বিগত ১৬ বছর লাগাতার আন্দোলন-সংগ্রামে সোচ্চার থাকার পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সফরকালে বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার পরিপূরক বক্তব্যের সমন্বয়ে জেএফকে এয়ারপোর্টে এবং জাতিসংঘের সামনে স্বাগত সমাবেশ করার জন্য আমেরিকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সমাবেশে লন্ডন থেকে টেলিফোনে প্রদত্ত বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‘জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনেসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্নস্থানে আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। আজকের এ অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত নেই তাদেরকে সমবেত সকলের মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিগত কয়েকদিনেও আপনারা দেশের মানুষের যে প্রত্যাশা, যে আকাক্সক্ষা, সে কথাগুলো আপনারা তুলে ধরেছেন জাতিসংঘসহ বিভিন্ন জায়গায়, সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
সকলকে সালাম জানিয়ে তারেক রহমান আরো বলেন, আমেরিকাতে আমাদের বহু নেতাকর্মী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। বিগত বছরগুলোতে আপনারা স্ব স্ব অবস্থান থেকে চেষ্টা করেছেন দেশের অবস্থা তুলে ধরার জন্য, চেষ্টা করেছেন আমাদের দলকে সুসংহত করার জন্য।
তিনি বলেন, ‘টেলিফোনে তো খুববেশি বলার অবকাশ নেই। দোয়া করি আপনারা সকলে ভালো থাকুন। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমরা সকলে দোয়া করি যেন আল্লাহ আমাদেরকে সুযোগ দেন, আমাদের প্রিয় দলকে যেন সুযোগ দেন বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভবিষ্যতে যেন ভাল কিছু করতে পারি।’
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের বিদায়-অভ্যর্থনা উপলক্ষে। লন্ডন থেকে তিনি নিউইয়র্কে এসেছিলেন ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সফরকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমর্থনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন কর্মসূচির সমন্বয় সাধনের জন্য। তারেক রহমানের টেলিকনফারেন্সেরও সমন্বয় করেছেন আনোয়ার হোসেন খোকন।
এ সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট এবং জিল্লুর রহমান জিল্লু, তারেক রহমানের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহীনও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান সাঈদ। সমাবেশ আয়োজনে সহায়তায় ছিলেন নিউইয়র্ক মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বক্তব্য দেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জসিমউদ্দিন (ভিপি জসিম), সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আরিফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রইসউদ্দিন আহমেদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক আনিসুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির নেতা অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, আনোয়ারুল ইসলাম, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, রুহুল আমিন নাসির, আনোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুল হক আজাদ, নীরা রাব্বানী, হুমায়ুন কবির, আশরাফ হোসেন, দেওয়ান কাউসার, বরিশাল বিভাগীয় জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি জাফর তালুকদার, লিয়াকত হোসন প্রমুখ।
একইদিন অপরাহ্নে লন্ডনের উদ্দেশ্যে জেএফকে ত্যাগের সময় বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী বিদায়-সম্ভাষণ জানান আনোয়ার হোসেন খোকনকে। এর আগে স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির অন্যতম সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাটের নেতৃত্বে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি : অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের রোডম্যাপের’ দাবি উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিএনপির নেতা-কর্মীদের এক মতবিনিময় সভায়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে এক সভায় এ দাবি জানান তারা।
নিউইয়র্কে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, আমরা যারা বিদেশে রয়েছি তাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের আন্দোলন চলছে, যতদিন পর্যন্ত আমার ভোট আমি দেব-যাকে খুশী তাকে দেব-এমন পরিবেশে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব না নেবে।
তিনি বলেন, আমরা অনুরোধ করবো সংস্কারের রোডম্যাপ এবং নির্বাচনের সময়-সীমা ঘোষণা করুন। খোকন আরো বলেন, এই অন্তর্র্বতীকালিন সরকারকে, আপনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং আমাদের দল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকার হচ্ছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল। এটা কোন ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠির নয়। এটা ১৮ কোটি মানুষের আন্দোলনের ফসল। দীর্ঘ ১৭টি বছর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আন্দোলন করেছে, এবং এখনো সে আন্দোলন চলছে।
বিএনপির নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার সভাপতিত্বে নিউইয়র্ক সিটির মতবিনিময় সমাবেশে বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট, গিয়াস আহমেদ এবং জিল্লুর রহমান, তারেক রহমানের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন এবং বিএনপির সহকারি আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাহিদ খান সাহেল।
নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগর উত্তরের সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকনও মঞ্চে উপবেশন করেন। সভা পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন স্টেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ ও উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরী।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন- যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এম এ বাতিন, বর্তমানের সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইলিয়াস খান, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন (ভিপি জসীম), সিনিয়র সহ-সাধারন সম্পাদক আরিফুর রহমান, সাংগঠিক সম্পাদক মোহাম্মদ রইচ উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহব্বায়ক সাংবাদিক আনিসুর রহমান, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী,বদরুল হক আজাদ, আশরাফ হোসেন, দেওয়ান কাউসার, এবাদ চৌধুরী, রিয়াজ মাহমুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী আসাদউল্লাহ, জিয়াউর রহমান মিলন, জহিরউদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মাইনউদ্দিন, মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র সহ-সভাপতি সোরহাব হোসেন, সাংঠনিক সম্পাদক আলমীর হোসেন মৃধা, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সভাপতি এম এ জাহাংগীর, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সমাবেশে লন্ডন থেকে টেলিফোনে প্রদত্ত বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‘জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনেসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্নস্থানে আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। আজকের এ অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত নেই তাদেরকে সমবেত সকলের মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিগত কয়েকদিনেও আপনারা দেশের মানুষের যে প্রত্যাশা, যে আকাক্সক্ষা, সে কথাগুলো আপনারা তুলে ধরেছেন জাতিসংঘসহ বিভিন্ন জায়গায়, সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
