ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হার ভারতের। ১২ বছর পর ঘরের মাঠে হারল তারা। শনিবার (২৬ অক্টোবর) পুনেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত হারল ১১৩ রানে। প্রথম টেস্টে বেঙ্গালুরুতে হেরেছিল তারা। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। এই প্রথম বার ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতল তারা। শেষ ম্যাচ মুম্বাইয়ে।
এর আগে ভারতের মাটিতে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দল খেলতে এসে স্পিন সামলাতে পারেনি। কিন্তু কিউইদের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটারদেরই দেখা গেল স্পিনের বিরুদ্ধে নাস্তানাবুদ হতে। পুনে টেস্টে নিউজিল্যান্ডের স্পিনার মিচেল স্যান্টনার দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ১৩ উইকেট। ভারতীয় ব্যাটাররা কখনো লাইন ফসকালেন, কখনো ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এলেন।
দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ২৫৯ রান করেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৫৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড তোলে ২৫৫ রান। ভারতের লক্ষ্য ছিল ৩৫৯ রান। কিন্তু ২৪৫ রানে শেষ ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। ১১৩ রানে হারল তারা।
পুনেতে ভারতের হারের ম্যাচে সমালোচিত বিরাট কোহলিও। প্রথম ইনিংসে ফুল টস বলে আউট হন তিনি। স্যান্টনারের বল যেভাবে ফসকালেন, তা দেখে অবাক সবাই। স্পিনারদের বিরুদ্ধে বিরাট সেভাবে খেলতে পারছেন না। এশিয়ায় গত তিন বছরে কোহলি স্পিনারদের বিরুদ্ধে এই ম্যাচের আগে মাত্র ৬০৬ রান করেছেন। গড় মাত্র ২৮.৮৫। টেস্ট ক্রিকেটে নয় হাজারের বেশি রান থাকা ব্যাটারের পক্ষে যা বেশ লজ্জার পরিসংখ্যান।
এবারের সফরের আগে ভারতের মাটিতে মাত্র দুটি টেস্ট জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। লাথামের দল এবারই দুটি টেস্ট জিতে নিল। বেঙ্গালুরুতে হারের পর ভারত ওয়াশিংটন সুন্দরকে দলে এনেছিল। নিউজিল্যান্ড দলে পাঁচজন বাঁহাতি ব্যাটার। সে কারণে ওয়াশিংটনকে দলে নেওয়া হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা কাজেও লাগে। তিনি প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট তুলে নেন। কিন্তু ৭ উইকেটের বদলা ৭ উইকেটই নেন স্যান্টনার। স্পিন আক্রমণে ভারতকে সমানে সমানে টক্কর দিল কিউইরা। নিজেদের অস্ত্রেই ঘায়েল ভারত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে নিউজিল্যান্ড স্পিনের বিরুদ্ধে নাস্তানাবুদ হয়েছিল, তারাই ভারতকে ভারতের মাটিতে হারিয়ে দিল।
পুনে টেস্টে ভারতের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ৩৫৯ রান। সেই সময় সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বারবার ২০০৮ সালের চেন্নাই ম্যাচের স্কোরবোর্ড দেখানো হচ্ছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ভারত চতুর্থ ইনিংসে ৩৮৭ রান তাড়া করে জিতেছিল। ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর কি সাজঘরে সেই টেস্টের উদাহরণ দিয়ে রোহিতদের বলেছিলেন, ৩৫৯ রান তাড়া করা সম্ভব? ২০০৮ সালের ম্যাচটিতে গম্ভীর খেলেছিলেন।
চতুর্থ ইনিংসে চেন্নাইয়ের ঘূর্ণি পিচে ১৩৯ বলে ৬৬ রান করেছিলেন। আর উল্টো দিকে দেখেছিলেন বীরেন্দ্র শেবাগকে ৬৮ বলে ৮৩ রান করতে। ৩৫৯ রান তাড়া করতে নেমে শনিবার রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়েসওয়াল আগ্রাসী ক্রিকেটই খেলছিলেন। কিন্তু শেবাগ-গম্ভীরের মতো জুটিটা গড়তে পারেননি। ৪ নম্বরে নেমে ২০০৮ সালে শচিন টেন্ডুলকার শতরান করেছিলেন। কিন্তু শনিবার ৪ নম্বরে বিরাট থেমে গেলেন ১৭ রানে। চেন্নাই টেস্টে জয়ের নেপথ্যে ছিলেন যুবরাজ সিংহও। তিনি ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। শনিবার কেউ যুবরাজ হয়ে উঠতে পারলেন না।
