সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত ২৩ সেপ্টেম্বর রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে জাপানের টোকিও-ভিত্তিক নিউজ আউটলেট এনএইচকে ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করা এবং সরকার প্রস্তুত হলেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। অন্যদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, কত দিনের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে, ১৬ মাস না ১৮ মাস পরে, এটা ঠিক করবে দেশের জনগণ। তিনি বলেন, বিশ্বনেতারা রাষ্ট্র মেরামতের বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছেন। এ অবস্থায় রাষ্ট্র সংস্কারে ছয়টি কমিশনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে পুরোদমে সংস্কার শুরুর আগে উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা করবে। ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে সেনাপ্রধান নিজের মতামত জানিয়েছেন। কত মাস লাগবে, সেটা নির্ধারণ করবে জনগণ। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো সোচ্চার হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর কেউ চাচ্ছে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। কেউ বলছে, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন। কেউ বলছে, ভোট নিয়ে তাড়াহুড়ো না করে দীর্ঘ সময় নিয়ে সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়া হোক। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর দেশের ভোটপাগল মানুষও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। এদিকে সেনাপ্রধানের সংস্কার করে ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান উপদেষ্টার ১৮ মাস সংস্কারের পর নির্বাচন বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মূলত ১৮ মাস ধরে সংস্কার করে পরে নির্বাচন, নাকি ১৮ মাসের মধ্যে সংস্কারের পর নির্বাচন- এই টাইমফ্রেম নিয়ে ধোঁয়াশা চলছে। নির্বাচন বিশ্লেষকেরা বলেছেন, নির্বাচন ও সংস্কার ১৮ মাসের মধ্যে নাকি সংস্কার ১৮ মাস অতঃপর নির্বাচন, বিষয়টি জাতির কাছে পরিষ্কার করা উচিত। কারণ সেনাপ্রধান ১৮ মাসের মধ্যে সংস্কার ও নির্বাচনের কথা বলেছেন। অথচ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ১৮ মাস সংস্কারের পর নির্বাচন। তাই জাতির কাছে টাইমফ্রেমের বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার।
গত ১৯ জুলাই ছয়টি সেক্টরে সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজ দায়িত্ব পালন করবেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের অন্যান্য সদস্য হিসেবে কাজ করার কথা রয়েছে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, নির্বাচন কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের মুখ্য পরিচালক ড. আবদুুল আলীম, আন্তর্জাতিক শাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন এবং লেখক ও রাজনীতি বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমানের।
ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিতকরণে নির্বাচন কমিশন সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করবে। ৩১ ডিসেম্বরের (তিন মাস) মধ্যেই সংস্কার প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেবে। অতঃপর কমিশন সংস্কার করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হবে। নতুন কমিশন দায়িত্ব নিয়েই নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের টাইমফ্রেম দেবে।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার, নতুন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি এক বছরের মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কখন হবে এটা আমার জানার কথা নয়। আমার ধারণা, সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারিত হবে। তবে নির্বাচন কমিশন সংস্কারে আমাদের ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দল ও সরকারের মধ্যে সংলাপ হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থার সব দিক নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব এবং এর ভিত্তিতে সুপারিশ প্রণয়ন করব। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম বলেন, নির্বাচন নিয়ে আইনি কাঠামো যা আছে, সেগুলো সংস্কার করা খুব জরুরি। অর্থাৎ পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া রিভিউ করতে হবে। শুধু নির্বাচনের আগে নয়, ভোটের পরও নির্বাচনী বিরোধগুলো বছরের পর বছর ঝুলে থাকে, সেগুলো নানা সংকটে সমাধান হয় না, সেসব বিষয়ও এই পর্যালোচনায় উঠে আসতে পারে। এগুলো দ্রুত করা সম্ভব।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, সংস্কারে সংবিধানের বিষয়টি থাকবে মৌলিক। সংবিধান সংস্কার করা হলে তার ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন-প্রক্রিয়ার অন্য কাজগুলো শুরু করতে হবে।
গত ১৯ জুলাই ছয়টি সেক্টরে সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজ দায়িত্ব পালন করবেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের অন্যান্য সদস্য হিসেবে কাজ করার কথা রয়েছে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, নির্বাচন কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের মুখ্য পরিচালক ড. আবদুুল আলীম, আন্তর্জাতিক শাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন এবং লেখক ও রাজনীতি বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমানের।
ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিতকরণে নির্বাচন কমিশন সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করবে। ৩১ ডিসেম্বরের (তিন মাস) মধ্যেই সংস্কার প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেবে। অতঃপর কমিশন সংস্কার করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হবে। নতুন কমিশন দায়িত্ব নিয়েই নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের টাইমফ্রেম দেবে।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার, নতুন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি এক বছরের মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কখন হবে এটা আমার জানার কথা নয়। আমার ধারণা, সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারিত হবে। তবে নির্বাচন কমিশন সংস্কারে আমাদের ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দল ও সরকারের মধ্যে সংলাপ হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থার সব দিক নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব এবং এর ভিত্তিতে সুপারিশ প্রণয়ন করব। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম বলেন, নির্বাচন নিয়ে আইনি কাঠামো যা আছে, সেগুলো সংস্কার করা খুব জরুরি। অর্থাৎ পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া রিভিউ করতে হবে। শুধু নির্বাচনের আগে নয়, ভোটের পরও নির্বাচনী বিরোধগুলো বছরের পর বছর ঝুলে থাকে, সেগুলো নানা সংকটে সমাধান হয় না, সেসব বিষয়ও এই পর্যালোচনায় উঠে আসতে পারে। এগুলো দ্রুত করা সম্ভব।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, সংস্কারে সংবিধানের বিষয়টি থাকবে মৌলিক। সংবিধান সংস্কার করা হলে তার ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন-প্রক্রিয়ার অন্য কাজগুলো শুরু করতে হবে।