেনি। নানা ব্যক্তি গোষ্ঠী ও ফেতনার কবলে পড়ে বিকৃত হয়েছে। মানুষের মনগড়া কথাবার্তা দিয়ে পরিবর্তিত হয়েছে।
তবে কোরআনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- কোনো মিথ্যা এর পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। না এর সম্মুখ থেকে না পেছন থেকে। (সূরা হা মীম সাজদাহ : ৪২)।
মূলত আল্লাহ তায়ালা নিজেই কোরআন হেফাজত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। এর মাধ্যমে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষকে তার সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্কের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
হেদায়েতের বাণী কোরআনের পবিত্রতা রক্ষা করা প্রত্যেকের কর্তব্য। কোরআন নিয়ে হাসি-তামাশা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। একইভাবে কোরআনকে গুনাহের মাধ্যম বানানোও সম্পূর্ণ নিষেধ। মানুষের কাছে নিজের কথা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য অনেকে কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা কথা বলে। এটা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম গুনাহের কাজ।
এমনিতেই মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ। এটি মুনাফিকের স্বভাব। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ، كَانَ مُنَافِقاً خَالِصاً، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ، كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْ نِفاقٍ حَتَّى يَدَعَهَا : إِذَا اؤْتُمِنَ خانَ، وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ
চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে, সে খাঁটি মুনাফিক গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তির মাঝে তার মধ্য হতে একটি স্বভাব থাকবে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকদের একটি স্বভাব থেকে যাবে।
১. তার কাছে আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে। ২. সে কথা বললে মিথ্যা বলে। ৩. ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং ৪. ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীল ভাষা বলে। (সহীহুল বুখারী ৩৪২, ৪৫৯, ৩১৭৮, মুসলিম ৫৮, তিরমিযী ২৬৩২, নাসায়ী ৫০২০, আবূ দাউদ ৪৬৮৮, আহমাদ ৬৭২৯, ৬৮২৫, ৬৮৪০)
যেকোনও ক্ষেত্রে মিথ্যা বলাকে মুনাফিকের স্বভাব বলা হয়েছে হাদিসে। তাই কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে মিথ্যা বলা আরো জঘন্যতর অপরাধ। হজরত সাহাল ইবনে মিনজাব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
مَنْ حَلَفَ بِسُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ لَقِيَ اللَّهَ بِعَدَدِ آيِهَا خَطَايَا
যে ব্যক্তি কোরআন শরিফের কোন একটি সূরার কসম করবে সে ওই সূরার প্রত্যেকটি আয়াতের বদলায় একটি করে গুনাহ নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস ১২৩৬০)
তাই এমন জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকা কাম্য সবারই। তবে কেউ কেউ মনে করেন, কোরআন হাতে ছুঁয়ে মিথ্যা বললে ঈমান থাকে না।
এমন ধারণার প্রেক্ষিতে আলেমরা বলেন, কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও বিভিন্ন হাদীসের মধ্যে সমন্বয় করলে যেটা প্রতিভাত হয়, তাহল এই যে, কুফর-শির্ক ব্যতীত অন্য কোন কবিরা গুনাহর কারণে কাউকে কাফির বলা যায় না। বরং এমন ব্যক্তি মুমিন, তবে তার ঈমান অসম্পূর্ণ।
যদি সে তাওবা করে তবে শাস্তি থেকে রেহাই পাবে। আর যদি তাওবা না করে কবিরা গুনাহে লিপ্ত থেকেই মারা যায় তাহলে সে আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমাও করতে পারেন আবার শাস্তিও দিতে পারেন।
ঠিকানা/এসআর
তবে কোরআনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- কোনো মিথ্যা এর পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। না এর সম্মুখ থেকে না পেছন থেকে। (সূরা হা মীম সাজদাহ : ৪২)।
মূলত আল্লাহ তায়ালা নিজেই কোরআন হেফাজত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। এর মাধ্যমে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষকে তার সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্কের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
হেদায়েতের বাণী কোরআনের পবিত্রতা রক্ষা করা প্রত্যেকের কর্তব্য। কোরআন নিয়ে হাসি-তামাশা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। একইভাবে কোরআনকে গুনাহের মাধ্যম বানানোও সম্পূর্ণ নিষেধ। মানুষের কাছে নিজের কথা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য অনেকে কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা কথা বলে। এটা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম গুনাহের কাজ।
এমনিতেই মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ। এটি মুনাফিকের স্বভাব। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ، كَانَ مُنَافِقاً خَالِصاً، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ، كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْ نِفاقٍ حَتَّى يَدَعَهَا : إِذَا اؤْتُمِنَ خانَ، وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ
চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে, সে খাঁটি মুনাফিক গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তির মাঝে তার মধ্য হতে একটি স্বভাব থাকবে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকদের একটি স্বভাব থেকে যাবে।
১. তার কাছে আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে। ২. সে কথা বললে মিথ্যা বলে। ৩. ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং ৪. ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীল ভাষা বলে। (সহীহুল বুখারী ৩৪২, ৪৫৯, ৩১৭৮, মুসলিম ৫৮, তিরমিযী ২৬৩২, নাসায়ী ৫০২০, আবূ দাউদ ৪৬৮৮, আহমাদ ৬৭২৯, ৬৮২৫, ৬৮৪০)
যেকোনও ক্ষেত্রে মিথ্যা বলাকে মুনাফিকের স্বভাব বলা হয়েছে হাদিসে। তাই কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে মিথ্যা বলা আরো জঘন্যতর অপরাধ। হজরত সাহাল ইবনে মিনজাব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
مَنْ حَلَفَ بِسُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ لَقِيَ اللَّهَ بِعَدَدِ آيِهَا خَطَايَا
যে ব্যক্তি কোরআন শরিফের কোন একটি সূরার কসম করবে সে ওই সূরার প্রত্যেকটি আয়াতের বদলায় একটি করে গুনাহ নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস ১২৩৬০)
তাই এমন জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকা কাম্য সবারই। তবে কেউ কেউ মনে করেন, কোরআন হাতে ছুঁয়ে মিথ্যা বললে ঈমান থাকে না।
এমন ধারণার প্রেক্ষিতে আলেমরা বলেন, কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও বিভিন্ন হাদীসের মধ্যে সমন্বয় করলে যেটা প্রতিভাত হয়, তাহল এই যে, কুফর-শির্ক ব্যতীত অন্য কোন কবিরা গুনাহর কারণে কাউকে কাফির বলা যায় না। বরং এমন ব্যক্তি মুমিন, তবে তার ঈমান অসম্পূর্ণ।
যদি সে তাওবা করে তবে শাস্তি থেকে রেহাই পাবে। আর যদি তাওবা না করে কবিরা গুনাহে লিপ্ত থেকেই মারা যায় তাহলে সে আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমাও করতে পারেন আবার শাস্তিও দিতে পারেন।
ঠিকানা/এসআর