নির্বাচনের প্রথা অনুযায়ী প্রথমবার নির্বাচনে জয়ী ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টই নিজ পার্টির পক্ষ থেকে দ্বিতীয় বারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেন। এ ছাড়া সেটাই হওয়ার কথা ছিল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেভাবেই অগ্রসর হচ্ছিলেন। ৮১ বছর বয়সী বাইডেন গত ২৭ জুন রাতে আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নিয়ে যাচ্ছেতাইভাবে ধরাশায়ী হন। এ সময় তার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে দলীয় চাপে ২১ জুলাই তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রতি নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেন। গত ২২ জুলাই শিকাগো রাজ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চার দিনের জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিনে কমলা আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন গ্রহণ করেন।
১০ সেপ্টেম্বর কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেন। হাসিমুখে করমর্দনের মধ্য দিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সূচনা করেন কমলা হ্যারিস। এ বিশ্বে মজবুত সম্পর্ক আমেরিকা ও ইসরায়েলের মধ্যে। বিতর্কের একপর্যায়ে ইসরায়েল প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘কমলা জিতলে দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েল ধ্বংস হয়ে যাবে। ইসরায়েল সম্পর্কে কমলার মন্তব্য, ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে, তবে সভ্যভাবে তা করছে কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’ এ ছাড়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়। কমলাকে কট্টর ইসরায়েল-বিরোধী প্রমাণ করতে ট্রাম্প প্রাণান্তকর চেষ্টা চালান। ট্রাম্পের মিথ্যাচার সত্ত্বেও কমলা ৬৩-৩৭ ব্যবধানে জয়ী হন।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ভরপুর কমলা-ট্রাম্পের বিতর্ক যারা প্রত্যক্ষ করেছেন, তারা খুব উপভোগ করেছেন। ট্রাম্প তার পূর্ব স্বভাব থেকে একটুও বের হয়ে আসতে পারেননি। বিভিন্ন প্রশ্নে কমলার আক্রমণের মুখে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনের কৌশল নিয়েই অগ্রসর হচ্ছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত নয়টা। বিতর্কের সময়কাল ছিল ৯০ মিনিট। যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এই বিতর্কের আয়োজন করে। বিতর্ক সঞ্চালনা করেন ডেভিড মুইর ও লিনসে ডেভিস। মধ্যরাতে সিএনএনের তাৎক্ষণিক জরিপে কমলা হ্যারিসকে ৬৩ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখা যায় মাত্র ৩৭ শতাংশ ভোট পেতে। অবশ্য ট্রাম্পও কমলার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ করা থেকে পিছিয়ে নেই।
আগামী ২৩ অক্টোবর সিএনএনের আয়োজনে আবার বিতর্ক হওয়ার কথা। কমলা হ্যারিস ওই বিতর্কের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেও ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলিনার উইলমিংটনে এক সমাবেশে তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই বিতর্কটি হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে ‘ভবিষ্যতে আর কোনো বিতর্কে অংশ নেবেন না’- ট্রাম্পের এই ঘোষণা থেকে অনুমান করা যায়, তিনি মিথ্যাচার করেও কমলার কাছে প্রথম বিতর্কে পরাজিত হয়ে তার মনে এই ভীতি জন্মেছে যে, পরবর্তী বিতর্কগুলোতেও পরাজিত হওয়ার শঙ্কাই অধিক। মূল নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে, সব কাটিয়ে ওঠা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। পরস্পরকে আক্রমণের মধ্য দিয়ে কমলা ও ট্রাম্প অর্থনীতি, অভিবাসন, গর্ভপাতসহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে বিতর্ক করেন।
এ বছরের ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সমগ্র বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বিশ্বশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, নির্বাচনী মাঠ তত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কেননা আমেরিকার নির্বাচন সমগ্র বিশ্বের জন্যই গুরুত্ব বহন করে। আজকের দুনিয়ায় চীন ও রাশিয়া সবদিক থেকে যতই শক্তিশালী হয়ে উঠুক না কেন, এখনো আমেরিকাকেই বিশ্বের অভিজ্ঞ মান্য করা হয়।
কমলা হ্যারিসের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টা কেউই কখনো ভাবেননি। আমেরিকার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। আমেরিকা তখন থেকেই বিশ্ব পরিমণ্ডলে একক শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়। সে কারণেই আমেরিকাকে বলা হয় বিশ্বের অভিভাবক। বিশ্বও তাই আমেরিকার যেকোনো বিষয়ে উৎসুক থাকে। আমেরিকার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ সত্ত্বেও আমেরিকাকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ ও উৎসাহের সীমা নেই। রিপাবলিকান-ডেমোক্র্যাট নিয়ে চিন্তা-ভাবনার ব্যবধান থাকলেও বিশ্ব চায় এমন একজন অভিভাবক, যিনি হবেন বিশ্ববান্ধব। যুদ্ধের চেয়ে সভ্যতা ও মানবকল্যাণ হবে তার প্রধান লক্ষ্য। মানুষ মারা নয়, মানুষকে বাঁচানোই হবে তার লক্ষ্য। শান্তি, মানবতার পক্ষে হবে তার অবস্থান।
