মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসানের বর্তমান পরিস্থিতিতে আবেগে ভেসেছেন তাদের ‘ছোটবেলার কোচ’ হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সাকিব-মাশরাফিদের ওপর সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের ক্ষোভের বিপরীতে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন নিজের ফেসবুক পোস্টে।
সালাউদ্দিন লিখেছেন, ‘দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি কখনোই এতো রাগ বা কষ্ট লাগে নাই, আজ কেন যেন লাগছে। আমরা মানুষ কি কখনও নিজেরা ভুল করি না? কেউ অনুতপ্ত হলে তাকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিৎ, কিন্তু আমরা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি মানুষ হিসেবে, দয়া-মায়া জিনিসটা আমাদের মধ্যে থেকে উঠে গেছে।’
সাকিব-মাশরাফিদের কল্যাণমূলক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে সালাউদ্দিন বলেন, ‘একটা মানুষ দেশের জন্য ১৭টা বছর কিছু না কিছু করেছে, আজ ক্রিকেটবিশ্ব আমাদের একটু সম্মান করে কাদের জন্য? তারা ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবে না, এই কান্না তো সবাই দেখবে না। রাজনীতি করছে বলে এরা খুনি? এদের সাথে মিশেছেন? এরা কত মানুষের ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে জানেন আপনি? এরা কত অসহায় মানুষের চিকিৎসা করাইছে সেটা কী জানেন?’
এরপর মাশরাফি, সাকিব, তামিমদের চোট নিয়ে খেলে যাওয়ার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে সালাউদ্দিনের স্ট্যাটাসে, ‘তারা স্ট্যাটাস না দেওয়ার কারণে আজ শত্রু, যখন মাশরাফি ৫টা অপারেশন করে দেশের জন্য লড়াই করছে তা কী দেখছেন? সাকিব যে আঙুলে চিড় নিয়া বোলিং করে গেছে, তামিম এক হাতে ব্যাটিং করে গেছে কাদের জন্য? দেশকে সবাই কম-বেশি ভালোবাসে, এদের ভালোবাসাটা হয়তো দেখা যায়ও না, এদের কাছ থেকে দেখেছি, এরা মানুষের উপকার ছাড়া কারও ক্ষতি করেনি, এরা খুনি না। খুব কষ্ট পাচ্ছি মাঠ থেকে এদের বিদায় দেখতে পাব না। মানুষকে মাফ করুন, আল্লাহ আমাদের অনেক অপরাধ মাফ করে দেবেন। আমরা সবাই কম-বেশি অপরাধী, সম্মান কাউকে দিলে আপনিও সন্মানীত হবেন।’
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার কথা ছিল সাকিবের। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে আপাতত দেশে ফেরা হচ্ছে না তার।
মাশরাফি ও সাকিব ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষের আগেই তারা রাজনীতিতে জড়িয়েছেন। সেটাও আবার ফ্যাসিবাদী দলের তকমা পাওয়া আওয়ামী লীগের হয়ে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাকিব-মাশরাফি গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন। সাকিব তার বিদায়ী টেস্ট সিরিজ খেলতে দেশে পা রাখতে পারছেন না, অন্যদিকে মাশরাফিকেও আর ক্রিকেটে দেখতে চান না দেশের ক্রিকেট অনুরাগীরা। তারা বিপিএলের মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট থেকেও সাকিব-মাশরাফিকে হটানোর দাবি তুলছেন।
ঠিকানা/এএস
সালাউদ্দিন লিখেছেন, ‘দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি কখনোই এতো রাগ বা কষ্ট লাগে নাই, আজ কেন যেন লাগছে। আমরা মানুষ কি কখনও নিজেরা ভুল করি না? কেউ অনুতপ্ত হলে তাকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিৎ, কিন্তু আমরা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি মানুষ হিসেবে, দয়া-মায়া জিনিসটা আমাদের মধ্যে থেকে উঠে গেছে।’
সাকিব-মাশরাফিদের কল্যাণমূলক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে সালাউদ্দিন বলেন, ‘একটা মানুষ দেশের জন্য ১৭টা বছর কিছু না কিছু করেছে, আজ ক্রিকেটবিশ্ব আমাদের একটু সম্মান করে কাদের জন্য? তারা ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবে না, এই কান্না তো সবাই দেখবে না। রাজনীতি করছে বলে এরা খুনি? এদের সাথে মিশেছেন? এরা কত মানুষের ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে জানেন আপনি? এরা কত অসহায় মানুষের চিকিৎসা করাইছে সেটা কী জানেন?’
এরপর মাশরাফি, সাকিব, তামিমদের চোট নিয়ে খেলে যাওয়ার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে সালাউদ্দিনের স্ট্যাটাসে, ‘তারা স্ট্যাটাস না দেওয়ার কারণে আজ শত্রু, যখন মাশরাফি ৫টা অপারেশন করে দেশের জন্য লড়াই করছে তা কী দেখছেন? সাকিব যে আঙুলে চিড় নিয়া বোলিং করে গেছে, তামিম এক হাতে ব্যাটিং করে গেছে কাদের জন্য? দেশকে সবাই কম-বেশি ভালোবাসে, এদের ভালোবাসাটা হয়তো দেখা যায়ও না, এদের কাছ থেকে দেখেছি, এরা মানুষের উপকার ছাড়া কারও ক্ষতি করেনি, এরা খুনি না। খুব কষ্ট পাচ্ছি মাঠ থেকে এদের বিদায় দেখতে পাব না। মানুষকে মাফ করুন, আল্লাহ আমাদের অনেক অপরাধ মাফ করে দেবেন। আমরা সবাই কম-বেশি অপরাধী, সম্মান কাউকে দিলে আপনিও সন্মানীত হবেন।’
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার কথা ছিল সাকিবের। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে আপাতত দেশে ফেরা হচ্ছে না তার।
মাশরাফি ও সাকিব ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষের আগেই তারা রাজনীতিতে জড়িয়েছেন। সেটাও আবার ফ্যাসিবাদী দলের তকমা পাওয়া আওয়ামী লীগের হয়ে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাকিব-মাশরাফি গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন। সাকিব তার বিদায়ী টেস্ট সিরিজ খেলতে দেশে পা রাখতে পারছেন না, অন্যদিকে মাশরাফিকেও আর ক্রিকেটে দেখতে চান না দেশের ক্রিকেট অনুরাগীরা। তারা বিপিএলের মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট থেকেও সাকিব-মাশরাফিকে হটানোর দাবি তুলছেন।
ঠিকানা/এএস