শুভ মহালয়ার সুমধুর দেবীবন্দনা, ঢাকের আওয়াজ আর পুরোহিতদের মন্ত্রপাঠ এবং নানা সাজে সজ্জিত দেবী দর্শনার্থীদের মন্দিরে মন্দিরে ভিড়-এসবের মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। শরতের হিমেল আবেশে দেবী দুর্গার এবার আগমন ঘটেছে দোলাচ্ছলে। গমন হবে গজে। ঋতু পরিক্রমায় দেবী দুর্গার শুভাগমনে প্রবাসে, বিশেষ করে নিউইয়র্কে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সাজ সাজ রব শুরু হয়ে গেছে। সবাই পবিত্র মন নিয়ে মন্দিরে মন্দিরে যাচ্ছেন দেবীর আশীর্বাদ নিতে। দেবীর আশীর্বাদ নিয়ে সবাই নতুন করে জীবন সংসারের হাল ধরতে চান।
নিউইয়র্কে অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্রায় সব মন্দিরেই পূজা উদ্্যাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটি নিউইয়র্কের পূজা অবশ্য তাজমহল পার্টি সেন্টারের পরিবর্তে এ বছর অনুষ্ঠিত হয় ফ্লোরাল পার্কের গোল্ডেন ইয়ারস পার্টি হলে। তাদের পূজা সম্পন্ন হয়েছে গত ৫ ও ৬ অক্টোবর শনি ও রোববার। এ ছাড়া দিব্যধাম, বাংলাদেশ মন্দির, টাইম স্কয়ারসহ পরিচিত সকল পূজামণ্ডপেই পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অসাম্প্রদায়িক চেতনা। সেই চেতনা নিয়ে পূজা-পার্বণ হিন্দুধর্ম সম্প্রদায়ের হলেও এর আনন্দ-উৎসবে সব ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষই অংশ নেয়। তাই এসব ধর্মোৎসব ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বজনীন উৎসবে রূপ নেয়।
দুর্গোৎসবের ধর্মতত্ত্ব থেকে জানা যায়, স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল অসুরমুক্ত করতে দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটেছিল। দেবীর ত্রিফলা-ত্রিশূলে ছিল শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিকতাকে ক্লেশমুক্ত করার শক্তি। মা-দুর্গা মহিষাসুরকে পরাভূত করে কেবল দেবতাদের ইচ্ছাই পূরণ করেননি, পৃথিবীটাকেও তিনি দানবমুক্ত করেন। তিনি দশ হাতে লড়াই করেছিলেন অসুরকুলের বিরুদ্ধে, তাই তাকে দশভুজাত বলা হয়।
আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এ প্রশ্ন খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে উদিত হয়, এ পৃথিবী কি সত্যি দানবমুক্ত হয়েছে? যে বাসযোগ্য একটা পৃথিবীর আকাক্সক্ষা ছিল মানবকুলের, সে আশঙ্কা মানুষের আজও পূরণ হয়নি। মানুষরূপী কিছু অসুর-দানব আজও মানুষের স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষাকে পদদলিত করে চলেছে। আজও চারদিকে মানুষের স্বপ্নহরণকারী সেই সব অসুর দানবের তাণ্ডব লক্ষ করা যায়। মানুষের সুন্দরতম স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষাকে সেই অসুরশক্তি প্রতিনিয়ত পদদলিত করে চলেছে।
এবার দেবী দুর্গার আবির্ভাবে চিরতরে সব অপশক্তি পরাভূত হোকÑএই আমাদের প্রার্থনা। আমরা অসুর ও দানবমুক্ত বাসযোগ্য একটি বিশ্ব চাই। আমরা যুদ্ধ চাই না। অশান্তি, রক্তপাত এবং জীবনহানি চাই না। অসাম্প্রদায়িক এবং কলুষমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার সমাজ চাই, যেখানে অনাবিল আনন্দে মেতে থাকি ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সব মানুষ সব উৎসব আয়োজনে। মানবতার জয়গান ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়। দুর্গতনাশিনী দেবী দুর্গার আগমনে মানবজাতির সব ক্লেশ, রোগ-শোক, জরা-ব্যাধি দূর হয়ে যাক।
