মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন ডেমোক্রেট কমলা হ্যারিস। এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ইতিহাসবেত্তা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অ্যালান লিচম্যান। তিনি এর আগে ৯টি নির্বাচনে সঠিক পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এ জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির পূর্বাভাসের ‘নস্ট্রাডামাস’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি বলেছেন, এবার নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের পক্ষ থেকে বড় বিস্ময় বা সারপ্রাইজ আসছে। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন এবার ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে খুব সম্ভব বিজয়ী হবেন কমলা হ্যারিস। যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন ইনকুইজিটর এ খবর দিয়েছে।
এতে বলা হয়, লিচম্যান ইউটিউবে সরাসরি এক অনুষ্ঠানকালে এ দাবি করেছেন। ইমেইলে দেয়া কিছু রাজ্যের ভোট ডেমোক্রেট পার্টির বিজয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। নিউজউইকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, জবাবে লিচম্যান বলেছেন- আমি এটা বলতে পারি না যে- এর অর্থ ওইসব রাজ্য নীল (ব্লু) হয়ে যাবে। তবে এটা নিশ্চিত একটি চিহ্ন যে, এসব রাজ্য নীল হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, ডেমোক্রেটদের রং নীল বা ব্লু। তিনি ডেমোক্রেটদের জয় বোঝাতে নীল শব্দটি ব্যবহার করেছেন। লিচম্যান ২০১৬ সালে রিপাবলিকানদের অবমূল্যায়ন করেছিল। কিন্তু ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যা দেখেছি তাতে আমার দৃষ্টিভঙ্গি হলো- এবার ডেমোক্রেটদের ভোটের শক্তি কমে যাবে।
সাম্প্রতিক জাতীয় পর্যায়ের জরিপে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কমলা হ্যারিস। ফাইভ থার্টি এইটের তথ্যমতে, গত বুধবার সকালে দুই প্রার্থীর এই ব্যবধান ছিল মাত্র ২.৪ পয়েন্ট।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লিচম্যান উদাহরণ হিসেবে জর্জ স্যান্তোসের কংগ্রেসনাল আসনের বিশেষ নির্বাচনের কথা তুলে ধরেছেন। সেখানে ডেমোক্রেট প্রার্থী চূড়ান্ত ভোটে মাত্র সাত পয়েন্টে জয়ী হয়েছেন। বিশেষ ওই নির্বাচনে স্যান্তোসের আসন পেয়েছেন ডেমোক্রেট টম সুজি। একসময় এই আসন তারই দখলে ছিল। লিচম্যান তার পূর্বাভাসে বলেন, যদিও জরিপে এক বা দুই পয়েন্টে হেরফের হচ্ছে, তবু জরিপের চেয়ে তারা এক বা দুই পয়েন্ট বেশি ভাল করবে। তারা পেনসিলভ্যানিয়াতে ভালোভাবে জিতবে।
উল্লেখ্য, অ্যালান লিচম্যান আমেরিকান ইউনিভার্সিটির একজন সম্মানিত প্রফেসর। তিনি ‘কীজ টু দ্য হোয়াইট হাউস’ পূর্বাভাস বিষয়ক মডেল সৃষ্টির জন্য সুপরিচিত। এর মধ্য দিয়ে তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে সঠিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঠিক পূর্বাভাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, তার মডেলের অত্যাবশ্যকীয় ১৩টি সূচকের মধ্যে যদি ৬ বা তারও অধিক ক্ষমতাসীন দলের বিপক্ষে যায়, তাহলে নির্বাচনে তারা সুনিশ্চিতভাবে পরাজিত হয়।
