বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বড়ই রহস্যে ঘেরা। সকালে এক রকম তো বিকেলেই আরেক রকম। আষাঢ়-শ্রাবণের আকাশের মতো। এই রোদ, এই বৃষ্টি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক সে রকমই। আষাঢ়-শ্রাবণে প্রকৃতি যেমন বাংলাদেশের সঙ্গে কানামাছি খেলার মতো আচরণ করে যায়, কখনো কখনো রহস্যভেদ করা অত্যন্ত কঠিন হয় জলতরঙ্গের মতো। প্রকৃতির এ রকম আচরণকালে সত্যি সত্যি দুই দেশের সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের মিত্রসুলভ সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাদের সেনাবাহিনীর অসামান্য ত্যাগ ও আমাদের বিজয় অর্জনের পেছনে অসামান্য অবদান এবং বিপুল জনগণকে আশ্রয় দিয়ে সেই যুদ্ধে প্রকৃত অর্থেই যে সহযোগিতা ও সহমর্মিতা দেখিয়েছে, তা সত্যিই অবিস্মরণীয়। অনেকেই বিশ্বাস করেন, ভারতের সহযোগিতা না পেলে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে হয়তো আরও বেশি সময় লেগে যেত। তবে ভারতের এই সহযোগিতার পেছনে অনেক স্বার্থও ছিল বলে অনেকের বিশ্বাস। পরবর্তী সময়ে ভারতের কর্মকাণ্ডে সেই বিশ্বাস সত্য বলেও মনে হয়েছে।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হয়েছে, তাদের একটি করদ রাজ্য বানাতেই বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে এত কিছু করা। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলার সব সরকারকেই ছলে-বলে-কৌশলে বাধ্য করে তাদের আবদার পূরণে। ভারত কখনো তাদের চাহিদা পূরণে কোনো গড়িমসি সহ্য করেনি। চাণক্য কৌশলে গণেশ উল্টে দিত। অনেক সময় সব লজ্জা, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের রীতিনীতি ভুলে গোলমেলেভাবে তারা বাংলাদেশের সরকার পতনে সহায়তা করে নিজেদের পছন্দমতো নতজানু সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে কোনো দলকে ক্ষমতাচ্যুত করে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে পাকিস্তানসহ ভারত দুই দেশ হওয়ার সময় থেকেই ভারতের এই বৈরিতা চলে আসছে। দুই দেশ আলাদা হওয়ার পর ভারত একের পর এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে বহু মুসলমানকে হত্যা করে রেলগাড়ি বোঝাই করে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত পাকিস্তানে পাঠিয়েছে। সেসব ছিল এক লোমহর্ষক দৃশ্য। আমরা সেসব দৃশ্য নিজেদের চোখে না দেখলেও পরে ইতিহাস পাঠ করে যেটুকু অনুভব করেছে মানুষ, সেই অনুভূতি ছিল হৃদয়বিদারক।
সবাই হোক সুস্থ, সচেতন এবং বোধসম্পন্ন মানুষ। বাংলাদেশের প্রতি ভারতের আচরণকে কখনো বৃহৎ এবং সৎ প্রতিবেশীসুলভ ব্যবহার বলে গ্রহণ করা যায়নি এবং সর্বশেষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও ভারত বাংলাদেশের প্রতি যে মনোভাব প্রকাশ করছে, তাকে কখনোই সৎ এবং ভ্রাতৃসুলভ প্রতিবেশীর আচরণ বলা যায় না। পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত শুধু রাজনৈতিক আশ্রয় দিলে এত কথা উঠত না। শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত নতুন করে শত্রুসুলভ আচরণে মেতে উঠেছে বলে নিরপেক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বিশ্বাস করছেন। যাকে কোনোভাবেই সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ বলে মনে করা যেতে পারে না। অনেকে এমনকি এমনটাও বিশ্বাস করেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের কুমন্ত্রণাতেই এবং সহযোগিতা ও সাহস নিয়েই এত বড় হত্যাযজ্ঞ ঘটাতে সাহস পেয়েছেন। যার কোনো রকম বিচারও এত দিন হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ আশা করছে, এবার হয়তো পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।
ছোট ছোট, দুর্বল দেশের প্রতি বৃহৎ শক্তির বন্ধুসুলভ আচরণ কাকে বলে সেটার অভিজ্ঞতা নিতে হলে তাকাতে হবে মেক্সিকো ও কানাডার প্রতি। তারা যদি ভারতের প্রতিবেশী হতো, তাহলে সিকিম, ভুটান, কাশ্মীর হয়ে যেত। কিন্তু বিশ্বের সর্ববৃহৎ শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী হয়েও মেক্সিকো ও কানাডা সব সময় একটা ভরসা ও সাহসের সঙ্গে বসবাস করছে। মেক্সিকো বা কানাডার প্রতি কিংবা ল্যাটিন আমেরিকার প্রতি আমেরিকা কখনো শক্তি প্রদর্শন করে কোনো কিছু দখল বা অন্যায়ভাবে কিছু নিজেদের বলে দাবি করার চেষ্টা করেনি। ছোট ছোট দেশের যারা বড় প্রতিবেশী হয়, তারা আরও উদার হয়ে এবং সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। সংবাদপত্রের খবরে জানা যায়, ভারত শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের মিশনে নেমেছে। ভারত এটা করতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে কতটা পুনর্বাসনে সক্ষম হবে? নিশ্চিত করে বলা না গেলেও তারা যে একই সঙ্গে আরও বন্ধু হারাতে চলেছেÑসেটা প্রত্যয়ের সঙ্গেই বলা যায়।
