প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ আবশ্যক নয় বলে মনে করেন আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক। ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা যে আর প্রধানমন্ত্রী নন, এ বিষয়ে কারো কোনো সন্দেহ নেই। এটা ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়ে গেছে।’
একই টকশো’তে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রথমে সজীব ওয়াজেদ জয়, তারপর ফোনালাপে শেখ হাসিনা নিজের পদত্যাগের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তখন থেকেই পদত্যাগের কাগজের খোঁজ নেওয়া শুরু করেন তিনি।
২২ অক্টোবর মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ইউটিউব চ্যানেলে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ, অন্তর্র্বতী সরকার, সংবিধান, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি- দেশের এমন সব প্রসঙ্গে অতিথিদের প্রশ্ন করেন ঠিকানা টিভির সিইও এবং প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন।
সবশেষ রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর শেখ হাসিনার পদত্যাগের প্রমাণপত্র নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে, সেই সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা খ্যাতিমান সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর কাছে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চান, এই খোঁজ নেওয়ার কারণ আসলে কী? -এ বিষয়ে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘পদত্যাগের কপি মাস্ট কি না জানি না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে সাধারণত তার একটা কপি থাকে।’
শেখ হাসিনার পদত্যাগের কাগজ আইনগত দিক দিয়ে খুব একটা জরুরি মনে করছেন না বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। তার ভাষ্যমতে, ‘কাগজটা থাকলে এর ঐতিহাসিক মূল্য আছে। কিন্তু না থাকলে এর ব্যবহারিক বা আইনগত গুরুত্ব আর নেই।’
আড়াই মাসের মাথায় এসে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ বঙ্গভবনে না থাকার কথা বলে নিজের পদই কী নড়বড়ে করে ফেললেন রাষ্ট্রপতি? এ প্রসঙ্গে শাহদীন মালিক ‘বর্তমান রাষ্ট্রপতির দিন সীমিত হয়ে গেছে। সরকার পতনের পর আন্দোলনকারী ছাত্ররা পতিত সরকারের দোসরদের সরে যেতে বলেছে। প্রায় সবাই সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আগের রেজিম থেকে একমাত্র রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনই আছেন্। আমার ধারণা তাকেও চলে যেতে হবে।’
‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে মতিউর রহমান চৌধুরী পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন, স্পিকার পদত্যাগ করেছেন। ডেপুটি স্পিকার কারাগারে। এক্ষেত্রে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি কার কাছে পদত্যাগ করবেন?
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নিজের সবশেষ আলাপের বরাত দিয়ে মতিউর রহমান বলেন, জুন মাস থেকেই শেখ হাসিনার সঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধানের একটি দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ৫ আগস্ট আসার কথা থাকলেও সেদিন বঙ্গভবনে আসার সময়-সুযোগ আর পাননি শেখ হাসিনা। তাই রাষ্ট্রপতি বলেছেন, কিছু না বলেই ভারতে চলে গেছেন তিনি।
দেশে বর্তমানে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণে জাতীয় সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন মতিউর রহমান চৌধুরী। তার সঙ্গে অভিন্ন মত প্রকাশ করে শাহদীন মালিক বলেন, জাতীয় সরকার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসাবে তার নাম ঘোষণা করলেও সেই দায়িত্ব কেন নেননি- এই টকশোতে এসেই স্পষ্ট করেন ড. শাহদীন মালিক। এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ ইঙ্গিত দেন, আগে থেকে না জানিয়ে তার নাম ঘোষিত হয়েছিল। এ বিষয়টি তিনি গ্রহণ করতে পারেননি।
একই টকশো’তে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রথমে সজীব ওয়াজেদ জয়, তারপর ফোনালাপে শেখ হাসিনা নিজের পদত্যাগের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তখন থেকেই পদত্যাগের কাগজের খোঁজ নেওয়া শুরু করেন তিনি।
২২ অক্টোবর মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ইউটিউব চ্যানেলে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ, অন্তর্র্বতী সরকার, সংবিধান, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি- দেশের এমন সব প্রসঙ্গে অতিথিদের প্রশ্ন করেন ঠিকানা টিভির সিইও এবং প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন।
সবশেষ রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর শেখ হাসিনার পদত্যাগের প্রমাণপত্র নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে, সেই সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা খ্যাতিমান সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর কাছে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চান, এই খোঁজ নেওয়ার কারণ আসলে কী? -এ বিষয়ে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘পদত্যাগের কপি মাস্ট কি না জানি না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে সাধারণত তার একটা কপি থাকে।’
শেখ হাসিনার পদত্যাগের কাগজ আইনগত দিক দিয়ে খুব একটা জরুরি মনে করছেন না বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। তার ভাষ্যমতে, ‘কাগজটা থাকলে এর ঐতিহাসিক মূল্য আছে। কিন্তু না থাকলে এর ব্যবহারিক বা আইনগত গুরুত্ব আর নেই।’
আড়াই মাসের মাথায় এসে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ বঙ্গভবনে না থাকার কথা বলে নিজের পদই কী নড়বড়ে করে ফেললেন রাষ্ট্রপতি? এ প্রসঙ্গে শাহদীন মালিক ‘বর্তমান রাষ্ট্রপতির দিন সীমিত হয়ে গেছে। সরকার পতনের পর আন্দোলনকারী ছাত্ররা পতিত সরকারের দোসরদের সরে যেতে বলেছে। প্রায় সবাই সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আগের রেজিম থেকে একমাত্র রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনই আছেন্। আমার ধারণা তাকেও চলে যেতে হবে।’
‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে মতিউর রহমান চৌধুরী পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন, স্পিকার পদত্যাগ করেছেন। ডেপুটি স্পিকার কারাগারে। এক্ষেত্রে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি কার কাছে পদত্যাগ করবেন?
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নিজের সবশেষ আলাপের বরাত দিয়ে মতিউর রহমান বলেন, জুন মাস থেকেই শেখ হাসিনার সঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধানের একটি দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ৫ আগস্ট আসার কথা থাকলেও সেদিন বঙ্গভবনে আসার সময়-সুযোগ আর পাননি শেখ হাসিনা। তাই রাষ্ট্রপতি বলেছেন, কিছু না বলেই ভারতে চলে গেছেন তিনি।
দেশে বর্তমানে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণে জাতীয় সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন মতিউর রহমান চৌধুরী। তার সঙ্গে অভিন্ন মত প্রকাশ করে শাহদীন মালিক বলেন, জাতীয় সরকার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসাবে তার নাম ঘোষণা করলেও সেই দায়িত্ব কেন নেননি- এই টকশোতে এসেই স্পষ্ট করেন ড. শাহদীন মালিক। এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ ইঙ্গিত দেন, আগে থেকে না জানিয়ে তার নাম ঘোষিত হয়েছিল। এ বিষয়টি তিনি গ্রহণ করতে পারেননি।