ইসরায়েলের ভূখণ্ডে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রাজধানী তেলআবিবের ওপর দিয়ে তেহরানের শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে। তেলআবিব, হাইফা ও জেরুজালেমের মতো প্রধান শহরগুলোতে এই হামলা হয়েছে। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে এবং তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তেলআবিবসহ বিভিন্ন শহরে বিপৎসংকেত হিসেবে সাইরেন বাজানো হয়েছে। এতে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে ছোটাছুটি করেছে। এরই মধ্যে তেলআবিবে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে অন্তত ছয়জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছে।
অন্যদিকে একই দিন লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের জেরে পর্যবেক্ষকেরা আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল, অচিরেই এই সংঘাতে ইরান জড়িয়ে পড়বেÑএবার সেটিই দেখল বিশ্ব। এর মাধ্যমে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও আল-জাজিরা।
হামলা চালানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছে ইরান। ইরানের ফারস বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বলেছে, ইসরায়েলে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহ-প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং এ বছরের শুরুতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে। লেবাননে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর এর বদলা নেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল তেহরান। হামলার পর আইআরজিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসমাইল হানিয়াহ, হাসান নাসরুল্লাহ এবং আইআরজিসি কমান্ডার আব্বাস শহীদ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আমরা অধিকৃত অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলকে লক্ষ্যবস্তু (হামলা) করেছি।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, আইআরজিসি নেটজারিম করিডোরে অবস্থিত ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক লক্ষ্য করে কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। নেটজারিম করিডোর একটি ছিটমহল। ইসরায়েলি আক্রমণের প্রথম দিকে উত্তর গাজাকে দক্ষিণ থেকে বিভক্ত করার জন্য নেটজারিম করিডোর স্থাপন করা হয়েছিল। আইআরজিসি বলেছে, তাদের প্রচেষ্টা ‘সফল’ হয়েছে।
আইআরজিসি নিশ্চিত করেছে, তারা ইসরায়েল অভিমুখে ‘অসংখ্য’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইরানের রক্ষীবাহিনী হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, ইসরায়েল এ হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা আবারও হামলা চালাবে।
অন্যদিকে ইসরায়েল বলেছে, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলের আয়রন ডোম অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেম ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধা দিচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি তাৎক্ষণিক এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ‘ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের আক্রমণ প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, ‘দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা অনেক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ফেলে দিয়েছে। তবে মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি আঘাত রেকর্ড করা হয়েছে।’ টাইমস অব ইসরায়েল ইসরায়েলি বাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অন্তত ১৫০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান।
ইসরায়েলি বাহিনী ৩০ সেপ্টেম্বর লেবাননে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করার পর তেলআবিবকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান। এর আগে ইসরায়েলে ইরানের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠক শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে আত্মরক্ষা এবং এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে রক্ষা করতে ইসরায়েলকে সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত রয়েছে।’ এ নিয়ে তাদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। হামলার পর হোয়াইট হাউস থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ইরানের হামলা প্রতিহতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে হামলার জন্য ইরানকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় নিন্দা জানিয়ে আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। এক্সের একটি পোস্টে বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই থামাতে হবে।’
হামলা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত বা প্রাণহানির বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি। ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ ইসরায়েলি উদ্ধারকারী পরিষেবার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেলআবিবে দুই ব্যক্তি সামান্য আহত হয়েছেন। তবে তারা আশ্রয়ের পথে যাওয়ার সময় আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঠিক আগে তেলআবিবের জাফা জেলায় একটি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলেছে, এই সংখ্যা ৮।
জর্ডানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সাময়িকভাবে তাদের দেশের বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। ইসরায়েলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে, বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ করা হয়েছে।
প্রায় এক বছর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার বোমা হামলায় গাজায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন ধরেই লেবাননের রাজধানী বৈরুতসহ বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা করছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, ৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। স্থল ও নৌ অভিযানের কথাও শোনা যাচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে ১ অক্টোবর ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করেছে। তবে লেবাননের তরফ থেকে স্থল অভিযানের বিষয়টি নাকচ করা হয়েছে। অন্যদিকে ইরানের হামলা করার আগেই যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, ইসরায়েলে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিয়েছে ইরান। কিন্তু সেই সময় ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তেহরানের দিক থেকে তারা এ ধরনের কোনো সংকেত পায়নি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ওই সতর্কবার্তার কয়েক ঘণ্টা পরই ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরান।
বৈরুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। ওই ঘটনা থেকে পরিস্থিতি সার্বিক যুদ্ধের দিকে মোড় নেয়।
অন্যদিকে একই দিন লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের জেরে পর্যবেক্ষকেরা আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল, অচিরেই এই সংঘাতে ইরান জড়িয়ে পড়বেÑএবার সেটিই দেখল বিশ্ব। এর মাধ্যমে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও আল-জাজিরা।
হামলা চালানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছে ইরান। ইরানের ফারস বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বলেছে, ইসরায়েলে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহ-প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং এ বছরের শুরুতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে। লেবাননে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর এর বদলা নেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল তেহরান। হামলার পর আইআরজিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসমাইল হানিয়াহ, হাসান নাসরুল্লাহ এবং আইআরজিসি কমান্ডার আব্বাস শহীদ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আমরা অধিকৃত অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলকে লক্ষ্যবস্তু (হামলা) করেছি।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, আইআরজিসি নেটজারিম করিডোরে অবস্থিত ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক লক্ষ্য করে কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। নেটজারিম করিডোর একটি ছিটমহল। ইসরায়েলি আক্রমণের প্রথম দিকে উত্তর গাজাকে দক্ষিণ থেকে বিভক্ত করার জন্য নেটজারিম করিডোর স্থাপন করা হয়েছিল। আইআরজিসি বলেছে, তাদের প্রচেষ্টা ‘সফল’ হয়েছে।
আইআরজিসি নিশ্চিত করেছে, তারা ইসরায়েল অভিমুখে ‘অসংখ্য’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইরানের রক্ষীবাহিনী হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, ইসরায়েল এ হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা আবারও হামলা চালাবে।
অন্যদিকে ইসরায়েল বলেছে, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলের আয়রন ডোম অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেম ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধা দিচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি তাৎক্ষণিক এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ‘ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের আক্রমণ প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, ‘দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা অনেক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ফেলে দিয়েছে। তবে মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি আঘাত রেকর্ড করা হয়েছে।’ টাইমস অব ইসরায়েল ইসরায়েলি বাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অন্তত ১৫০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান।
ইসরায়েলি বাহিনী ৩০ সেপ্টেম্বর লেবাননে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করার পর তেলআবিবকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান। এর আগে ইসরায়েলে ইরানের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠক শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে আত্মরক্ষা এবং এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে রক্ষা করতে ইসরায়েলকে সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত রয়েছে।’ এ নিয়ে তাদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। হামলার পর হোয়াইট হাউস থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ইরানের হামলা প্রতিহতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে হামলার জন্য ইরানকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় নিন্দা জানিয়ে আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। এক্সের একটি পোস্টে বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই থামাতে হবে।’
হামলা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত বা প্রাণহানির বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি। ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ ইসরায়েলি উদ্ধারকারী পরিষেবার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেলআবিবে দুই ব্যক্তি সামান্য আহত হয়েছেন। তবে তারা আশ্রয়ের পথে যাওয়ার সময় আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঠিক আগে তেলআবিবের জাফা জেলায় একটি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলেছে, এই সংখ্যা ৮।
জর্ডানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সাময়িকভাবে তাদের দেশের বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। ইসরায়েলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে, বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ করা হয়েছে।
প্রায় এক বছর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার বোমা হামলায় গাজায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন ধরেই লেবাননের রাজধানী বৈরুতসহ বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা করছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, ৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। স্থল ও নৌ অভিযানের কথাও শোনা যাচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে ১ অক্টোবর ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করেছে। তবে লেবাননের তরফ থেকে স্থল অভিযানের বিষয়টি নাকচ করা হয়েছে। অন্যদিকে ইরানের হামলা করার আগেই যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, ইসরায়েলে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিয়েছে ইরান। কিন্তু সেই সময় ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তেহরানের দিক থেকে তারা এ ধরনের কোনো সংকেত পায়নি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ওই সতর্কবার্তার কয়েক ঘণ্টা পরই ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরান।
বৈরুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। ওই ঘটনা থেকে পরিস্থিতি সার্বিক যুদ্ধের দিকে মোড় নেয়।