ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভারসাম্যমূলক হলে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যাথা থাকতো না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিটি বিষয়ে ভারতের প্রতি নতজানুমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো। সেই সরকারের সময় ইলিশ রপ্তানি নিয়ে নিজের সমালোচনার ব্যাখ্যা এভাবেই দিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা) ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি আলোচনায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন অন্তর্বতী সরকারের সরকারের আইন, প্রবাসী কল্যাণ ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খালেদ মুহিউদ্দীন।
ভারতে এবার ইলিশ রপ্তানি করা হবে না, অন্তর্র্বতী সরকার গঠিত হওয়ার পর এমন কঠোর অবস্থানের কথা বলছিলেন সরকারের উপদেষ্টারা। কিন্তু বাস্তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো উল্টো। এবার তিন হাজার টন ইলিশ যাচ্ছে ভারতে। আওয়ামী লীগের সময় এক মৌসুমে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির কঠোর সমালোচনা করেছিলেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এ নিয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন খালেদ মুহিউদ্দীন। এ প্রসঙ্গে এসে আওয়ামী লীগের ভারত-নীতির কঠোর সমালোচনা করলেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে মানুষ মারা গেলে লাশ নিয়ে আসতে পারাই ছিল সরকারের সাফল্য। তখনকার শেখ হাসিনার সরকার মানুষের মৃত্যু সমর্থন করতো। তারা বলতো, আমাদের লোকেরা সীমান্তে অপরাধ করতে যায় বলে মারা যায়। পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে ভারত বঞ্চিত করলেও সরকার কোনো প্রতিবাদ করতো না।’ কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সীমান্ত হত্যাসহ অনেক বিষয়েই কড়া জবাব দিচ্ছে- দাবি করেন ড. আসিফ নজরুল। প্রতিবেশি দেশটির সঙ্গে ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক গড়তে চায় অন্তর্র্বতী সরকার, জানিয়ে তিনি আরো যোগ করেন, বিদ্যুৎ আমদানি, সীমান্ত হত্যার মতো বিষয় থাকতে, ভারতে ইলিশ রপ্তানি অপেক্ষাকৃত লঘু বিষয়।
‘আমরা পত্রপত্রিকায় পড়ি ২৬ লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে চাকরি করে।’ আওয়ামী লীগ আমলে করা আসিফ নজরুলের এমন একটি বক্তব্যও সম্প্রতি আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে। তিনি সরকারে এসে কেন ২৬ লাখ ভারতীয়কে চিহ্নিত করে দেশ থেকে বিতাড়িত করছেন না? এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। এ বিষয়ে জানতে চান খালেদ মুহিউদ্দীনও। জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, ‘বছরে আট বিলিয়ন ডলার ভারতে পাঠানো হয়। তার মানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় এখানে আছে। তবে ২৬ লাখের কমও হতে পারে, বেশিও হতে পারে- প্রকৃত চিত্র আমরা জানি না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফসল বর্তমান সরকার। এই ছাত্ররা যদি রাজনৈতিক দল গঠন করে, তবে তাতে সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল যোগদান করবেন কি না, সবশেষে এমন প্রশ্ন করেন খালেদ মুহিউদ্দীন। ‘রাজনীতি-না’- এমন জবাবে রাজনীতিবিদ হওয়ার প্রতি আগ্রহ না থাকার কথা জানিয়ে দেন আইন উপদেষ্টা।
ভারতে এবার ইলিশ রপ্তানি করা হবে না, অন্তর্র্বতী সরকার গঠিত হওয়ার পর এমন কঠোর অবস্থানের কথা বলছিলেন সরকারের উপদেষ্টারা। কিন্তু বাস্তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো উল্টো। এবার তিন হাজার টন ইলিশ যাচ্ছে ভারতে। আওয়ামী লীগের সময় এক মৌসুমে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির কঠোর সমালোচনা করেছিলেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এ নিয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন খালেদ মুহিউদ্দীন। এ প্রসঙ্গে এসে আওয়ামী লীগের ভারত-নীতির কঠোর সমালোচনা করলেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে মানুষ মারা গেলে লাশ নিয়ে আসতে পারাই ছিল সরকারের সাফল্য। তখনকার শেখ হাসিনার সরকার মানুষের মৃত্যু সমর্থন করতো। তারা বলতো, আমাদের লোকেরা সীমান্তে অপরাধ করতে যায় বলে মারা যায়। পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে ভারত বঞ্চিত করলেও সরকার কোনো প্রতিবাদ করতো না।’ কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সীমান্ত হত্যাসহ অনেক বিষয়েই কড়া জবাব দিচ্ছে- দাবি করেন ড. আসিফ নজরুল। প্রতিবেশি দেশটির সঙ্গে ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক গড়তে চায় অন্তর্র্বতী সরকার, জানিয়ে তিনি আরো যোগ করেন, বিদ্যুৎ আমদানি, সীমান্ত হত্যার মতো বিষয় থাকতে, ভারতে ইলিশ রপ্তানি অপেক্ষাকৃত লঘু বিষয়।
‘আমরা পত্রপত্রিকায় পড়ি ২৬ লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে চাকরি করে।’ আওয়ামী লীগ আমলে করা আসিফ নজরুলের এমন একটি বক্তব্যও সম্প্রতি আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে। তিনি সরকারে এসে কেন ২৬ লাখ ভারতীয়কে চিহ্নিত করে দেশ থেকে বিতাড়িত করছেন না? এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। এ বিষয়ে জানতে চান খালেদ মুহিউদ্দীনও। জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, ‘বছরে আট বিলিয়ন ডলার ভারতে পাঠানো হয়। তার মানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় এখানে আছে। তবে ২৬ লাখের কমও হতে পারে, বেশিও হতে পারে- প্রকৃত চিত্র আমরা জানি না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফসল বর্তমান সরকার। এই ছাত্ররা যদি রাজনৈতিক দল গঠন করে, তবে তাতে সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল যোগদান করবেন কি না, সবশেষে এমন প্রশ্ন করেন খালেদ মুহিউদ্দীন। ‘রাজনীতি-না’- এমন জবাবে রাজনীতিবিদ হওয়ার প্রতি আগ্রহ না থাকার কথা জানিয়ে দেন আইন উপদেষ্টা।