বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় মিরপুরে চতুর্থ দিনে (বৃহস্পতিবার) ঠিকঠাক খেলা হবে কি না, সেটা নিয়ে ছিল প্রবল শঙ্কা। তবে সেটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বাংলাদেশ সময় নির্ধারিত ৯টা ৪৫ মিনিটে মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশের খেলা। স্বাগতিকদের হারাতে দক্ষিণ আফ্রিকা সময় নিল ৮৮ মিনিট।
৮১ রানের লিডটা কত দূর পর্যন্ত বাংলাদেশ টানতে পারে, চতুর্থ দিনে সেটাই ছিল দেখার। তবে দিনের খেলা শুরুর পর ২৯ বলের মধ্যেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। আগের দিনের সঙ্গে যোগ করতে পারে মাত্র ২৪ রান। ১০৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ২২ ওভারেই খেলা শেষ করে দিল প্রোটিয়ারা। ৭ উইকেটে জিতে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
৮৫ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৩ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। এই অবস্থা থেকে ৮৯.৫ ওভারে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৭ রানে অল আউট হয়েছে স্বাগতিকেরা। যেখানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগেই পিছিয়ে ছিল ২০২ রানে। ১০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে দ্রুতই ব্যাটিংয়ে নেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
মিরপুরের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পিচে কখন কী হয়, সেটা তো বলা যায় না। দক্ষিণ আফ্রিকা তাই তাদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকে। প্রথম তিন ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে সফরকারীরা করে ৯ রান। বাংলাদেশের ওপর চড়াও হতে শুরু করে এরপর থেকেই। চতুর্থ ওভারে বোলিং করতে আসা তাইজুল ইসলামকে দুটি চার মারেন টনি দে জর্জি।
জয়ের লক্ষ্যে নেমে দলীয় ২৪ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম উইকেট হারিয়েই ফেলেছিল। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে মার্করামকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলে রিভিউ নেন মার্করাম। রিভিউতে স্পাইক ধরা পড়লে বেঁচে যান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। ব্যক্তিগত ১৩ রানে বেঁচে যাওয়া মার্করাম আউট হয়েছেন ২০ রানে। দশম ওভারের পঞ্চম বলে প্রোটিয়া অধিনায়ককে বিষাক্ত আর্ম ডেলিভারিতে বোল্ড করেন তাইজুল।
মার্করামের বিদায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর হয়ে যায় ৯.৫ ওভারে ১ উইকেটে ৪২ রান। উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও দে জর্জি তার ওয়ানডে ঘরানায় ব্যাটিং চালিয়ে যান। ৫২ বলে ৭ চারে ৪১ রান করেন প্রোটিয়া এই ওপেনার। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে তাইজুলকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে লং অনে হাসান মাহমুদের তালুবন্দী হন দে জর্জি। ৭১ রানে ২ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ৮ উইকেটের জয় খুব সহজই মনে হচ্ছিল। তবে দলীয় ৯৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন ডেভিড বেডিংহাম। ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে এই উইকেটও নিয়েছেন তাইজুল। বাকি ৯ রান করতে প্রোটিয়াদের লেগেছে ৯ বল।
মিরপুরে প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রানে অল আউট হয়েছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ১১৪ রান করেন কাইল ভেরেইন। ১৪৪ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৮ চার ও ২ ছক্কা।
এরপর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে যে ৩০৭ রান করে, সেখানে ইনিংস সর্বোচ্চ ৯৭ রান মেহেদী হাসান মিরাজের। ১১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন ইনিংস পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছিল, সেই মুহূর্তে জাকের আলী অনিকের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ১৩৮ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন মিরাজ। এই ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছেন রাবাদা। তাতে টেস্টে এক ইনিংসে ১৫ বার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ভেরেইন হয়েছেন ম্যাচসেরা।
ঠিকানা/এনআই
৮১ রানের লিডটা কত দূর পর্যন্ত বাংলাদেশ টানতে পারে, চতুর্থ দিনে সেটাই ছিল দেখার। তবে দিনের খেলা শুরুর পর ২৯ বলের মধ্যেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। আগের দিনের সঙ্গে যোগ করতে পারে মাত্র ২৪ রান। ১০৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ২২ ওভারেই খেলা শেষ করে দিল প্রোটিয়ারা। ৭ উইকেটে জিতে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
৮৫ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৩ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। এই অবস্থা থেকে ৮৯.৫ ওভারে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৭ রানে অল আউট হয়েছে স্বাগতিকেরা। যেখানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগেই পিছিয়ে ছিল ২০২ রানে। ১০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে দ্রুতই ব্যাটিংয়ে নেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
মিরপুরের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পিচে কখন কী হয়, সেটা তো বলা যায় না। দক্ষিণ আফ্রিকা তাই তাদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকে। প্রথম তিন ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে সফরকারীরা করে ৯ রান। বাংলাদেশের ওপর চড়াও হতে শুরু করে এরপর থেকেই। চতুর্থ ওভারে বোলিং করতে আসা তাইজুল ইসলামকে দুটি চার মারেন টনি দে জর্জি।
জয়ের লক্ষ্যে নেমে দলীয় ২৪ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম উইকেট হারিয়েই ফেলেছিল। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে মার্করামকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলে রিভিউ নেন মার্করাম। রিভিউতে স্পাইক ধরা পড়লে বেঁচে যান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। ব্যক্তিগত ১৩ রানে বেঁচে যাওয়া মার্করাম আউট হয়েছেন ২০ রানে। দশম ওভারের পঞ্চম বলে প্রোটিয়া অধিনায়ককে বিষাক্ত আর্ম ডেলিভারিতে বোল্ড করেন তাইজুল।
মার্করামের বিদায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর হয়ে যায় ৯.৫ ওভারে ১ উইকেটে ৪২ রান। উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও দে জর্জি তার ওয়ানডে ঘরানায় ব্যাটিং চালিয়ে যান। ৫২ বলে ৭ চারে ৪১ রান করেন প্রোটিয়া এই ওপেনার। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে তাইজুলকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে লং অনে হাসান মাহমুদের তালুবন্দী হন দে জর্জি। ৭১ রানে ২ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ৮ উইকেটের জয় খুব সহজই মনে হচ্ছিল। তবে দলীয় ৯৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন ডেভিড বেডিংহাম। ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে এই উইকেটও নিয়েছেন তাইজুল। বাকি ৯ রান করতে প্রোটিয়াদের লেগেছে ৯ বল।
মিরপুরে প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রানে অল আউট হয়েছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ১১৪ রান করেন কাইল ভেরেইন। ১৪৪ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৮ চার ও ২ ছক্কা।
এরপর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে যে ৩০৭ রান করে, সেখানে ইনিংস সর্বোচ্চ ৯৭ রান মেহেদী হাসান মিরাজের। ১১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন ইনিংস পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছিল, সেই মুহূর্তে জাকের আলী অনিকের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ১৩৮ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন মিরাজ। এই ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছেন রাবাদা। তাতে টেস্টে এক ইনিংসে ১৫ বার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ভেরেইন হয়েছেন ম্যাচসেরা।
ঠিকানা/এনআই