আমাদের প্রত্যাশা, সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কের মধ্য দিয়ে ভারত চলবে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিময় একটি বলয় গড়ে তুলে ভবিষ্যতে সবাই শান্তির সঙ্গে বসবাস করবে।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হয়েছে, তাদের একটি করদ রাজ্য বানাতেই বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে এত কিছু করা। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলার সব সরকারকেই ছলে-বলে-কৌশলে বাধ্য করে তাদের আবদার পূরণে। ভারত কখনো তাদের চাহিদা পূরণে কোনো গড়িমসি সহ্য করেনি। চাণক্য কৌশলে গণেশ উল্টে দিত। অনেক সময় সব লজ্জা, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের রীতিনীতি ভুলে গোলমেলেভাবে তারা বাংলাদেশের সরকার পতনে সহায়তা করে নিজেদের পছন্দমতো নতজানু সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে কোনো দলকে ক্ষমতাচ্যুত করে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে পাকিস্তানসহ ভারত দুই দেশ হওয়ার সময় থেকেই ভারতের এই বৈরিতা চলে আসছে। দুই দেশ আলাদা হওয়ার পর ভারত একের পর এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে বহু মুসলমানকে হত্যা করে রেলগাড়ি বোঝাই করে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত পাকিস্তানে পাঠিয়েছে। সেসব ছিল এক লোমহর্ষক দৃশ্য। আমরা সেসব দৃশ্য নিজেদের চোখে না দেখলেও পরে ইতিহাস পাঠ করে যেটুকু অনুভব করেছে মানুষ, সেই অনুভূতি ছিল হৃদয়বিদারক।
সবাই হোক সুস্থ, সচেতন এবং বোধসম্পন্ন মানুষ। বাংলাদেশের প্রতি ভারতের আচরণকে কখনো বৃহৎ এবং সৎ প্রতিবেশীসুলভ ব্যবহার বলে গ্রহণ করা যায়নি এবং সর্বশেষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও ভারত বাংলাদেশের প্রতি যে মনোভাব প্রকাশ করছে, তাকে কখনোই সৎ এবং ভ্রাতৃসুলভ প্রতিবেশীর আচরণ বলা যায় না। পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত শুধু রাজনৈতিক আশ্রয় দিলে এত কথা উঠত না। শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত নতুন করে শত্রুসুলভ আচরণে মেতে উঠেছে বলে নিরপেক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বিশ্বাস করছেন। যাকে কোনোভাবেই সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ বলে মনে করা যেতে পারে না। অনেকে এমনকি এমনটাও বিশ্বাস করেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের কুমন্ত্রণাতেই এবং সহযোগিতা ও সাহস নিয়েই এত বড় হত্যাযজ্ঞ ঘটাতে সাহস পেয়েছেন। যার কোনো রকম বিচারও এত দিন হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ আশা করছে, এবার হয়তো পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।
ছোট ছোট, দুর্বল দেশের প্রতি বৃহৎ শক্তির বন্ধুসুলভ আচরণ কাকে বলে সেটার অভিজ্ঞতা নিতে হলে তাকাতে হবে মেক্সিকো ও কানাডার প্রতি। তারা যদি ভারতের প্রতিবেশী হতো, তাহলে সিকিম, ভুটান, কাশ্মীর হয়ে যেত। কিন্তু বিশ্বের সর্ববৃহৎ শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী হয়েও মেক্সিকো ও কানাডা সব সময় একটা ভরসা ও সাহসের সঙ্গে বসবাস করছে। মেক্সিকো বা কানাডার প্রতি কিংবা ল্যাটিন আমেরিকার প্রতি আমেরিকা কখনো শক্তি প্রদর্শন করে কোনো কিছু দখল বা অন্যায়ভাবে কিছু নিজেদের বলে দাবি করার চেষ্টা করেনি। ছোট ছোট দেশের যারা বড় প্রতিবেশী হয়, তারা আরও উদার হয়ে এবং সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। সংবাদপত্রের খবরে জানা যায়, ভারত শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের মিশনে নেমেছে। ভারত এটা করতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে কতটা পুনর্বাসনে সক্ষম হবে? নিশ্চিত করে বলা না গেলেও তারা যে একই সঙ্গে আরও বন্ধু হারাতে চলেছেÑসেটা প্রত্যয়ের সঙ্গেই বলা যায়।
আমাদের প্রত্যাশা, সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কের মধ্য দিয়ে ভারত চলবে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিময় একটি বলয় গড়ে তুলে ভবিষ্যতে সবাই শান্তির সঙ্গে বসবাস করবে।