নিউইয়র্কের হোম হেলথ কেয়ার প্রোগ্রামের ওপর গভর্নর ক্যাথি হোকুলের প্রস্তাবিত পরিবর্তন নিয়ে বিরোধী পক্ষের সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। এই পরিবর্তনটি মূলত নিউইয়র্কের কনজিউমার ডিরেক্টেড পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের (সিডিপিএপি) সাথে সম্পর্কিত, যা মেডিকেডের মাধ্যমে প্রায় ২.৫ লাখ নিউইয়র্কবাসীকে সাহায্য করে। সিডিপিএপি হলো একটি প্রোগ্রাম যেখানে দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা বা শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে বাসায় বসবাসরত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত সহায়ক হিসেবে পরিবারের সদস্য বা প্রিয়জনদের ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হয়।
প্রস্তাবিত পরিবর্তনের মূল পয়েন্টগুলো: গত মাসে গভর্নর হোকুল ঘোষণা করেছেন, সিডিপিএপি প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য জর্জিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পাবলিক পার্টনারশিপস (পিপিএল) নির্বাচিত হয়েছে। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি এই পরিবর্তন শুরু হবে। বর্তমানে এই প্রোগ্রামটি নিউইয়র্কে ছয় শতাধিক স্থানীয় এজেন্সি বা ফিসকাল ইন্টারমিডিয়ারি (সুবিধা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান) দ্বারা পরিচালিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ যেমন মেডিকেডের অর্থ প্রদান, পে-রোল পরিচালনা ইত্যাদি করে থাকে। কিন্তু পিপিএল প্রতিষ্ঠানটিকে প্রোগ্রামের একক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে, যার ফলে অনেক স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ধর্মীয় নেতাদের উদ্বেগ: নিউইয়র্কের কিছু ধর্মীয় নেতা গভর্নর হোকুলের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। বিরোধিতা ক্রমশই বাড়ছে। তারা দাবি করছেন, এই পরিবর্তনের ফলে যারা এই প্রোগ্রামের উপর নির্ভরশীল তাদের সেবা ব্যাহত হতে পারে এবং স্থানীয় এজেন্সিগুলো বন্ধ হয়ে গেলে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। তারা আরও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে পিপিএলের আগের ইতিহাসে কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছিল, যেখানে বিভিন্ন রাজ্যে পেমেন্টের বিলম্ব এবং কর্মীদের বেতন না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
পিপিএলের বিতর্কিত অতীত: পিপিএল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পেনসিলভানিয়া ও ফেডারেল আদালতে মামলা চলছে, যেখানে প্রতিষ্ঠানটিকে অতিরিক্ত কাজের জন্য বেতন না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটি এই অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে অপারগ, তারা বলেছে এটি মূলত প্রোগ্রামের পদ্ধতিগত পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক, যা সিডিপিএপি’র সাথে সম্পর্কিত নয়।
জালিয়াতির বিরুদ্ধে লড়াই: গভর্নর হোকুলের অফিস দাবি করেছে যে সিডিপিএপি প্রোগ্রামে অনেক প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। উদাহরণস্বরূপ, এই মাসেই আটজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের মেডিকেড হোম কেয়ার প্রোগ্রামে ৬৮ মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব ঘটনা সিডিপিএপি’র সীমিত নজরদারির কারণে ঘটছে, যেখানে প্রশিক্ষণ ছাড়াই পরিবারের সদস্যরা রোগীদের সেবা দিতে পারেন। এই প্রতারণা রোধ করার জন্য গভর্নর হোকুল পিপিএলকে নিয়োগ দিয়েছেন, যাতে তারা সমস্ত কাগজপত্র এবং প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করতে পারে।
কৃষ্টি সংবেদনশীল সেবা: গভর্নর হোকুলের নতুন প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে যে এই প্রোগ্রামের সংস্কারগুলো কৃষ্টি-সংবেদনশীল সেবা প্রদানের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবে। এর ফলে বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির মানুষের জন্য উপযুক্ত সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। তবে ধর্মীয় নেতারা অভিযোগ করছেন যে স্থানীয় এজেন্সিগুলো বাদ পড়লে এই ধরনের সাংস্কৃতিক বিবেচনাগুলোও হারিয়ে যেতে পারে।
সেবা বন্ধ না হওয়ার প্রতিশ্রুতি: হোকুলের প্রশাসন নিশ্চিত করেছে যে এই পরিবর্তনের ফলে কোনো গ্রাহককে নতুন করে আবেদন করতে হবে না এবং তাদের সেবা বন্ধ হবে না। পরিবর্তনগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হবে, এবং সিডিপিএপি’র গ্রাহক, সেবাদানকারী ও অ্যাডভোকেটদের সঙ্গে মিটিং করে তাদের মতামত নেওয়া হবে।