অন্যদিকে, কিন্তু যদি ৬টির কম সূচক তাদের বিপক্ষে যায় তাহলেই তাদের জয়ের খুব ভাল সম্ভাবনা থাকে। এসব সূচককে ইংরেজিতে ‘কীজ’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, এগুলো নির্ভুলভাবে কাজ করবে। এসব সূচক হচ্ছে রাজনৈতিক পূর্বাভাসে নর্দার্ন স্টারের মতো ধ্রুব। ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে পূর্বাভাসে তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন কমালা হ্যারিস। তবে এ বিষয়ে ভোটারদের রায়ই চূড়ান্ত।
ঠিকানা/এসআর
এতে বলা হয়, লিচম্যান ইউটিউবে সরাসরি এক অনুষ্ঠানকালে এ দাবি করেছেন। ইমেইলে দেয়া কিছু রাজ্যের ভোট ডেমোক্রেট পার্টির বিজয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। নিউজউইকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, জবাবে লিচম্যান বলেছেন- আমি এটা বলতে পারি না যে- এর অর্থ ওইসব রাজ্য নীল (ব্লু) হয়ে যাবে। তবে এটা নিশ্চিত একটি চিহ্ন যে, এসব রাজ্য নীল হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, ডেমোক্রেটদের রং নীল বা ব্লু। তিনি ডেমোক্রেটদের জয় বোঝাতে নীল শব্দটি ব্যবহার করেছেন। লিচম্যান ২০১৬ সালে রিপাবলিকানদের অবমূল্যায়ন করেছিল। কিন্তু ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যা দেখেছি তাতে আমার দৃষ্টিভঙ্গি হলো- এবার ডেমোক্রেটদের ভোটের শক্তি কমে যাবে।
সাম্প্রতিক জাতীয় পর্যায়ের জরিপে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কমলা হ্যারিস। ফাইভ থার্টি এইটের তথ্যমতে, গত বুধবার সকালে দুই প্রার্থীর এই ব্যবধান ছিল মাত্র ২.৪ পয়েন্ট।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লিচম্যান উদাহরণ হিসেবে জর্জ স্যান্তোসের কংগ্রেসনাল আসনের বিশেষ নির্বাচনের কথা তুলে ধরেছেন। সেখানে ডেমোক্রেট প্রার্থী চূড়ান্ত ভোটে মাত্র সাত পয়েন্টে জয়ী হয়েছেন। বিশেষ ওই নির্বাচনে স্যান্তোসের আসন পেয়েছেন ডেমোক্রেট টম সুজি। একসময় এই আসন তারই দখলে ছিল। লিচম্যান তার পূর্বাভাসে বলেন, যদিও জরিপে এক বা দুই পয়েন্টে হেরফের হচ্ছে, তবু জরিপের চেয়ে তারা এক বা দুই পয়েন্ট বেশি ভাল করবে। তারা পেনসিলভ্যানিয়াতে ভালোভাবে জিতবে।
উল্লেখ্য, অ্যালান লিচম্যান আমেরিকান ইউনিভার্সিটির একজন সম্মানিত প্রফেসর। তিনি ‘কীজ টু দ্য হোয়াইট হাউস’ পূর্বাভাস বিষয়ক মডেল সৃষ্টির জন্য সুপরিচিত। এর মধ্য দিয়ে তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে সঠিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঠিক পূর্বাভাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, তার মডেলের অত্যাবশ্যকীয় ১৩টি সূচকের মধ্যে যদি ৬ বা তারও অধিক ক্ষমতাসীন দলের বিপক্ষে যায়, তাহলে নির্বাচনে তারা সুনিশ্চিতভাবে পরাজিত হয়।
অন্যদিকে, কিন্তু যদি ৬টির কম সূচক তাদের বিপক্ষে যায় তাহলেই তাদের জয়ের খুব ভাল সম্ভাবনা থাকে। এসব সূচককে ইংরেজিতে ‘কীজ’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, এগুলো নির্ভুলভাবে কাজ করবে। এসব সূচক হচ্ছে রাজনৈতিক পূর্বাভাসে নর্দার্ন স্টারের মতো ধ্রুব। ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে পূর্বাভাসে তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন কমালা হ্যারিস। তবে এ বিষয়ে ভোটারদের রায়ই চূড়ান্ত।
ঠিকানা/এসআর