পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দা জহির রহমান আর মালতী বেগমের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলের নাম জিতু। বছর সাতেক বয়স হবে তার। এ বছর কেজি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে জিতু। মেয়েটা ছোট, নাম মিতু। চার বছরের মতো বয়স মিতুর। প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে রাতে জিতু কিছু সময় ওর মায়ের কাছে বই পড়তে বসে। মিতুও আদর্শলিপি বই থেকে বাংলা স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ অ, আ, ক, খ অক্ষরগুলো পড়ে। পড়া শেষ হলে ওদের আব্বু জহির রহমান বাজার থেকে বাড়ি ফিরলে একসঙ্গে সবাই মিলে রাতের খাবার খায়। আজ জিতুর পড়া শেষ হলেও ওদের আব্বু জহির রহমান বাড়ি ফেরেনি।
মেয়ে মিতু বলল, আম্মু, আব্বু কখন বাড়ি আসবে? মা, মালতী বেগম বলল, এই তো এখনই আসবে মা, মিতু। জিতু বলল, মা, আব্বু না আসা পর্যন্ত তাহলে একটু টিভি দেখি? মালতী বেগম বলল, আচ্ছা ঠিক আছে, বাবা...। তারপর মালতী বেগম সময় কাটানোর জন্য রিমোটে চাপ দিয়ে টিভিটা অন করল। টিভি চালু করতেই সংবাদদাতা শফিউর রহমান নিজের নাম বলে বাংলাদেশ ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদগুলোর শিরোনাম পাঠ করে তারপর সব বিস্তারিত বলতে লাগল। বলল, বর্তমান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের মধ্যে যেটা এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচনার বিষয়, তা হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার উপজাতি গোষ্ঠী আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা আন্দোলন ও দাবির নামে রীতিমতো দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছে, যেটাকে দেশদ্রোহ বলে। উপজাতিদের মধ্যে, বিশেষ করে উঠতি বয়সী যুবকেরা অন্যান্য দেশ থেকে ভয়াবহ দামি আগ্নেয়াস্ত্র এনে মজুত করছে পাহাড়ি এলাকায়। কক্সবাজার এলাকার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় ওইসব অস্ত্রধারীদের একটা দলের অস্ত্র উদ্ধারকালীন অভিযানে উপজাতি সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে শহীদ হয়েছেন আর্মির লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার নির্জন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তাদের দমন করতে সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গেলে নারী-পুরুষ সবাই মিলে সেনাদের দিকে মারমুখী হয়ে তেড়ে আসে এবং রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এখন তারা পাহাড়ি এলাকা থেকে সেনাশাসন তুলে নেওয়ার অন্যায় দাবি তুলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরও বলছে, ওসব পাহাড়ি এলাকা থেকে সব বাঙালিকে সরিয়ে নিতে হবে। পাহাড়ি এলাকা শুধু আমাদের। আমাদের ভারতের সঙ্গে এক করে দিতে হবে। নইলে আমরা ক্ষান্ত হব না। এ পর্যন্ত সংবাদ শুনতে শুনতে জিতু-মিতুর আব্বু জহির রহমান বাড়ি আসে। মিতু, জিতু বলে ওঠে, আম্মু, ওই দেখো আব্বু এসেছে। মালতী তখন জহির রহমানের দিকে তাকিয়ে বলে, ও..তুমি এসেছ? জহির রহমান বলে, হুম...এই তো এলাম। তখন মালতী বলে, পার্বত্য চট্টগ্রামের যে অবস্থা শুনছি। এখন থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি এসো। বেশি রাত করতে যেয়ো না, কেমন। তারপর মালতী বলে, তোমরা সবাই বসো, আমি খাবার দিচ্ছি।
খাবার বেড়ে দিতে দিতে বলে, আচ্ছা, চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার উপজাতি গোষ্ঠী আবার এসব কী শুরু করেছে বলো তো? পরগাছাদের এত স্পর্ধা কোথা থেকে এল? জহির বলতে যাবে, তার মধ্যে জিতু বলল, আম্মু, উপজাতি কারা?