বিরোধী পক্ষের আশঙ্কা: বিরোধী নেতারা দাবি করছেন যে পিপিএলের নিয়োগের ফলে স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে এবং অনেক কর্মী কর্মহীন হয়ে যেতে পারেন। তারা এই পরিবর্তনটিকে একটি গোপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার অভিযোগ তুলেছেন। তবে স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ বলেছে যে এটি একটি পাবলিক বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয়েছে এবং শতাধিক প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করা হয়েছে। পিপিএল সর্বোচ্চ স্কোর পেয়েছিল বিধায় তারা নিয়োগ পেয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে এবং সামনের মাসগুলোতে এ বিষয়ে আরও আপডেট পাওয়া যাবে।
প্রস্তাবিত পরিবর্তনের মূল পয়েন্টগুলো: গত মাসে গভর্নর হোকুল ঘোষণা করেছেন, সিডিপিএপি প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য জর্জিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পাবলিক পার্টনারশিপস (পিপিএল) নির্বাচিত হয়েছে। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি এই পরিবর্তন শুরু হবে। বর্তমানে এই প্রোগ্রামটি নিউইয়র্কে ছয় শতাধিক স্থানীয় এজেন্সি বা ফিসকাল ইন্টারমিডিয়ারি (সুবিধা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান) দ্বারা পরিচালিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ যেমন মেডিকেডের অর্থ প্রদান, পে-রোল পরিচালনা ইত্যাদি করে থাকে। কিন্তু পিপিএল প্রতিষ্ঠানটিকে প্রোগ্রামের একক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে, যার ফলে অনেক স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ধর্মীয় নেতাদের উদ্বেগ: নিউইয়র্কের কিছু ধর্মীয় নেতা গভর্নর হোকুলের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। বিরোধিতা ক্রমশই বাড়ছে। তারা দাবি করছেন, এই পরিবর্তনের ফলে যারা এই প্রোগ্রামের উপর নির্ভরশীল তাদের সেবা ব্যাহত হতে পারে এবং স্থানীয় এজেন্সিগুলো বন্ধ হয়ে গেলে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। তারা আরও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে পিপিএলের আগের ইতিহাসে কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছিল, যেখানে বিভিন্ন রাজ্যে পেমেন্টের বিলম্ব এবং কর্মীদের বেতন না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
পিপিএলের বিতর্কিত অতীত: পিপিএল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পেনসিলভানিয়া ও ফেডারেল আদালতে মামলা চলছে, যেখানে প্রতিষ্ঠানটিকে অতিরিক্ত কাজের জন্য বেতন না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটি এই অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে অপারগ, তারা বলেছে এটি মূলত প্রোগ্রামের পদ্ধতিগত পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক, যা সিডিপিএপি’র সাথে সম্পর্কিত নয়।
জালিয়াতির বিরুদ্ধে লড়াই: গভর্নর হোকুলের অফিস দাবি করেছে যে সিডিপিএপি প্রোগ্রামে অনেক প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। উদাহরণস্বরূপ, এই মাসেই আটজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের মেডিকেড হোম কেয়ার প্রোগ্রামে ৬৮ মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব ঘটনা সিডিপিএপি’র সীমিত নজরদারির কারণে ঘটছে, যেখানে প্রশিক্ষণ ছাড়াই পরিবারের সদস্যরা রোগীদের সেবা দিতে পারেন। এই প্রতারণা রোধ করার জন্য গভর্নর হোকুল পিপিএলকে নিয়োগ দিয়েছেন, যাতে তারা সমস্ত কাগজপত্র এবং প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করতে পারে।
কৃষ্টি সংবেদনশীল সেবা: গভর্নর হোকুলের নতুন প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে যে এই প্রোগ্রামের সংস্কারগুলো কৃষ্টি-সংবেদনশীল সেবা প্রদানের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবে। এর ফলে বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির মানুষের জন্য উপযুক্ত সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। তবে ধর্মীয় নেতারা অভিযোগ করছেন যে স্থানীয় এজেন্সিগুলো বাদ পড়লে এই ধরনের সাংস্কৃতিক বিবেচনাগুলোও হারিয়ে যেতে পারে।
সেবা বন্ধ না হওয়ার প্রতিশ্রুতি: হোকুলের প্রশাসন নিশ্চিত করেছে যে এই পরিবর্তনের ফলে কোনো গ্রাহককে নতুন করে আবেদন করতে হবে না এবং তাদের সেবা বন্ধ হবে না। পরিবর্তনগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হবে, এবং সিডিপিএপি’র গ্রাহক, সেবাদানকারী ও অ্যাডভোকেটদের সঙ্গে মিটিং করে তাদের মতামত নেওয়া হবে।
বিরোধী পক্ষের আশঙ্কা: বিরোধী নেতারা দাবি করছেন যে পিপিএলের নিয়োগের ফলে স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে এবং অনেক কর্মী কর্মহীন হয়ে যেতে পারেন। তারা এই পরিবর্তনটিকে একটি গোপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার অভিযোগ তুলেছেন। তবে স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ বলেছে যে এটি একটি পাবলিক বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয়েছে এবং শতাধিক প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করা হয়েছে। পিপিএল সর্বোচ্চ স্কোর পেয়েছিল বিধায় তারা নিয়োগ পেয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে এবং সামনের মাসগুলোতে এ বিষয়ে আরও আপডেট পাওয়া যাবে।