কে আগে কে পিছে

সব ডামাডোলের মধ্যে এগিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৮ , অনলাইন ভার্সন
সময় ও স্রোত নাকি কারও জন্যই অপেক্ষা করে না। যেকোনো পরিস্থিতিতেই সময় ও স্রোতের চলমানতা থেমে থাকে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্থবির হয়ে যায়নি। সময়ের হাত ধরে এগিয়ে চলেছে নির্ধারিত সেই নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবারের দিকে। চারদিকে এত ডামাডোল, এত অস্থিরতা, উত্তাপ সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান; যদি অতি অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা না ঘটে বা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো কোনো যুদ্ধ শুরু হয়ে না যায়। বিশ্ব সংস্থার অনেক সদস্যই এমন আশঙ্কা করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার বর্তমান সশস্ত্র সংঘাত তেমন আশঙ্কাই প্রকাশ করছে।
যুদ্ধের পরিণতি যে কী, তা সবাই জানে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যারা নিজেরা প্রত্যক্ষ করেছেন, তাদের অধিকাংশ হয়তো আজ জীবিত নেই; কিন্তু ইতিহাস জীবিত আছে। ইতিহাসের পাঠ থেকে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা যারা সঞ্চয় করেছেন এবং এখনো করছেন, তারাও যুদ্ধের বিভীষিকা সম্পর্কে বুঝতে পারেন। এ ছাড়া আফগানিস্তান, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আঞ্চলিক যুদ্ধ থেকে যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং ধ্বংসযজ্ঞ মানুষের অনুভূতিকে নাড়া দেয়। যুদ্ধ শান্তির শত্রু, বিশ্বমানবতার শত্রু। যুদ্ধ মানুষের রক্ত ঝরায়, মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। সভ্যতা ধ্বংস করে।
এসব আশঙ্কা পাশে রেখেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই দল ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং গতবারের পরাজিত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ঝড়ের গতিতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কমলা হ্যাসিরই জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন। শেষ পর্যন্ত কার হাসি কে হাসে, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আমেরিকানসহ বিশ্ববাসী। সেটা ৫ নভেম্বরের আগে দেখা যাবে না। দিন যত যাচ্ছে এ নিয়ে ভোটার, দুই শিবির এবং প্রার্থীদের মধ্যে উত্তাপ-উত্তেজনা তত বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
ঠিকানার ২৫ সেপ্টেম্বর সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় একদম টপে প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা-উদ্বেগের আঁচ পাওয়া যায়। সংবাদটির শিরোনামেই উৎকণ্ঠার পরশ মেলে। ‘ট্রাম্প-কমলা শিবিরে উৎকণ্ঠা বাড়ছে’ শিরোনামের সংবাদটির শুরু এভাবে : ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। অর্থাৎ রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী ক্ষমতাসীন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস কেউই জয়ের ব্যাপারে আদৌ নিশ্চিত হতে পারছেন না। আশা-নিরাশার দোলাচলে দুই প্রার্থীই দুলছেন। প্রথম বিতর্কে পরাজিত হওয়ার পর দ্বিতীয় বিতর্কে আর কমলার আমন্ত্রণে সাড়া দিচ্ছেন না ট্রাম্প।
কয়েকটি জরিপ সংস্থার জরিপে ট্রাম্পের তুলনায় কমলা হ্যারিস ৫ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। ট্রাম্প এখন কেবল নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। এদিকে ব্যাটেল স্টেট নামে পরিচিত পেনসিলভানিয়ায় উভয় প্রার্থীই সমানে সমান। দুজনই ৪৭.৯ শতাংশ ভোটে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ফিলিস্তিন ও লেবাননে ইসরায়েলি নিষ্ঠুরতম হামলার কারণে ডেমোক্র্যাটদের প্রতি জনরোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্বাচনী পরিস্থিতির যোগ-বিয়োগে কোনো প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে না পারায় তাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসতে থাকবে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ততই কেটে যেতে থাকবে। নির্বাচনী আকাশের মেঘ যত সরে যাবে, প্রার্থীদের কার কী অবস্থান সেটাও পরিষ্কার হতে থাকবে।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078