প্রবাদ-প্রবচনে বলা হয়, ‘আল্লাহ যারে দেন তারে ছাপ্পর মাইরা দেন।’ এই তো কদিন আগেই বন্যায় ভেসে গেল দেশ। অনেক মানুষের জীবন, মানুষের স্বপ্ন, জীবনযাপনের সব রসদ, গবাদিপশু, মাঠের ফসল, ঘরে জমানো ভবিষ্যৎ পাড়ি দেওয়ার সব সঞ্চয় খেয়ে ফেলল পানি। সবাই বিপদগ্রস্ত। কারও পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। শহরাঞ্চলের যারা, বন্যার পানি যাদের স্পর্শ করতে পারেনি, তারা তাদের সাধ্যমতো সাহায্য দিয়েছেন। তবে তাদের অনেকের মধ্যে টেলিভিশনে প্রচার পাওয়ার প্রবণতাও কাজ করেছে। তবু অসহায় বানভাসি মানুষ সহায়তা পেয়েছে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা বন্যার্ত মানুষের জন্য খুব সততা ও মানবিকতার চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে যা করেছেন, তা বাংলাদেশের ত্রাণসহায়তার ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে। ত্রাণ লুটপাটের অপবাদ নেই। প্রচার প্রাপ্তির উৎকট মানসিকতা নেই। সবই দুর্গত মানুষের প্রতি ভালোবাসা।
লুটপাট বাণিজ্যের আশঙ্কা না থাকায় সাহায্যদাতাদের দানের হাতও প্রসারিত হয়েছে। তবে আজকের এ সম্পাদকীর মূলকথা বন্যার্তদের সাহায্য-সহায়তার কথা বলা নয়। কদিন আগে বন্যায় ভেসেছে দেশের নিম্নাঞ্চলের মানুষ। এখন ডলার প্লাবনে ভাসছে সমগ্র বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের অঙ্গীকার রাষ্ট্রকে সঠিক ট্র্যাকে তুলে দিয়ে বিদায় নেওয়া। রাষ্ট্রের মূল কাঠামো সব অচল। সেসব ঠিকঠাক করে দেওয়া। অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানতম কাজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক ধস ঠেকানো। ব্যাংক-ব্যবস্থা, দুদক, নির্বাচন কমিশন, বিচারব্যবস্থা, নির্বাহী সব শাখার সংস্কার করাটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার।
কিন্তু এ সংস্কারকাজে কেবলই মেধা, প্রজ্ঞা, সততা আর শ্রম দেওয়ার বিষয় নয়। এর পেছনে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ। যে অর্থ বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের অর্থভান্ডার নিঃশেষ করে দিয়ে গেছে গত সরকারের কয়েকজন লুটেরা। তাদের শুধু লুটেরা বললে কমই বলা হয়। দেশকে যারা দেউলিয়া করে তারা সাধারণ লুটেরা নয়, তারা দুর্বৃত্ত, মহা-ডাকাত। তারা ব্যাংক, শেয়ারবাজারে সম্পূর্ণ ধস নামিয়ে দিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের এই আর্থিক সংকটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিশেষ করে সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক কানেকশন বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ড. ইউনূসকে শুধু অভিনন্দন জানিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেননি, সেই সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারে অর্থ সহায়তাদানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সহায়তাদানের প্রতিশ্রুতির ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এর বাইরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের যোগদান অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক। বৈঠকে জো বাইডেন উচ্ছ্বাস ও আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে স্বাগত জানান ড. ইউনূসকে। অর্থবন্যায় যে বাংলাদেশ ভাসছে, তার আভাস কেবল জো বাইডেনের অঙ্গীকারেই ব্যক্ত হয়নি, অনেক দেশের অনেক প্রতিশ্রুতিতেও তা ব্যক্ত হয়েছে। ঠিকানায় একটি সংবাদ প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছে। পূর্ণ শিরোনামের খণ্ডাংশ : ‘অর্থবন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ’। সেই প্রতিবেদনে শুরু হয়েছে এভাবে, ‘বাংলাদেশে বৈদেশিক অর্থের প্লাবন ছুটেছে যেন। ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধিদল শুধু নয়, প্রশান্তির লু হাওয়া বইয়ে দিয়েছেন আরও অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জার্মানি, কানাডাসহ আরও অনেক দেশ। এর বাইরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স বেড়ে গেছে হঠাৎ করেই। গত মাত্র ১৫ দিনে দেশে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স এসেছে ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার।’
