পৃথিবীজুড়ে সংবাদ হওয়ার মতো ঘটনার ছড়াছড়ি। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ। আন্তর্জাতিক বিশ্বের যুদ্ধ থামাতে নানা কর্মকৌশলও ইসরায়েলি বাহিনীকে এই নির্মম নিষ্ঠুরতা থেকে বিরত রাখতে পারছে না। এমনকি যে আমেরিকাকে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক গডফাদার মনে করা হয়, তাদের আহ্বানেও ইসরায়েলি নেতা নেতানিয়াহু কর্ণপাত করছেন না, তার বাহিনীকেও ফিলিস্তিনি হত্যা বন্ধে নিরস্ত্র করতে পারছে না। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের গতিবেগ বেড়ে বিশ্ব মানবতাকে শঙ্কিত করে তুললেও যুদ্ধ বন্ধে যুদ্ধরত দেশগুলোর তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা লক্ষ করা যাচ্ছে না। সামনে আমেরিকার নির্বাচন। স্মরণকালের অন্যতম ব্যতিক্রমী নির্বাচনে এবার রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার সংবাদ কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশ্বের বেহাল দশার খবর গুরুত্ব দিয়ে পাঠকের সামনে তুলে ধরার থাকলেও সেটা সম্ভব হচ্ছে না বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকাশ করার জন্য। বাংলাদেশের চলমান ঘটনাপ্রবাহের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় যা-ই হোক না কেন।
বাংলাদেশের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে অনেকেই দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে গ্রহণ করে দেশের জাতীয় সংগীতসহ একাত্তরে অর্জিত অনেক কিছু পাল্টে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করা হচ্ছে। যদিও জাতীয় সংগীত পাল্টে দেওয়ার অভিমতের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে প্রবল প্রতিবাদের ঝড় বইছে। এ রকম প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত তা পাল্টে ফেলা খুবই মুশকিল হবে। তবে এ ধরনের পরিবর্তন হলে রাষ্ট্রের অনেক কিছুই নতুন করে প্রতিষ্ঠা করার পরিবর্তনের কথা ওঠে। সব যুগে সব দেশে যখন এ রকম পরিবর্তন ঘটে, তখন অনেকের মাথাতেই নানা পরিকল্পনা ঘুরপাক খায়। সবার সব পরিকল্পনাই কার্যকর হবে, এমন কথা দিব্যি কেউ বলতে পারবে না।
একটা প্রবাদের কথা আমরা সবাই জানি। সেটা হচ্ছে : ‘সাকসেস হ্যাজ মেনি ফাদারস, ফেইলর ইজ অ্যান অরফান।’ এই যেমন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের পেছনে মনে হচ্ছে অনেক রাজনৈতিক দলের, যাদের ওপর শেখ হাসিনার নিপীড়ন-নির্যাতনের অভিযোগ আছে, কৃতিত্ব দাবি করতে দেখা যাচ্ছে। সব দেখেশুনে মনে হতে পারে, আগামী দিনে বাংলাদেশ শাসনের এখতিয়ার কেবল তাদেরই। কোনো কোনো দলের সে রকম প্রস্তুতিও লক্ষ করা যাচ্ছে, তাদের কথাবার্তা শুনে। কিন্তু অন্তর্যামী কার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, আর কাকে যে শেষ পর্যন্ত করুণা করবেন, তা বুঝতে পারছেন কজন, কে জানে। সেই কবিতার মতোই : ‘রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি, উপরে বসিয়া হাসেন অন্তর্যামী।’
বাহ্যত, এখন খোলা চোখে বাংলাদেশকে আগামী দিনে কে শাসন করবেÑসেই প্রতিযোগিতায় দেখা যাচ্ছে, এত দিন সব ঝড়ঝাপ্টা সামলে কোনো রকম অস্তিত্ব রক্ষা করে গেছে জামায়াতে ইসলামী। গত ১৬ বছর অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে লিপ্ত ছিল প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র পরিষদের সমন্বয়কদের যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ইশারা পাওয়া যাচ্ছে, আগামী দিনে সেই নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব কিংবা সর্বশেষ বিকল্প সামরিক শাসন। এখনই তা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করা না গেলেও বাংলাদেশকে শাসন করতে আগামী দিনে যে নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্বের আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে, তা নিশ্চিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নিয়ে অচিরেই কেউ বাংলাদেশকে শাসন করার সুযোগ পাবে, সে আশা পোষণ করা দূরাকাক্সক্ষাই বলা যায়। ক্ষমতায় যেই আসুক, যেই আগামী দিনে বাংলাদেশকে শাসনের কর্তৃত্ব পাক, আমাদের প্রত্যাশা ও প্রার্থনাÑতারা যেন জনবান্ধব হন। দেশকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করেন। জনগণের দেশ, দেশের মালিক জনগণÑএই বাক্য আওড়ে যেন তারা জনগণের রক্ত শোষণ না করেন। দেশ জনগণেরÑএ কথা যতই বলা হোক, জনগণ কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবে না। তবে তাদের যেন নিজেদের মালিকানাধীন দেশেই জীবন দিতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করাটাই হোক আগামী দিনের শাসকদের আন্তরিক অঙ্গীকার। গত ৫৩ বছর যারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা কখনোই জনকল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করেননি। সব সময় দলকানা, নেতা ও নেত্রী কানা হতেই দেখা গেছে। সেই অভিজ্ঞতার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেটাই যেন সবার অঙ্গীকার হয়। বারবার দেশের মানুষকে যেন রক্ত ও জীবন দিতে না হয়।
বাংলাদেশের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে অনেকেই দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে গ্রহণ করে দেশের জাতীয় সংগীতসহ একাত্তরে অর্জিত অনেক কিছু পাল্টে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করা হচ্ছে। যদিও জাতীয় সংগীত পাল্টে দেওয়ার অভিমতের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে প্রবল প্রতিবাদের ঝড় বইছে। এ রকম প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত তা পাল্টে ফেলা খুবই মুশকিল হবে। তবে এ ধরনের পরিবর্তন হলে রাষ্ট্রের অনেক কিছুই নতুন করে প্রতিষ্ঠা করার পরিবর্তনের কথা ওঠে। সব যুগে সব দেশে যখন এ রকম পরিবর্তন ঘটে, তখন অনেকের মাথাতেই নানা পরিকল্পনা ঘুরপাক খায়। সবার সব পরিকল্পনাই কার্যকর হবে, এমন কথা দিব্যি কেউ বলতে পারবে না।
একটা প্রবাদের কথা আমরা সবাই জানি। সেটা হচ্ছে : ‘সাকসেস হ্যাজ মেনি ফাদারস, ফেইলর ইজ অ্যান অরফান।’ এই যেমন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের পেছনে মনে হচ্ছে অনেক রাজনৈতিক দলের, যাদের ওপর শেখ হাসিনার নিপীড়ন-নির্যাতনের অভিযোগ আছে, কৃতিত্ব দাবি করতে দেখা যাচ্ছে। সব দেখেশুনে মনে হতে পারে, আগামী দিনে বাংলাদেশ শাসনের এখতিয়ার কেবল তাদেরই। কোনো কোনো দলের সে রকম প্রস্তুতিও লক্ষ করা যাচ্ছে, তাদের কথাবার্তা শুনে। কিন্তু অন্তর্যামী কার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, আর কাকে যে শেষ পর্যন্ত করুণা করবেন, তা বুঝতে পারছেন কজন, কে জানে। সেই কবিতার মতোই : ‘রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি, উপরে বসিয়া হাসেন অন্তর্যামী।’
বাহ্যত, এখন খোলা চোখে বাংলাদেশকে আগামী দিনে কে শাসন করবেÑসেই প্রতিযোগিতায় দেখা যাচ্ছে, এত দিন সব ঝড়ঝাপ্টা সামলে কোনো রকম অস্তিত্ব রক্ষা করে গেছে জামায়াতে ইসলামী। গত ১৬ বছর অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে লিপ্ত ছিল প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র পরিষদের সমন্বয়কদের যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ইশারা পাওয়া যাচ্ছে, আগামী দিনে সেই নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব কিংবা সর্বশেষ বিকল্প সামরিক শাসন। এখনই তা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করা না গেলেও বাংলাদেশকে শাসন করতে আগামী দিনে যে নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্বের আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে, তা নিশ্চিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নিয়ে অচিরেই কেউ বাংলাদেশকে শাসন করার সুযোগ পাবে, সে আশা পোষণ করা দূরাকাক্সক্ষাই বলা যায়। ক্ষমতায় যেই আসুক, যেই আগামী দিনে বাংলাদেশকে শাসনের কর্তৃত্ব পাক, আমাদের প্রত্যাশা ও প্রার্থনাÑতারা যেন জনবান্ধব হন। দেশকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করেন। জনগণের দেশ, দেশের মালিক জনগণÑএই বাক্য আওড়ে যেন তারা জনগণের রক্ত শোষণ না করেন। দেশ জনগণেরÑএ কথা যতই বলা হোক, জনগণ কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবে না। তবে তাদের যেন নিজেদের মালিকানাধীন দেশেই জীবন দিতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করাটাই হোক আগামী দিনের শাসকদের আন্তরিক অঙ্গীকার। গত ৫৩ বছর যারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা কখনোই জনকল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করেননি। সব সময় দলকানা, নেতা ও নেত্রী কানা হতেই দেখা গেছে। সেই অভিজ্ঞতার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেটাই যেন সবার অঙ্গীকার হয়। বারবার দেশের মানুষকে যেন রক্ত ও জীবন দিতে না হয়।