মালতী বলল, উপজাতি হলো সাঁওতাল, চাকমা , মারমা, মগ, মুরং, ত্রিপুরারা বা এ রকম আরও নানা নামের জাতি। যারা অনেক আগে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশ, যেমন মিয়ানমার, ভারত, চীন-এ রকম বিভিন্ন দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে রোহিঙ্গাদের মতো জীবন বাঁচাতে এ দেশে এসেছিল। যারা এ দেশের আদিবাসী নয়। সে সময় তারা এ দেশে একটু থাকার জন্য এ দেশের মানুষের কাছে দয়া ভিক্ষা চেয়েছিল। তখন এ দেশের মানুষ মায়া দেখিয়ে দয়া করে তাদের থাকতে দিয়েছিল। জিতু বলল, আম্মু, পরগাছা কি? মালতী বলল, পরগাছা হলো একপ্রকার পরজীবী উদ্ভিদ। যারা মেরুদণ্ড হীন। অন্য জীবের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। অন্য বৃক্ষের ওপর নিজের বিস্তার ঘটাতে চায়। পরজীবীকে ইংরেজিতে বলে mistletoe. এসব বিষয় যখন তুমি উপরের ক্লাসে উঠবে, তখন জানতে পারবে। তারপর জহির রহমানকে উদ্দেশ করে মালতী বেগম বলল, হ্যাঁ গো, ওরা নাকি পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকাকে ভারতের মধ্যে করে দেওয়ার জন্য বিদ্রোহ শুরু করেছে?
জহির রহমান বলল, আর সে কথা বলো না...। ওরা যা শুরু করেছে, তাতে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের মতো হতে বেশি দেরি নেই। ফিলিস্তিন যেমন একসময় ইহুদি ইসরায়েলের কিছুসংখ্যক লোককে দয়া করে জায়গা দিয়েছিল। পরে তারা আলাদা ইসরায়েল নামক রাষ্ট্র গঠন করেছে। এখন তারা তাদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য ফিলিস্তিনের ওপর দিনরাত আক্রমণ চালাচ্ছে। নারী, পুরুষ, শিশু হত্যা করছে। তেমনি আমাদের দেশের পাহাড়ি এলাকার উপজাতি গোষ্ঠী। ওরা সব গাদ্দার, বুঝলে? একেকটা মীর জাফর। কথায় বলে না...নিমকহারামরা যার পাতে খায়, তার সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করে। যে দেশ, দেশের মানুষ একসময় ওদের ঠাঁই দিয়েছিল; থাকার জন্য জায়গা দিয়েছিল; আজ সেই দেশ ও দেশের জনগণের সঙ্গেই ওরা বিশ্বাসঘাতকতা করছে। জানো মালতী, ওরা কতটা বর্বর? ওরা সেনাবাহিনীর গায়ে পর্যন্ত হাত তুলছে। এখন আবার বলে কি! চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা নাকি ওদের। পাহাড়ি এলাকা ওদের দিয়ে দিতে হবে। ওরা ভারতের সঙ্গে এক হয়ে যাবে।
শুনে মালতী বেগম তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বলল, হুম... এ দেশটাকে ওরা মগের মুল্লুক পেয়েছে নাকি? যখন যা ইচ্ছা তা-ই করবে? এ যেন মামুর বাড়ির মুয়া যে চাইলেই পেয়ে যাবে।
বলি, ওরা জানে যে...১৯৭১ সালে এ দেশটা স্বাধীন করতে বাঙালিদের কত রক্ত দিতে হয়েছিল? কত জীবন দিতে হয়েছিল বাঙালি নওজোয়ানদের? বাঙালি কত মা-বোনের ইজ্জত, সম্মান, সম্ভ্রম হারাতে হয়েছিল? ভালোভাবে থাকলে থাক, আর তা না হলে জাগার গুটি জাগায় চলে যাক।
মেয়ে মিতু বলে উঠল, আব্বু, ওরা শুধু থাকবে... তাহলে আমরা কোথায় যাব? জহির রহমান বলল, আমরা এখানেই থাকব, মা। ওদের শায়েস্তা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নেমেছে। ওদের বিদ্রোহ দমন করার জন্য। মালতী বলল, চিন্তা করতে পারছ? আমাদের এতটুকু একটা দেশ, তা আবার খণ্ড করতে চাচ্ছে ওইসব উপজাতি গোষ্ঠী। জহির রহমান বলল, চাইলেই তো আর হবে না। ওরা যদি ভালোভাবে থাকে তো ভালো। তা না হলে প্রয়োজনে বাঙালি নওজোয়ানরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে, বাংলাদেশের মানচিত্র বাঁচাতে, স্বাধীনতার লাল-সবুজের পতাকার মান রক্ষা করতে, এ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আবার রক্ত দেবে। ওদের থেকে বাংলা মাকে বাঁচাতে আবার তুলে নেবে অস্ত্র হাতে। তবু জীবন থাকতে বাংলাদেশের বাঙালি নওজোয়ানরা নিজ জন্মভূমি বাংলা মা-মাটির একটা কোনাও ছাড়বে না।
ছেলে জিতু বলে উঠল, তুমি ঠিক বলেছ, আব্বু। দরকার হলে আমিও দেশের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ব। জহির রহমান জিতুর মাথায় হাত দিয়ে বলল, সাব্বাশ বেটা। দেশকে বাঁচাতে তোর মতো ছেলে যেন বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম নেয়।
