পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কারখানা

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:১৮ , অনলাইন ভার্সন
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চারটি কারখানা পরিচালনা ও ব্যস্থাপনার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির কয়েকটি পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কারখানা  ব্যক্তিমালিকানার কোম্পানি প্রতিষ্ঠানগুলো লিজ নেবে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি) ও বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) তাদের মালিকানাধীন পাটকল ও বস্ত্রকলগুলো পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিল-কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকার তার মালিকানায় নিয়ে আসতে বাধ্য হয়। সরকারও এগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়। ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থাভাব, অতিরিক্ত লোকবল, অস্বাভাবিক হারে পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি এর অন্যতম কারণ। প্রথমদিকে রীতিমতো লুটপাট চলে। লাভজনক পর্যায়ে নেওয়া তো দূরের কথা, শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি, বেতন-ভাতাদি প্রদানই সম্ভব হয়নি। নিরুপায় হয়ে একে একে বন্ধ করে দেওয়া হয়। শ্রমিক-কর্মচারীদের পরিচালনা-ব্যবস্থাপনার নামে মিলগুলোতে লুটতরাজ শুরু হয়। শেষ পর্যায়ে সরকার ব্যক্তি খাতে দীর্ঘ মেয়াদে লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বিভিন্ন সময়ে মিলের মধ্যে ৩০টি লিজ দেওয়া হয়। ব্যাংক থেকে ঋণের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। কিন্তু লিজগ্রহীতারা ফ্যাক্টরিগুলো পরিচালনা করতেই পারেননি। রাষ্ট্রায়ত্ত থেকে ব্যক্তি খাতে লিজ দেওয়ার আগে মিলগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বিদায় করা হয়। মজুরি, বেতন, বকেয়া পাওনা বিশাল অঙ্কের অর্থের বোঝা সরকারকে টানতে হয়। ব্যক্তিমালিকানায় দেওয়ার পর অভিজ্ঞ, দক্ষ শ্রমিকদের কাজে নিয়োগের শর্ত রাখা হয় সরকারের দিক থেকে। কিন্তু কোনো একজন ক্রেতাও এই শর্ত রাখেননি। অভিজ্ঞ, দক্ষ শ্রমিকদের সাময়িকভাবে স্বল্প মজুরিতে কাজে নেওয়া হয়। কিছুদিন পরই তাদের বাদ দেওয়া হয়। সামগ্রিকভাবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে শ্রমিক-কর্মচারীরা সরকারের জন্য বড় রকমের বোঝা হয়ে ওঠে।
মিল-ফ্যাক্টরিগুলোর মেশিনারি অনেক পুরোনো, ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে অনেক আগেই। নতুন আধুনিক মেশিন দিয়ে পুনঃস্থাপন জরুরি হলেও সরকার তা করতে পারেনি অর্থাভাবে। ব্যক্তি খাতে লিজ দেওয়ার পর তারাও সুবিধা করতে পারেননি। মিল-কারখানাগুলো নিয়ে নানা ব্যর্থ এক্সপেরিমেন্টের পর এগুলো সরকারের ঘাড়ে বোঝা হয়েই রয়েছে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার আর কোনো রকম এক্সপেরিমেন্ট না করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে হস্তান্তর করতে চাচ্ছে। তাদের প্রয়োজন, চাহিদা অনুযায়ী সব রকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। ঢাকাস্থ পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তার দেশের আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের আনার অনুরোধ করা হয়েছে। পাকিস্তানে বেসরকারি খাত যথেষ্ট দক্ষ, অভিজ্ঞ। বস্ত্র ও পাটশিল্পে বিনিয়োগে তারা আগ্রহী হবে মনে করেই মিলগুলো তাদের হাতে ছাড়তে চাচ্ছে। রীতিমতো দায়মুক্তির পথ খুঁজছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে পাট খাতে দুটি ও বস্ত্র খাতে দুটি ফ্যাক্টরি পাকিস্তানের শিল্পপতিদের কাছে দেওয়া হবে। তারা পরে আগ্রহী হলে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আরও কয়েকটি মিল তাদের কাছে দেওয়া হবে। ৯৯ বছর পরিচালনা, ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকবে প্রকৃতপক্ষে তাদের হাতেই। তবে সরকারের হাতে মালিকানার একটি অংশ থাকবে। শ্রমিকদের কাছে রাখার বিষয়ই প্রধান শর্ত।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078