অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের একটি হোটেলে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সংকট, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, শ্রম সমস্যা এবং পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের বিষয়েও সেখানে আলোচনা হয়।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কর্মসূচির সহায়তায় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেন অজয়।
অন্যদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস আয়োজিত ‘ক্লাইমেট-ফরোয়ার্ড’ নামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করা ও নির্বাচন আয়োজনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল আগস্টে ছাত্র বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ একটি বড় অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদন মতে, নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে এর কোনো সময়সীমা তার কাছে নেই। যেসব কমিশন গঠন করা হয়েছে, তারা আগামী মাসে তাদের সংস্কার সুপারিশ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার পরই বাংলাদেশ নির্বাচনের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবে।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন ড. ইউনূস। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করা হয়।
এতে বলা হয়, দুই নেতার আলোচনায় বিভিন্ন পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।
অধিবেশনের ফাঁকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সংক্ষিপ্ত বৈঠকে বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ক জোরদার, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠকে সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করেন জাস্টিন ট্রুডো। জানান, বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পাশে থাকবে কানাডা।
এ সময় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিগত সরকার নানাভাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। বৈঠকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডায় আরও বেশি ভিসা দেওয়ার অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বাংলাদেশ সরকারকে ‘পূর্ণ সমর্থনের’ কথা জানিয়েছেন বাইডেন।
বৈঠকে ড. ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান। অধ্যাপক ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে।
এ সময় যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
ঠিকানা/এনআই
বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সংকট, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, শ্রম সমস্যা এবং পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের বিষয়েও সেখানে আলোচনা হয়।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কর্মসূচির সহায়তায় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেন অজয়।
অন্যদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস আয়োজিত ‘ক্লাইমেট-ফরোয়ার্ড’ নামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করা ও নির্বাচন আয়োজনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল আগস্টে ছাত্র বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ একটি বড় অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদন মতে, নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে এর কোনো সময়সীমা তার কাছে নেই। যেসব কমিশন গঠন করা হয়েছে, তারা আগামী মাসে তাদের সংস্কার সুপারিশ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার পরই বাংলাদেশ নির্বাচনের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবে।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন ড. ইউনূস। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করা হয়।
এতে বলা হয়, দুই নেতার আলোচনায় বিভিন্ন পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।
অধিবেশনের ফাঁকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সংক্ষিপ্ত বৈঠকে বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ক জোরদার, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠকে সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করেন জাস্টিন ট্রুডো। জানান, বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পাশে থাকবে কানাডা।
এ সময় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিগত সরকার নানাভাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। বৈঠকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডায় আরও বেশি ভিসা দেওয়ার অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বাংলাদেশ সরকারকে ‘পূর্ণ সমর্থনের’ কথা জানিয়েছেন বাইডেন।
বৈঠকে ড. ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান। অধ্যাপক ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে।
এ সময় যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
ঠিকানা/এনআই