মেয়ে মিতু বলল, আম্মু, আব্বু কখন বাড়ি আসবে? মা, মালতী বেগম বলল, এই তো এখনই আসবে মা, মিতু। জিতু বলল, মা, আব্বু না আসা পর্যন্ত তাহলে একটু টিভি দেখি? মালতী বেগম বলল, আচ্ছা ঠিক আছে, বাবা...। তারপর মালতী বেগম সময় কাটানোর জন্য রিমোটে চাপ দিয়ে টিভিটা অন করল। টিভি চালু করতেই সংবাদদাতা শফিউর রহমান নিজের নাম বলে বাংলাদেশ ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদগুলোর শিরোনাম পাঠ করে তারপর সব বিস্তারিত বলতে লাগল। বলল, বর্তমান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের মধ্যে যেটা এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচনার বিষয়, তা হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার উপজাতি গোষ্ঠী আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা আন্দোলন ও দাবির নামে রীতিমতো দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছে, যেটাকে দেশদ্রোহ বলে। উপজাতিদের মধ্যে, বিশেষ করে উঠতি বয়সী যুবকেরা অন্যান্য দেশ থেকে ভয়াবহ দামি আগ্নেয়াস্ত্র এনে মজুত করছে পাহাড়ি এলাকায়। কক্সবাজার এলাকার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় ওইসব অস্ত্রধারীদের একটা দলের অস্ত্র উদ্ধারকালীন অভিযানে উপজাতি সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে শহীদ হয়েছেন আর্মির লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার নির্জন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তাদের দমন করতে সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গেলে নারী-পুরুষ সবাই মিলে সেনাদের দিকে মারমুখী হয়ে তেড়ে আসে এবং রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এখন তারা পাহাড়ি এলাকা থেকে সেনাশাসন তুলে নেওয়ার অন্যায় দাবি তুলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরও বলছে, ওসব পাহাড়ি এলাকা থেকে সব বাঙালিকে সরিয়ে নিতে হবে। পাহাড়ি এলাকা শুধু আমাদের। আমাদের ভারতের সঙ্গে এক করে দিতে হবে। নইলে আমরা ক্ষান্ত হব না। এ পর্যন্ত সংবাদ শুনতে শুনতে জিতু-মিতুর আব্বু জহির রহমান বাড়ি আসে। মিতু, জিতু বলে ওঠে, আম্মু, ওই দেখো আব্বু এসেছে। মালতী তখন জহির রহমানের দিকে তাকিয়ে বলে, ও..তুমি এসেছ? জহির রহমান বলে, হুম...এই তো এলাম। তখন মালতী বলে, পার্বত্য চট্টগ্রামের যে অবস্থা শুনছি। এখন থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি এসো। বেশি রাত করতে যেয়ো না, কেমন। তারপর মালতী বলে, তোমরা সবাই বসো, আমি খাবার দিচ্ছি।
খাবার বেড়ে দিতে দিতে বলে, আচ্ছা, চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার উপজাতি গোষ্ঠী আবার এসব কী শুরু করেছে বলো তো? পরগাছাদের এত স্পর্ধা কোথা থেকে এল? জহির বলতে যাবে, তার মধ্যে জিতু বলল, আম্মু, উপজাতি কারা?
মালতী বলল, উপজাতি হলো সাঁওতাল, চাকমা , মারমা, মগ, মুরং, ত্রিপুরারা বা এ রকম আরও নানা নামের জাতি। যারা অনেক আগে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশ, যেমন মিয়ানমার, ভারত, চীন-এ রকম বিভিন্ন দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে রোহিঙ্গাদের মতো জীবন বাঁচাতে এ দেশে এসেছিল। যারা এ দেশের আদিবাসী নয়। সে সময় তারা এ দেশে একটু থাকার জন্য এ দেশের মানুষের কাছে দয়া ভিক্ষা চেয়েছিল। তখন এ দেশের মানুষ মায়া দেখিয়ে দয়া করে তাদের থাকতে দিয়েছিল। জিতু বলল, আম্মু, পরগাছা কি? মালতী বলল, পরগাছা হলো একপ্রকার পরজীবী উদ্ভিদ। যারা মেরুদণ্ড হীন। অন্য জীবের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। অন্য বৃক্ষের ওপর নিজের বিস্তার ঘটাতে চায়। পরজীবীকে ইংরেজিতে বলে mistletoe. এসব বিষয় যখন তুমি উপরের ক্লাসে উঠবে, তখন জানতে পারবে। তারপর জহির রহমানকে উদ্দেশ করে মালতী বেগম বলল, হ্যাঁ গো, ওরা নাকি পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকাকে ভারতের মধ্যে করে দেওয়ার জন্য বিদ্রোহ শুরু করেছে?