সকলকে সালাম জানিয়ে তারেক রহমান আরো বলেন, আমেরিকাতে আমাদের বহু নেতাকর্মী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। বিগত বছরগুলোতে আপনারা স্ব স্ব অবস্থান থেকে চেষ্টা করেছেন দেশের অবস্থা তুলে ধরার জন্য, চেষ্টা করেছেন আমাদের দলকে সুসংহত করার জন্য।
তিনি বলেন, ‘টেলিফোনে তো খুববেশি বলার অবকাশ নেই। দোয়া করি আপনারা সকলে ভালো থাকুন। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমরা সকলে দোয়া করি যেন আল্লাহ আমাদেরকে সুযোগ দেন, আমাদের প্রিয় দলকে যেন সুযোগ দেন বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভবিষ্যতে যেন ভাল কিছু করতে পারি।’
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের বিদায়-অভ্যর্থনা উপলক্ষে। লন্ডন থেকে তিনি নিউইয়র্কে এসেছিলেন ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সফরকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমর্থনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন কর্মসূচির সমন্বয় সাধনের জন্য। তারেক রহমানের টেলিকনফারেন্সেরও সমন্বয় করেছেন আনোয়ার হোসেন খোকন।
এ সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট এবং জিল্লুর রহমান জিল্লু, তারেক রহমানের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহীনও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান সাঈদ। সমাবেশ আয়োজনে সহায়তায় ছিলেন নিউইয়র্ক মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বক্তব্য দেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জসিমউদ্দিন (ভিপি জসিম), সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আরিফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রইসউদ্দিন আহমেদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক আনিসুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির নেতা অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, আনোয়ারুল ইসলাম, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, রুহুল আমিন নাসির, আনোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুল হক আজাদ, নীরা রাব্বানী, হুমায়ুন কবির, আশরাফ হোসেন, দেওয়ান কাউসার, বরিশাল বিভাগীয় জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি জাফর তালুকদার, লিয়াকত হোসন প্রমুখ।
একইদিন অপরাহ্নে লন্ডনের উদ্দেশ্যে জেএফকে ত্যাগের সময় বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী বিদায়-সম্ভাষণ জানান আনোয়ার হোসেন খোকনকে। এর আগে স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির অন্যতম সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাটের নেতৃত্বে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি : অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের রোডম্যাপের’ দাবি উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিএনপির নেতা-কর্মীদের এক মতবিনিময় সভায়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে এক সভায় এ দাবি জানান তারা।
নিউইয়র্কে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, আমরা যারা বিদেশে রয়েছি তাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের আন্দোলন চলছে, যতদিন পর্যন্ত আমার ভোট আমি দেব-যাকে খুশী তাকে দেব-এমন পরিবেশে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব না নেবে।
তিনি বলেন, আমরা অনুরোধ করবো সংস্কারের রোডম্যাপ এবং নির্বাচনের সময়-সীমা ঘোষণা করুন। খোকন আরো বলেন, এই অন্তর্র্বতীকালিন সরকারকে, আপনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং আমাদের দল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকার হচ্ছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল। এটা কোন ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠির নয়। এটা ১৮ কোটি মানুষের আন্দোলনের ফসল। দীর্ঘ ১৭টি বছর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আন্দোলন করেছে, এবং এখনো সে আন্দোলন চলছে।
বিএনপির নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার সভাপতিত্বে নিউইয়র্ক সিটির মতবিনিময় সমাবেশে বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট, গিয়াস আহমেদ এবং জিল্লুর রহমান, তারেক রহমানের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন এবং বিএনপির সহকারি আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাহিদ খান সাহেল।
নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগর উত্তরের সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকনও মঞ্চে উপবেশন করেন। সভা পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন স্টেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ ও উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরী।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন- যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এম এ বাতিন, বর্তমানের সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইলিয়াস খান, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন (ভিপি জসীম), সিনিয়র সহ-সাধারন সম্পাদক আরিফুর রহমান, সাংগঠিক সম্পাদক মোহাম্মদ রইচ উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহব্বায়ক সাংবাদিক আনিসুর রহমান, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী,বদরুল হক আজাদ, আশরাফ হোসেন, দেওয়ান কাউসার, এবাদ চৌধুরী, রিয়াজ মাহমুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী আসাদউল্লাহ, জিয়াউর রহমান মিলন, জহিরউদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মাইনউদ্দিন, মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র সহ-সভাপতি সোরহাব হোসেন, সাংঠনিক সম্পাদক আলমীর হোসেন মৃধা, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সভাপতি এম এ জাহাংগীর, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ।