চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন একটি তেলবাহী ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ‘বাংলার সৌরভ’ নামে জাহাজে এই অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনায় জাহাজের ৪৮ জনকে উদ্ধার করা হলেও মো. সাদেক নামের এক নাবিক আতঙ্কিত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনী।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় সাগরে এই অগ্নিকাণ্ড হয়। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে চারটায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম কার্যালয়ের মোবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন।
তিনি বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কল পেয়ে আমরা তেলের ট্যাংকারে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত হই। তবে ঘটনাস্থল বহির্নোঙরে হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সেখানে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ ছিল না। অন্যান্য সংস্থার উদ্ধারকারী দল পৌঁছানোর আগেই আতঙ্কিত নাবিকদের বেশ কয়েকজন সাগরে লাফিয়ে পড়েন। এর মধ্যে কয়েকজনকে উদ্ধার করে ফিশিং ট্রলারগুলো। পরে আসেন নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। উদ্ধার করেন জাহাজের ৪৮ নাবিককে। কিন্তু ঘটনার ভয়াবহতায় আতঙ্কিত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. সাদেক নামে ওই নাবিকের মৃত্যু হয়েছে।
জাহাজের ডেক থেকে আগুনের সূত্রপাত হলেও ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে, সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, ১১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ক্রুড ওয়েল নিয়ে নোঙরের অপেক্ষায় ছিল ট্যাংকারটি। ট্যাংকারটিতে ক্রুসহ মোট ৪৮ জন কর্মরত ছিলেন।
এর আগে গত সোমবার বেলা ১১টায় কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে ‘বাংলার জ্যোতি’ নামের আরও একটি তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পর আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, বিএসসির বহরে রয়েছে দুটি তেলের ট্যাংকার। ‘বাংলার জ্যোতি’ ও ‘বাংলার সৌরভ’ নামের ট্যাংকার দুটি ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়েছিল ডেনমার্কে। ট্যাংকার দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় ট্যাংকার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে পতেঙ্গার বিভিন্ন ডিপোতে নিয়ে আসে। পরপর দুটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চট্টগ্রাম বন্দরে অন্যান্য জাহাজের সংশ্লিষ্টদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে ঘটনা সম্পর্কে নৌবাহিনী চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ ইকবাল জানান, আগুনের খবর পেয়ে আমরা সমন্বিতভাবে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। জাহাজে থাকা ৪৮ নাবিককে আমরা উদ্ধার করি। পরে ট্রমার কারণে সাদেক নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঠিকানা/এনআই
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় সাগরে এই অগ্নিকাণ্ড হয়। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে চারটায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম কার্যালয়ের মোবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন।
তিনি বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কল পেয়ে আমরা তেলের ট্যাংকারে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত হই। তবে ঘটনাস্থল বহির্নোঙরে হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সেখানে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ ছিল না। অন্যান্য সংস্থার উদ্ধারকারী দল পৌঁছানোর আগেই আতঙ্কিত নাবিকদের বেশ কয়েকজন সাগরে লাফিয়ে পড়েন। এর মধ্যে কয়েকজনকে উদ্ধার করে ফিশিং ট্রলারগুলো। পরে আসেন নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। উদ্ধার করেন জাহাজের ৪৮ নাবিককে। কিন্তু ঘটনার ভয়াবহতায় আতঙ্কিত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. সাদেক নামে ওই নাবিকের মৃত্যু হয়েছে।
জাহাজের ডেক থেকে আগুনের সূত্রপাত হলেও ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে, সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, ১১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ক্রুড ওয়েল নিয়ে নোঙরের অপেক্ষায় ছিল ট্যাংকারটি। ট্যাংকারটিতে ক্রুসহ মোট ৪৮ জন কর্মরত ছিলেন।
এর আগে গত সোমবার বেলা ১১টায় কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে ‘বাংলার জ্যোতি’ নামের আরও একটি তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পর আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, বিএসসির বহরে রয়েছে দুটি তেলের ট্যাংকার। ‘বাংলার জ্যোতি’ ও ‘বাংলার সৌরভ’ নামের ট্যাংকার দুটি ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়েছিল ডেনমার্কে। ট্যাংকার দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় ট্যাংকার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে পতেঙ্গার বিভিন্ন ডিপোতে নিয়ে আসে। পরপর দুটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চট্টগ্রাম বন্দরে অন্যান্য জাহাজের সংশ্লিষ্টদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে ঘটনা সম্পর্কে নৌবাহিনী চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ ইকবাল জানান, আগুনের খবর পেয়ে আমরা সমন্বিতভাবে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। জাহাজে থাকা ৪৮ নাবিককে আমরা উদ্ধার করি। পরে ট্রমার কারণে সাদেক নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঠিকানা/এনআই