প্রবাসে ও স্বদেশে সবার শারদীয় দুর্গোৎসব সফল হোক। আমরা যেন প্রমাণ করতে পারি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। হিন্দুধর্ম সম্প্রদায়ের সবার প্রতি আমাদের শারদীয় শুভেচ্ছা।
নিউইয়র্কে অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্রায় সব মন্দিরেই পূজা উদ্্যাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটি নিউইয়র্কের পূজা অবশ্য তাজমহল পার্টি সেন্টারের পরিবর্তে এ বছর অনুষ্ঠিত হয় ফ্লোরাল পার্কের গোল্ডেন ইয়ারস পার্টি হলে। তাদের পূজা সম্পন্ন হয়েছে গত ৫ ও ৬ অক্টোবর শনি ও রোববার। এ ছাড়া দিব্যধাম, বাংলাদেশ মন্দির, টাইম স্কয়ারসহ পরিচিত সকল পূজামণ্ডপেই পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অসাম্প্রদায়িক চেতনা। সেই চেতনা নিয়ে পূজা-পার্বণ হিন্দুধর্ম সম্প্রদায়ের হলেও এর আনন্দ-উৎসবে সব ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষই অংশ নেয়। তাই এসব ধর্মোৎসব ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বজনীন উৎসবে রূপ নেয়।
দুর্গোৎসবের ধর্মতত্ত্ব থেকে জানা যায়, স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল অসুরমুক্ত করতে দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটেছিল। দেবীর ত্রিফলা-ত্রিশূলে ছিল শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিকতাকে ক্লেশমুক্ত করার শক্তি। মা-দুর্গা মহিষাসুরকে পরাভূত করে কেবল দেবতাদের ইচ্ছাই পূরণ করেননি, পৃথিবীটাকেও তিনি দানবমুক্ত করেন। তিনি দশ হাতে লড়াই করেছিলেন অসুরকুলের বিরুদ্ধে, তাই তাকে দশভুজাত বলা হয়।
আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এ প্রশ্ন খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে উদিত হয়, এ পৃথিবী কি সত্যি দানবমুক্ত হয়েছে? যে বাসযোগ্য একটা পৃথিবীর আকাক্সক্ষা ছিল মানবকুলের, সে আশঙ্কা মানুষের আজও পূরণ হয়নি। মানুষরূপী কিছু অসুর-দানব আজও মানুষের স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষাকে পদদলিত করে চলেছে। আজও চারদিকে মানুষের স্বপ্নহরণকারী সেই সব অসুর দানবের তাণ্ডব লক্ষ করা যায়। মানুষের সুন্দরতম স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষাকে সেই অসুরশক্তি প্রতিনিয়ত পদদলিত করে চলেছে।
এবার দেবী দুর্গার আবির্ভাবে চিরতরে সব অপশক্তি পরাভূত হোকÑএই আমাদের প্রার্থনা। আমরা অসুর ও দানবমুক্ত বাসযোগ্য একটি বিশ্ব চাই। আমরা যুদ্ধ চাই না। অশান্তি, রক্তপাত এবং জীবনহানি চাই না। অসাম্প্রদায়িক এবং কলুষমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার সমাজ চাই, যেখানে অনাবিল আনন্দে মেতে থাকি ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সব মানুষ সব উৎসব আয়োজনে। মানবতার জয়গান ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়। দুর্গতনাশিনী দেবী দুর্গার আগমনে মানবজাতির সব ক্লেশ, রোগ-শোক, জরা-ব্যাধি দূর হয়ে যাক।
প্রবাসে ও স্বদেশে সবার শারদীয় দুর্গোৎসব সফল হোক। আমরা যেন প্রমাণ করতে পারি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। হিন্দুধর্ম সম্প্রদায়ের সবার প্রতি আমাদের শারদীয় শুভেচ্ছা।