ব্যবধান খুব বেশি না হলেও নতুন জরিপে দেখা গেছে, প্রধান দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। গত ১৯ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্লুমবার্গ নিউজ এবং মর্নিং কনসালট্যান্ট যৌথভাবে এই জরিপ পরিচালনা করে।
এ বিষয়ে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিউজউইক জানিয়েছে, জরিপটিতে সাতটি দোদুল্যমান রাজ্যের ছয়টিতেই ট্রাম্পের চেয়ে ২ থেকে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন কমলা। শুধু জর্জিয়ায় ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি তিনি। তবে এই রাজ্যটিতে দুজনই ৪৯ শতাংশ সমর্থন নিয়ে সমানে সমান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যগুলোর মধ্যে কমলা সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন নেভাদায়। এখানে ট্রাম্পের প্রতি ৪৫ শতাংশ সমর্থনের বিপরীতে তিনি সমর্থন পেয়েছেন ৫২ শতাংশ। অর্থাৎ এই রাজ্যটিতে ট্রাম্পের তুলনায় ৭ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন কমলা।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বড় লিড পেয়েছেন পেনসিলভানিয়ায়ও। এই রাজ্যে ট্রাম্পের তুলনায় ৫ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন কমলা। রাজ্যটিতে ট্রাম্পের প্রতি ৪৬ শতাংশ সমর্থনের বিপরীতে কমলা সমর্থন পেয়েছেন ৫১ শতাংশ।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে জো বাইডেন নেভাদা ও পেনসিলভানিয়া দুই রাজ্যেই বিজয়ী হয়েছিলেন।
জরিপে কমলা হ্যারিস অন্তত ৩ পয়েন্ট করে এগিয়ে ছিলেন অ্যারিজোনা, মিশিগান ও উইসকনসিনে। আর ২ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন নর্থ ক্যারোলিনায়। ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনও অ্যারিজোনা, মিশিগান ও উইসকনসিনকে ডেমোক্র্যাটদের কাছে ফিরিয়ে এনেছিলেন। এর আগের নির্বাচন অর্থাৎ ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই তিনটি রাজ্যেই জয় পেয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে নর্থ ক্যারোলিনায় ২০১৬ সালের পর ২০২০ সালেও জয় পেয়েছিলেন ট্রাম্প।
জরিপের ফলাফল বলছে, প্রচারাভিযানে অর্থনীতিকে ফোকাস করার অ্যাজেন্ডা থেকে উপকৃত হচ্ছেন কমলা হ্যারিস। কমলার অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডায় আরও সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। যারা প্রথমবারের মতো বাড়ি কিনবেন, তাদের ডাউন পেমেন্ট সহায়তা প্রদান ছাড়াও ধনীদের কাছ থেকে আরও বেশি কর আদায়েরও প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
জরিপটি অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের ৫ হাজার ৬৯২ জন সম্ভাব্য ভোটারের মধ্যে পরিচালনা করা হয়েছে। জরিপে প্লাস বা মাইনাস ১ পয়েন্ট ত্রুটির সামগ্রিক মার্জিন ছিল।
জরিপের বিষয়ে ফোর্বসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমলা হ্যারিস অল্প বয়সী, অশ্বেতাঙ্গ এবং নারী ভোটারদের কাছ থেকে বেশি সমর্থন পাচ্ছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের একটি সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, হ্যারিসের প্রতি ৮৪ শতাংশ কালো ভোটারের সমর্থন দেখা গেছে। এই সমর্থন গত জুলাইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানো জো বাইডেনের তুলনায় বেশি ছিল।
গত ২১ জুলাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর জো বাইডেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলাকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছিলেন। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন কমলা। বাইডেন সরে দাঁড়ানোর আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গিয়েছিল, ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেন সাতটি দোদুল্যমান রাজ্যের ছয়টিতে জয়ী হলেও এবার বেশির ভাগ যুদ্ধক্ষেত্রেই ট্রাম্প তাকে পরাজিত করবেন।
ঠিকানা/এনআই
এ বিষয়ে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিউজউইক জানিয়েছে, জরিপটিতে সাতটি দোদুল্যমান রাজ্যের ছয়টিতেই ট্রাম্পের চেয়ে ২ থেকে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন কমলা। শুধু জর্জিয়ায় ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি তিনি। তবে এই রাজ্যটিতে দুজনই ৪৯ শতাংশ সমর্থন নিয়ে সমানে সমান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যগুলোর মধ্যে কমলা সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন নেভাদায়। এখানে ট্রাম্পের প্রতি ৪৫ শতাংশ সমর্থনের বিপরীতে তিনি সমর্থন পেয়েছেন ৫২ শতাংশ। অর্থাৎ এই রাজ্যটিতে ট্রাম্পের তুলনায় ৭ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন কমলা।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বড় লিড পেয়েছেন পেনসিলভানিয়ায়ও। এই রাজ্যে ট্রাম্পের তুলনায় ৫ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন কমলা। রাজ্যটিতে ট্রাম্পের প্রতি ৪৬ শতাংশ সমর্থনের বিপরীতে কমলা সমর্থন পেয়েছেন ৫১ শতাংশ।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে জো বাইডেন নেভাদা ও পেনসিলভানিয়া দুই রাজ্যেই বিজয়ী হয়েছিলেন।
জরিপে কমলা হ্যারিস অন্তত ৩ পয়েন্ট করে এগিয়ে ছিলেন অ্যারিজোনা, মিশিগান ও উইসকনসিনে। আর ২ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন নর্থ ক্যারোলিনায়। ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনও অ্যারিজোনা, মিশিগান ও উইসকনসিনকে ডেমোক্র্যাটদের কাছে ফিরিয়ে এনেছিলেন। এর আগের নির্বাচন অর্থাৎ ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই তিনটি রাজ্যেই জয় পেয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে নর্থ ক্যারোলিনায় ২০১৬ সালের পর ২০২০ সালেও জয় পেয়েছিলেন ট্রাম্প।
জরিপের ফলাফল বলছে, প্রচারাভিযানে অর্থনীতিকে ফোকাস করার অ্যাজেন্ডা থেকে উপকৃত হচ্ছেন কমলা হ্যারিস। কমলার অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডায় আরও সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। যারা প্রথমবারের মতো বাড়ি কিনবেন, তাদের ডাউন পেমেন্ট সহায়তা প্রদান ছাড়াও ধনীদের কাছ থেকে আরও বেশি কর আদায়েরও প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
জরিপটি অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের ৫ হাজার ৬৯২ জন সম্ভাব্য ভোটারের মধ্যে পরিচালনা করা হয়েছে। জরিপে প্লাস বা মাইনাস ১ পয়েন্ট ত্রুটির সামগ্রিক মার্জিন ছিল।
জরিপের বিষয়ে ফোর্বসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমলা হ্যারিস অল্প বয়সী, অশ্বেতাঙ্গ এবং নারী ভোটারদের কাছ থেকে বেশি সমর্থন পাচ্ছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের একটি সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, হ্যারিসের প্রতি ৮৪ শতাংশ কালো ভোটারের সমর্থন দেখা গেছে। এই সমর্থন গত জুলাইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানো জো বাইডেনের তুলনায় বেশি ছিল।
গত ২১ জুলাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর জো বাইডেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলাকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছিলেন। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন কমলা। বাইডেন সরে দাঁড়ানোর আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গিয়েছিল, ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেন সাতটি দোদুল্যমান রাজ্যের ছয়টিতে জয়ী হলেও এবার বেশির ভাগ যুদ্ধক্ষেত্রেই ট্রাম্প তাকে পরাজিত করবেন।
ঠিকানা/এনআই