জহির রহমান বলল, আর সে কথা বলো না...। ওরা যা শুরু করেছে, তাতে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের মতো হতে বেশি দেরি নেই। ফিলিস্তিন যেমন একসময় ইহুদি ইসরায়েলের কিছুসংখ্যক লোককে দয়া করে জায়গা দিয়েছিল। পরে তারা আলাদা ইসরায়েল নামক রাষ্ট্র গঠন করেছে। এখন তারা তাদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য ফিলিস্তিনের ওপর দিনরাত আক্রমণ চালাচ্ছে। নারী, পুরুষ, শিশু হত্যা করছে। তেমনি আমাদের দেশের পাহাড়ি এলাকার উপজাতি গোষ্ঠী। ওরা সব গাদ্দার, বুঝলে? একেকটা মীর জাফর। কথায় বলে না...নিমকহারামরা যার পাতে খায়, তার সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করে। যে দেশ, দেশের মানুষ একসময় ওদের ঠাঁই দিয়েছিল; থাকার জন্য জায়গা দিয়েছিল; আজ সেই দেশ ও দেশের জনগণের সঙ্গেই ওরা বিশ্বাসঘাতকতা করছে। জানো মালতী, ওরা কতটা বর্বর? ওরা সেনাবাহিনীর গায়ে পর্যন্ত হাত তুলছে। এখন আবার বলে কি! চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা নাকি ওদের। পাহাড়ি এলাকা ওদের দিয়ে দিতে হবে। ওরা ভারতের সঙ্গে এক হয়ে যাবে।
শুনে মালতী বেগম তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বলল, হুম... এ দেশটাকে ওরা মগের মুল্লুক পেয়েছে নাকি? যখন যা ইচ্ছা তা-ই করবে? এ যেন মামুর বাড়ির মুয়া যে চাইলেই পেয়ে যাবে।
বলি, ওরা জানে যে...১৯৭১ সালে এ দেশটা স্বাধীন করতে বাঙালিদের কত রক্ত দিতে হয়েছিল? কত জীবন দিতে হয়েছিল বাঙালি নওজোয়ানদের? বাঙালি কত মা-বোনের ইজ্জত, সম্মান, সম্ভ্রম হারাতে হয়েছিল? ভালোভাবে থাকলে থাক, আর তা না হলে জাগার গুটি জাগায় চলে যাক।
মেয়ে মিতু বলে উঠল, আব্বু, ওরা শুধু থাকবে... তাহলে আমরা কোথায় যাব? জহির রহমান বলল, আমরা এখানেই থাকব, মা। ওদের শায়েস্তা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নেমেছে। ওদের বিদ্রোহ দমন করার জন্য। মালতী বলল, চিন্তা করতে পারছ? আমাদের এতটুকু একটা দেশ, তা আবার খণ্ড করতে চাচ্ছে ওইসব উপজাতি গোষ্ঠী। জহির রহমান বলল, চাইলেই তো আর হবে না। ওরা যদি ভালোভাবে থাকে তো ভালো। তা না হলে প্রয়োজনে বাঙালি নওজোয়ানরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে, বাংলাদেশের মানচিত্র বাঁচাতে, স্বাধীনতার লাল-সবুজের পতাকার মান রক্ষা করতে, এ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আবার রক্ত দেবে। ওদের থেকে বাংলা মাকে বাঁচাতে আবার তুলে নেবে অস্ত্র হাতে। তবু জীবন থাকতে বাংলাদেশের বাঙালি নওজোয়ানরা নিজ জন্মভূমি বাংলা মা-মাটির একটা কোনাও ছাড়বে না।
ছেলে জিতু বলে উঠল, তুমি ঠিক বলেছ, আব্বু। দরকার হলে আমিও দেশের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ব। জহির রহমান জিতুর মাথায় হাত দিয়ে বলল, সাব্বাশ বেটা। দেশকে বাঁচাতে তোর মতো ছেলে যেন বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম নেয়।