এদিক থেকে এখন পর্যন্ত আমেরিকার জনগণ ও বিশ্ববাসীর পছন্দে এগিয়ে আছেন কমলা হ্যারিস। ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর মানুষ দেখেছে ট্রাম্পকে একজন খুনি, একজন ধ্বংসকারীরূপে। কমলার কাছ থেকে মানুষ সে রকম আচরণ আশা করে না। কমলা হ্যারিসের প্রতি ইতিমধ্যে আজীবন রিপাবলিকান জর্জ ডব্লিউ বুশের সময়কালে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকারী ডিক চেনি দলের প্রার্থী ট্রাম্পকে ভোট না দিয়ে কমলা হ্যারিসকে ভোট দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়া সাবেক ১০ সামরিক কর্মকর্তাও কমলার প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন।
১০ সেপ্টেম্বর কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেন। হাসিমুখে করমর্দনের মধ্য দিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সূচনা করেন কমলা হ্যারিস। এ বিশ্বে মজবুত সম্পর্ক আমেরিকা ও ইসরায়েলের মধ্যে। বিতর্কের একপর্যায়ে ইসরায়েল প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘কমলা জিতলে দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েল ধ্বংস হয়ে যাবে। ইসরায়েল সম্পর্কে কমলার মন্তব্য, ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে, তবে সভ্যভাবে তা করছে কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’ এ ছাড়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়। কমলাকে কট্টর ইসরায়েল-বিরোধী প্রমাণ করতে ট্রাম্প প্রাণান্তকর চেষ্টা চালান। ট্রাম্পের মিথ্যাচার সত্ত্বেও কমলা ৬৩-৩৭ ব্যবধানে জয়ী হন।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ভরপুর কমলা-ট্রাম্পের বিতর্ক যারা প্রত্যক্ষ করেছেন, তারা খুব উপভোগ করেছেন। ট্রাম্প তার পূর্ব স্বভাব থেকে একটুও বের হয়ে আসতে পারেননি। বিভিন্ন প্রশ্নে কমলার আক্রমণের মুখে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনের কৌশল নিয়েই অগ্রসর হচ্ছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত নয়টা। বিতর্কের সময়কাল ছিল ৯০ মিনিট। যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এই বিতর্কের আয়োজন করে। বিতর্ক সঞ্চালনা করেন ডেভিড মুইর ও লিনসে ডেভিস। মধ্যরাতে সিএনএনের তাৎক্ষণিক জরিপে কমলা হ্যারিসকে ৬৩ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখা যায় মাত্র ৩৭ শতাংশ ভোট পেতে। অবশ্য ট্রাম্পও কমলার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ করা থেকে পিছিয়ে নেই।
আগামী ২৩ অক্টোবর সিএনএনের আয়োজনে আবার বিতর্ক হওয়ার কথা। কমলা হ্যারিস ওই বিতর্কের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেও ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলিনার উইলমিংটনে এক সমাবেশে তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই বিতর্কটি হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে ‘ভবিষ্যতে আর কোনো বিতর্কে অংশ নেবেন না’- ট্রাম্পের এই ঘোষণা থেকে অনুমান করা যায়, তিনি মিথ্যাচার করেও কমলার কাছে প্রথম বিতর্কে পরাজিত হয়ে তার মনে এই ভীতি জন্মেছে যে, পরবর্তী বিতর্কগুলোতেও পরাজিত হওয়ার শঙ্কাই অধিক। মূল নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে, সব কাটিয়ে ওঠা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। পরস্পরকে আক্রমণের মধ্য দিয়ে কমলা ও ট্রাম্প অর্থনীতি, অভিবাসন, গর্ভপাতসহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে বিতর্ক করেন।
এ বছরের ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সমগ্র বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বিশ্বশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, নির্বাচনী মাঠ তত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কেননা আমেরিকার নির্বাচন সমগ্র বিশ্বের জন্যই গুরুত্ব বহন করে। আজকের দুনিয়ায় চীন ও রাশিয়া সবদিক থেকে যতই শক্তিশালী হয়ে উঠুক না কেন, এখনো আমেরিকাকেই বিশ্বের অভিজ্ঞ মান্য করা হয়।
কমলা হ্যারিসের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টা কেউই কখনো ভাবেননি। আমেরিকার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। আমেরিকা তখন থেকেই বিশ্ব পরিমণ্ডলে একক শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়। সে কারণেই আমেরিকাকে বলা হয় বিশ্বের অভিভাবক। বিশ্বও তাই আমেরিকার যেকোনো বিষয়ে উৎসুক থাকে। আমেরিকার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ সত্ত্বেও আমেরিকাকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ ও উৎসাহের সীমা নেই। রিপাবলিকান-ডেমোক্র্যাট নিয়ে চিন্তা-ভাবনার ব্যবধান থাকলেও বিশ্ব চায় এমন একজন অভিভাবক, যিনি হবেন বিশ্ববান্ধব। যুদ্ধের চেয়ে সভ্যতা ও মানবকল্যাণ হবে তার প্রধান লক্ষ্য। মানুষ মারা নয়, মানুষকে বাঁচানোই হবে তার লক্ষ্য। শান্তি, মানবতার পক্ষে হবে তার অবস্থান।
এদিক থেকে এখন পর্যন্ত আমেরিকার জনগণ ও বিশ্ববাসীর পছন্দে এগিয়ে আছেন কমলা হ্যারিস। ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর মানুষ দেখেছে ট্রাম্পকে একজন খুনি, একজন ধ্বংসকারীরূপে। কমলার কাছ থেকে মানুষ সে রকম আচরণ আশা করে না। কমলা হ্যারিসের প্রতি ইতিমধ্যে আজীবন রিপাবলিকান জর্জ ডব্লিউ বুশের সময়কালে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকারী ডিক চেনি দলের প্রার্থী ট্রাম্পকে ভোট না দিয়ে কমলা হ্যারিসকে ভোট দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়া সাবেক ১০ সামরিক কর্মকর্তাও কমলার প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন।