বিশ্বের রাজধানী নিউইয়র্ক। সেই রাজধানীর বুকে জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ এভিনিউ ৭৩ স্ট্রিটের নামকরণ বাংলাদেশ স্ট্রিট করা হয়েছিল গতমাসে। ২৬ মার্চ (রবিবার) স্থানীয় সময় দুপুরে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে রাস্তায় লাগানো হলো বাংলাদেশ স্ট্রিটের নামফলক। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন থেকে ৭৩ স্ট্রিটের ৩৭ এভিনিউ এই রাস্তাটি বাংলাদেশ স্ট্রিট নামে পরিচিত হবে। এটি বাংলাদেশী কমিউনিটির একটি বিরাট অর্জন। এই অর্জনে বাংলাদেশ কমিউনিটির সবাই ভীষণ খুশী।
শেখর কৃষ্ণান বাংলাদেশ স্ট্রিট নামকরণ করার বিষয়টি বাংলাদেশীদের সাফল্য হিসাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এই স্ট্রিটের নামকরণ বাংলাদেশ স্ট্রিট করতে পেরে আমরা ভীষন খুশী। বাংলাদেশী কমিউনিটির এখানে বিশেষ অবদান রয়েছে। এই অবদান তারা ধারাবাহিকভাবে রেখে চলেছেন। ৭৩ স্ট্রিট হচ্ছে বাংলাদেশীদের হার্ট। এখানে অনেক বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশীরা আসেন। তাদের কমিউনিটিতে অনেক অবদান রয়েছে। তাদের জন্য এটি করতে পেরে আমি আনন্দিত। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ক্র্যাটলিনা ক্রুস, গ্রেস ম্যাং, নিউইয়র্ক স্টেটের অ্যাসেম্লীওমেন জেসিকা গঞ্জালেস, সিটি কাউন্সিলম্যান স্টিভেন রাগা, মাইকেল জিয়ানারিস নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটের সিনেটর প্রমুখ। তারা সবাই বাংলাদেশীদের সাফল্য বর্নণা করেন এবং তাদের অবদান বিশেষভাবে স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশীরা কমিউনিটি বিণির্মানে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। আজকে বাংলাদেশ স্ট্রিট এর উদ্বোধন করতে পেরে আমরা ভীষন আনন্দিত।
২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে দুপুরে ৭৩ স্ট্রিটের ৩৭ এভিনিউতে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্ট্রিটের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের সিটি কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান। তার সাথে এই স্ট্রিটের নামকরনের ফলক উন্মোচন করেন নিউইয়র্কের নির্বাচিত প্রতিনিধি ক্যাটিলিনা ক্রুজ, গ্রেস ম্যাং, জেসিকা গঞ্জালেস, লিন্ড লে, স্টেট সিনেটের মাইকেল জিয়ানরিসসহ নিউইয়র্কের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সিটি কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান ও তার অফিসের উদ্যোগে নেইমফলক এর উদ্বোধনী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সাথে ছিল জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশেন-জেবিবিএ। সেখানে দুই পর্বে অনুষ্ঠান হয়। প্রথম পর্ব শুরু হয় বেলা দু’টা থেকে। চলে বেলা তিনটা পর্যন্ত। বেলা তিনটা থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম পর্ব ছিল সিটি কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান ও তার অফিসের। দ্বিতীয় পর্ব ছিল জেবিবিএ-এর।
সবাই মিলে যখন বাংলাদেশ স্ট্রিট এর নেইম ফলক-এর সাইনবোর্ডের কভার উন্মোচন করেন তখন সেখানে বাংলাদেশের পতাকা হাতে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশেী কমিউনিটির বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, গতমাসে জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ এভিনিউ ৭৩ স্ট্রিটের নাম বাংলাদেশ স্ট্রিট নামকরণ করে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে একটি বিল পাস করা হয়। শেখর কৃষ্ণানের মাধ্যমে এটি পাস হয়। এই বিলটি পাস করার পর বাংলাদেশের নামে এই রাস্তাটির নামকরণ করা হয়। তখন এটি করার পর এখন এর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সাইনবোর্ড লাগানো ও এর উদ্বোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক রুপ দিতে পেরে উচ্ছসিত শেখর কৃষ্ণান এবং ফাহাদ সোলায়মান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেবিবিএ এর সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, কামরুজ্জামান কামরুল, গিয়াস আহমেদ, আবু জাফর মাহমুদ, রুহুল আমিন সিদ্দিকী, মোহাম্মদ আলী, মোর্শেদ আলম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, শাহানা রহমান, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, মাওলানা কাজী কায়্যূম, মাসুদ রানা তপন, তারেক হাসান খান, মোহাম্মদ নমি, মনিকা চৌধুরী, নাঈমা খান, ইভান খানসহ জেবিবিএ-এর দুই গ্রুপের নেতৃবৃন্দ।শেখর কৃষ্ণান বাংলাদেশ স্ট্রিট নামকরণ করার বিষয়টি বাংলাদেশীদের সাফল্য হিসাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এই স্ট্রিটের নামকরণ বাংলাদেশ স্ট্রিট করতে পেরে আমরা ভীষন খুশী। বাংলাদেশী কমিউনিটির এখানে বিশেষ অবদান রয়েছে। এই অবদান তারা ধারাবাহিকভাবে রেখে চলেছেন। ৭৩ স্ট্রিট হচ্ছে বাংলাদেশীদের হার্ট। এখানে অনেক বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশীরা আসেন। তাদের কমিউনিটিতে অনেক অবদান রয়েছে। তাদের জন্য এটি করতে পেরে আমি আনন্দিত। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ক্র্যাটলিনা ক্রুস, গ্রেস ম্যাং, নিউইয়র্ক স্টেটের অ্যাসেম্লীওমেন জেসিকা গঞ্জালেস, সিটি কাউন্সিলম্যান স্টিভেন রাগা, মাইকেল জিয়ানারিস নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটের সিনেটর প্রমুখ। তারা সবাই বাংলাদেশীদের সাফল্য বর্নণা করেন এবং তাদের অবদান বিশেষভাবে স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশীরা কমিউনিটি বিণির্মানে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। আজকে বাংলাদেশ স্ট্রিট এর উদ্বোধন করতে পেরে আমরা ভীষন আনন্দিত।