‘অবন্ধুসুলভ কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগ তুলে ৪৫ রুশ কূটনীতিক ও দূতাবাসকর্মীকে দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে মলদোভা।
মলদোভার এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে রাশিয়া বলেছে, তারা এর ‘জবাব দেবে’।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই মলদোভা সরকার মস্কোর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং মলদোভার বিরোধীদলকে উস্কানি দেওয়ার আভিযোগ করে আসছে।
বিবিসি জানায়, সম্প্রতি রাশিয়ার অনুসন্ধানী মিডিয়া সাইট ‘ইনসাইডার’ এ প্রকাশিত একটি খবর নিয়ে গত মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মলদোভার জার্নাল টিভি চ্যানেল থেকেও একই খবর প্রকাশ করা হয়।
ওই খবরে মলদোভায় রুশ দূতাবাসের ছাদে এবং পাশের একটি ভবনে রাশিয়ার নজরদারির যন্ত্রপাতি স্থাপনের কথা বলায়।
পরদিনই রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা আসে।
মলদোভার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘চলমান উত্তেজনা এবং অন্ধুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের কারণে ’এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং রাশিয়ানদের ১৫ অগাস্টের মধ্যে মলদোভা ছেড়ে চলে যেতে হবে।
মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকু পোপেস্কু বলেন, “বহু বছর ধরে আমরা রাশিয়ার শত্রুতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডের লক্ষ্যবস্তু হয়েছি। ওইসব কর্মকাণ্ডের অনেকগুলোই ঘটেছে দূতাবাসের মাধ্যমে।”
কূটনীতিক বহিস্কারের জবাবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, মলদোভার এমন ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে’।
মাত্র ২৬ লাখ জনসংখ্যার দেশ মলদোভা ইউরোপের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর একটি। প্রতিবেশী ইউক্রেইনে যুদ্ধের কারণে যারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মলদোভার বিদ্যুৎ অবকাঠামো সেই সাবেক সোভিয়েত আমলের। তাই ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিকে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
এর কারণ শুধু দেশটিতে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের উপর নানা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপই নয়। বরং ইউক্রেইনের পাওয়ার গ্রিডে রাশিয়ার হামলার কারণেও মলদোভায় বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে।
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেইনের হাজার হাজার শরণার্থী মলদোভায় আশ্রয় নিয়েছে। যা দেশটির সরকারি সেবা খাতের উপর দারুণ চাপ সৃষ্টি করেছে।
রাশিয়া মলদোভার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড ত্রান্সনিসত্রিয়ায় বিদ্রোহীদের নানা ভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। মলদোভায় যেটুকু বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় তার প্রায় পুরোটাই এই ত্রান্সনিসত্রিয়ায়।
রাশিয়ার গ্যাস দিয়ে বিদ্রোহীরা ত্রান্সনিসত্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা চড়া দামে মলদোভা সরকারের কাছে বিক্রি করে।
ঠিকানা/এসআর
মলদোভার এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে রাশিয়া বলেছে, তারা এর ‘জবাব দেবে’।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই মলদোভা সরকার মস্কোর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং মলদোভার বিরোধীদলকে উস্কানি দেওয়ার আভিযোগ করে আসছে।
বিবিসি জানায়, সম্প্রতি রাশিয়ার অনুসন্ধানী মিডিয়া সাইট ‘ইনসাইডার’ এ প্রকাশিত একটি খবর নিয়ে গত মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মলদোভার জার্নাল টিভি চ্যানেল থেকেও একই খবর প্রকাশ করা হয়।
ওই খবরে মলদোভায় রুশ দূতাবাসের ছাদে এবং পাশের একটি ভবনে রাশিয়ার নজরদারির যন্ত্রপাতি স্থাপনের কথা বলায়।
পরদিনই রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা আসে।
মলদোভার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘চলমান উত্তেজনা এবং অন্ধুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের কারণে ’এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং রাশিয়ানদের ১৫ অগাস্টের মধ্যে মলদোভা ছেড়ে চলে যেতে হবে।
মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকু পোপেস্কু বলেন, “বহু বছর ধরে আমরা রাশিয়ার শত্রুতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডের লক্ষ্যবস্তু হয়েছি। ওইসব কর্মকাণ্ডের অনেকগুলোই ঘটেছে দূতাবাসের মাধ্যমে।”
কূটনীতিক বহিস্কারের জবাবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, মলদোভার এমন ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে’।
মাত্র ২৬ লাখ জনসংখ্যার দেশ মলদোভা ইউরোপের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর একটি। প্রতিবেশী ইউক্রেইনে যুদ্ধের কারণে যারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মলদোভার বিদ্যুৎ অবকাঠামো সেই সাবেক সোভিয়েত আমলের। তাই ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিকে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
এর কারণ শুধু দেশটিতে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের উপর নানা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপই নয়। বরং ইউক্রেইনের পাওয়ার গ্রিডে রাশিয়ার হামলার কারণেও মলদোভায় বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে।
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেইনের হাজার হাজার শরণার্থী মলদোভায় আশ্রয় নিয়েছে। যা দেশটির সরকারি সেবা খাতের উপর দারুণ চাপ সৃষ্টি করেছে।
রাশিয়া মলদোভার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড ত্রান্সনিসত্রিয়ায় বিদ্রোহীদের নানা ভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। মলদোভায় যেটুকু বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় তার প্রায় পুরোটাই এই ত্রান্সনিসত্রিয়ায়।
রাশিয়ার গ্যাস দিয়ে বিদ্রোহীরা ত্রান্সনিসত্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা চড়া দামে মলদোভা সরকারের কাছে বিক্রি করে।
ঠিকানা/এসআর