ঠিকানা/এনআই
এর আগে ভারতের মাটিতে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দল খেলতে এসে স্পিন সামলাতে পারেনি। কিন্তু কিউইদের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটারদেরই দেখা গেল স্পিনের বিরুদ্ধে নাস্তানাবুদ হতে। পুনে টেস্টে নিউজিল্যান্ডের স্পিনার মিচেল স্যান্টনার দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ১৩ উইকেট। ভারতীয় ব্যাটাররা কখনো লাইন ফসকালেন, কখনো ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এলেন।
দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ২৫৯ রান করেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৫৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড তোলে ২৫৫ রান। ভারতের লক্ষ্য ছিল ৩৫৯ রান। কিন্তু ২৪৫ রানে শেষ ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। ১১৩ রানে হারল তারা।
পুনেতে ভারতের হারের ম্যাচে সমালোচিত বিরাট কোহলিও। প্রথম ইনিংসে ফুল টস বলে আউট হন তিনি। স্যান্টনারের বল যেভাবে ফসকালেন, তা দেখে অবাক সবাই। স্পিনারদের বিরুদ্ধে বিরাট সেভাবে খেলতে পারছেন না। এশিয়ায় গত তিন বছরে কোহলি স্পিনারদের বিরুদ্ধে এই ম্যাচের আগে মাত্র ৬০৬ রান করেছেন। গড় মাত্র ২৮.৮৫। টেস্ট ক্রিকেটে নয় হাজারের বেশি রান থাকা ব্যাটারের পক্ষে যা বেশ লজ্জার পরিসংখ্যান।
এবারের সফরের আগে ভারতের মাটিতে মাত্র দুটি টেস্ট জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। লাথামের দল এবারই দুটি টেস্ট জিতে নিল। বেঙ্গালুরুতে হারের পর ভারত ওয়াশিংটন সুন্দরকে দলে এনেছিল। নিউজিল্যান্ড দলে পাঁচজন বাঁহাতি ব্যাটার। সে কারণে ওয়াশিংটনকে দলে নেওয়া হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা কাজেও লাগে। তিনি প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট তুলে নেন। কিন্তু ৭ উইকেটের বদলা ৭ উইকেটই নেন স্যান্টনার। স্পিন আক্রমণে ভারতকে সমানে সমানে টক্কর দিল কিউইরা। নিজেদের অস্ত্রেই ঘায়েল ভারত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে নিউজিল্যান্ড স্পিনের বিরুদ্ধে নাস্তানাবুদ হয়েছিল, তারাই ভারতকে ভারতের মাটিতে হারিয়ে দিল।
পুনে টেস্টে ভারতের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ৩৫৯ রান। সেই সময় সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বারবার ২০০৮ সালের চেন্নাই ম্যাচের স্কোরবোর্ড দেখানো হচ্ছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ভারত চতুর্থ ইনিংসে ৩৮৭ রান তাড়া করে জিতেছিল। ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর কি সাজঘরে সেই টেস্টের উদাহরণ দিয়ে রোহিতদের বলেছিলেন, ৩৫৯ রান তাড়া করা সম্ভব? ২০০৮ সালের ম্যাচটিতে গম্ভীর খেলেছিলেন।
চতুর্থ ইনিংসে চেন্নাইয়ের ঘূর্ণি পিচে ১৩৯ বলে ৬৬ রান করেছিলেন। আর উল্টো দিকে দেখেছিলেন বীরেন্দ্র শেবাগকে ৬৮ বলে ৮৩ রান করতে। ৩৫৯ রান তাড়া করতে নেমে শনিবার রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়েসওয়াল আগ্রাসী ক্রিকেটই খেলছিলেন। কিন্তু শেবাগ-গম্ভীরের মতো জুটিটা গড়তে পারেননি। ৪ নম্বরে নেমে ২০০৮ সালে শচিন টেন্ডুলকার শতরান করেছিলেন। কিন্তু শনিবার ৪ নম্বরে বিরাট থেমে গেলেন ১৭ রানে। চেন্নাই টেস্টে জয়ের নেপথ্যে ছিলেন যুবরাজ সিংহও। তিনি ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। শনিবার কেউ যুবরাজ হয়ে উঠতে পারলেন না।
ঠিকানা/এনআই