রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরে না গেলে বাংলাদেশের মেয়েরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলত নিজেদের দেশে। সেটি সম্ভব না হলেও আরব আমিরাতে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শারজায় টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে করে ১১৯ রান। লক্ষ্য তাড়ায় স্কটল্যান্ডের মেয়েরা ৭ উইকেটে থামে ১০৩ রানে। ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশের মেয়েরা।
ম্যাচটি ছিল জ্যোতির নতুন মাইলফলকেরও। বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। অধিনায়কের মাইলফলক গড়ার ম্যাচে বাংলাদেশ পেল স্মরণীয় জয়ও। ঘরের মাটিতে ২০১৪ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নেমে দুটি জয় পেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এরপর ২০১৬, ২০১৮, ২০২০ ও ২০২৩ বিশ্বকাপে খেললেও দেখা পায়নি জয়ের। এবার স্কটিশদের হারিয়ে সেই অপেক্ষা ঘোচাল বাংলাদেশ।
ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন সাথি রানী (২৯) ও মুরশিদা খাতুন (১২)। দুজনের ২৬ রানের জুটি ভাঙেন ক্যাথরিন ব্রাইস। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়ে ফেরেন সাথি। স্কোরবোর্ডে রান তখন ৬৮। তার সঙ্গে ১ রান যোগ হতেই রানআউট হন তাজ নাহার (০)।
এরপর জ্যোতির সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মোস্তারি। তবে ৩৮ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফিরলে বাংলাদেশের রানের চাকার গতি ধীর হয়ে আসে। জ্যোতিকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি স্বর্ণা আক্তার (৫) ও রিতু মনি (৫)। ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ১৮ বলে ১৮ রান করে দলের শেষ উইকেট হিসেবে ফেরেন উইকেটরক্ষক জ্যোতি। তিনজনকেই ফেরান সাসকিয়া হোর্লি। স্কটল্যান্ডের হয়ে তিনি সফল বোলার। বাংলাদেশের হয়ে ফাহিমা খাতুন (১০) ও রাবেয়া খান (১) অপরাজিত ছিলেন।
১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বোলিংয়ের সাফল্যটা ব্যাটিংয়ে দেখাতে পারেননি ওপেনার হোর্লি (৫)। ফেরেন ফাহিমা খাতুনের বলে জ্যোতির গ্লাভসে বন্দী হয়ে। তবে আরেক ওপেনার সারাহ ব্রাইস চেষ্টা করে গেছেন শেষ পর্যন্ত। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে ৫২ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তবে মারুফা আক্তারের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ব্রাইস। তবে তার বড় বোন অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রাইসকে (১১) বোল্ড করেন মারুফা।
৭০ রানেই ৫ উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। তাদের ইনিংসে শুধু তিনজন দুই অঙ্কের রান ছুঁয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রিতু মনি। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচও হন রিতু।
ঠিকানা/এনআই
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শারজায় টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে করে ১১৯ রান। লক্ষ্য তাড়ায় স্কটল্যান্ডের মেয়েরা ৭ উইকেটে থামে ১০৩ রানে। ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশের মেয়েরা।
ম্যাচটি ছিল জ্যোতির নতুন মাইলফলকেরও। বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। অধিনায়কের মাইলফলক গড়ার ম্যাচে বাংলাদেশ পেল স্মরণীয় জয়ও। ঘরের মাটিতে ২০১৪ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নেমে দুটি জয় পেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এরপর ২০১৬, ২০১৮, ২০২০ ও ২০২৩ বিশ্বকাপে খেললেও দেখা পায়নি জয়ের। এবার স্কটিশদের হারিয়ে সেই অপেক্ষা ঘোচাল বাংলাদেশ।
ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন সাথি রানী (২৯) ও মুরশিদা খাতুন (১২)। দুজনের ২৬ রানের জুটি ভাঙেন ক্যাথরিন ব্রাইস। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়ে ফেরেন সাথি। স্কোরবোর্ডে রান তখন ৬৮। তার সঙ্গে ১ রান যোগ হতেই রানআউট হন তাজ নাহার (০)।
এরপর জ্যোতির সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মোস্তারি। তবে ৩৮ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফিরলে বাংলাদেশের রানের চাকার গতি ধীর হয়ে আসে। জ্যোতিকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি স্বর্ণা আক্তার (৫) ও রিতু মনি (৫)। ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ১৮ বলে ১৮ রান করে দলের শেষ উইকেট হিসেবে ফেরেন উইকেটরক্ষক জ্যোতি। তিনজনকেই ফেরান সাসকিয়া হোর্লি। স্কটল্যান্ডের হয়ে তিনি সফল বোলার। বাংলাদেশের হয়ে ফাহিমা খাতুন (১০) ও রাবেয়া খান (১) অপরাজিত ছিলেন।
১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বোলিংয়ের সাফল্যটা ব্যাটিংয়ে দেখাতে পারেননি ওপেনার হোর্লি (৫)। ফেরেন ফাহিমা খাতুনের বলে জ্যোতির গ্লাভসে বন্দী হয়ে। তবে আরেক ওপেনার সারাহ ব্রাইস চেষ্টা করে গেছেন শেষ পর্যন্ত। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে ৫২ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তবে মারুফা আক্তারের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ব্রাইস। তবে তার বড় বোন অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রাইসকে (১১) বোল্ড করেন মারুফা।
৭০ রানেই ৫ উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। তাদের ইনিংসে শুধু তিনজন দুই অঙ্কের রান ছুঁয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রিতু মনি। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচও হন রিতু।
ঠিকানা/এনআই