এভাবেই বৈদেশিক ঋণ ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স-প্রবাহ যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে (সবারই বিশ্বাস, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেটা পারবে), তবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং রাষ্ট্রকাঠামো ঠিকঠাক করার কাজ অনেকটাই সহজ হবে। সবার বিশ্বাস ও প্রত্যাশা পূরণ হবে-সেটাই দেশবাসী কামনা করে।
লুটপাট বাণিজ্যের আশঙ্কা না থাকায় সাহায্যদাতাদের দানের হাতও প্রসারিত হয়েছে। তবে আজকের এ সম্পাদকীর মূলকথা বন্যার্তদের সাহায্য-সহায়তার কথা বলা নয়। কদিন আগে বন্যায় ভেসেছে দেশের নিম্নাঞ্চলের মানুষ। এখন ডলার প্লাবনে ভাসছে সমগ্র বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের অঙ্গীকার রাষ্ট্রকে সঠিক ট্র্যাকে তুলে দিয়ে বিদায় নেওয়া। রাষ্ট্রের মূল কাঠামো সব অচল। সেসব ঠিকঠাক করে দেওয়া। অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানতম কাজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক ধস ঠেকানো। ব্যাংক-ব্যবস্থা, দুদক, নির্বাচন কমিশন, বিচারব্যবস্থা, নির্বাহী সব শাখার সংস্কার করাটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার।
কিন্তু এ সংস্কারকাজে কেবলই মেধা, প্রজ্ঞা, সততা আর শ্রম দেওয়ার বিষয় নয়। এর পেছনে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ। যে অর্থ বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের অর্থভান্ডার নিঃশেষ করে দিয়ে গেছে গত সরকারের কয়েকজন লুটেরা। তাদের শুধু লুটেরা বললে কমই বলা হয়। দেশকে যারা দেউলিয়া করে তারা সাধারণ লুটেরা নয়, তারা দুর্বৃত্ত, মহা-ডাকাত। তারা ব্যাংক, শেয়ারবাজারে সম্পূর্ণ ধস নামিয়ে দিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের এই আর্থিক সংকটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিশেষ করে সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক কানেকশন বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ড. ইউনূসকে শুধু অভিনন্দন জানিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেননি, সেই সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারে অর্থ সহায়তাদানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সহায়তাদানের প্রতিশ্রুতির ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এর বাইরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের যোগদান অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক। বৈঠকে জো বাইডেন উচ্ছ্বাস ও আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে স্বাগত জানান ড. ইউনূসকে। অর্থবন্যায় যে বাংলাদেশ ভাসছে, তার আভাস কেবল জো বাইডেনের অঙ্গীকারেই ব্যক্ত হয়নি, অনেক দেশের অনেক প্রতিশ্রুতিতেও তা ব্যক্ত হয়েছে। ঠিকানায় একটি সংবাদ প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছে। পূর্ণ শিরোনামের খণ্ডাংশ : ‘অর্থবন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ’। সেই প্রতিবেদনে শুরু হয়েছে এভাবে, ‘বাংলাদেশে বৈদেশিক অর্থের প্লাবন ছুটেছে যেন। ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধিদল শুধু নয়, প্রশান্তির লু হাওয়া বইয়ে দিয়েছেন আরও অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জার্মানি, কানাডাসহ আরও অনেক দেশ। এর বাইরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স বেড়ে গেছে হঠাৎ করেই। গত মাত্র ১৫ দিনে দেশে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স এসেছে ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার।’
এভাবেই বৈদেশিক ঋণ ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স-প্রবাহ যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে (সবারই বিশ্বাস, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেটা পারবে), তবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং রাষ্ট্রকাঠামো ঠিকঠাক করার কাজ অনেকটাই সহজ হবে। সবার বিশ্বাস ও প্রত্যাশা পূরণ হবে-সেটাই দেশবাসী কামনা করে।