
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরায় নির্মাণাধীন একটি স্কুল ভবনের ছাদ ধসে দুই বাংলাদেশি ও এক পাকিস্তানি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দুপুরের সময় নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও এক পাকিস্তানি এবং ২ আরব নাগরিক।
নিহত দুই বাংলাদেশি শ্রমিক হলেন- আবদুস সামাদ (৪৩)। তার দেশের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কুরবানপুর ইউনিয়নে এবং সে মোহাম্মদ রফিকের ছেলে। আরেক জন নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পূর্ব শোশালিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দাশঘড়িয়ার বেলাল হোসেনের ছেলে ফরিদ হোসেন ইমেল (৩১)।
সামাদ বিগত ১৫ বছর ধরে এবং ইমেল ৫ বছর ধরে আমিরাতে আছেন। তারা পেশায় ছিলেন ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ান। সামাদ ফুজাইরাহর আল জাইদি ওয়েল্ডিং ওয়ার্কসে এবং ইমেল আল জাহান ওয়েল্ডিং ওয়ার্কস কোম্পানিতে কাজ করতেন বলে হাছান মুরাদ জানান। জানা যায় এই দুইজনে পরিবারের একমাত্র আয়ের ভরসা ছিল।
আমিরাতের স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে- শারজাহর কালবা সিটিতে নির্মাণাধীন একটি সরকারি স্কুলের ছাদ ধসে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স ও ক্রাইম সিন টিম হতাহতদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ সময় পুলিশ ছাদ ধসের প্রকৃত কারণ তদন্ত করে দেখছে বলেও জানা যায়।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনাস্থলেই দুই বাংলাদেশির মৃত্যু ঘটে এবং এতে আহত অপর তিনজনকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে রাতে তাদের মধ্যে এক পাকিস্তানি মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ সমিতি ফুজিরার কার্যকরী কমিটির সদস্য মাহাবুবুল হক জানায়, নিহত সামাদ আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দেশে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকেট কেটে রেখেছিলেন কিন্তু এখন তার বদলে তার নিথর নিষ্প্রাণ দেহ যাবে দেশে। যেখানে তার এক কন্যা, এক পুত্র ও স্ত্রী রয়েছেন। অন্যদিকে ইমেলের ঘরে অসুস্থ শিশুপুত্র ও স্ত্রী আছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ বর্তমানে শারজাহর কালবা হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে।
ঠিকানা/এএস
নিহত দুই বাংলাদেশি শ্রমিক হলেন- আবদুস সামাদ (৪৩)। তার দেশের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কুরবানপুর ইউনিয়নে এবং সে মোহাম্মদ রফিকের ছেলে। আরেক জন নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পূর্ব শোশালিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দাশঘড়িয়ার বেলাল হোসেনের ছেলে ফরিদ হোসেন ইমেল (৩১)।
সামাদ বিগত ১৫ বছর ধরে এবং ইমেল ৫ বছর ধরে আমিরাতে আছেন। তারা পেশায় ছিলেন ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ান। সামাদ ফুজাইরাহর আল জাইদি ওয়েল্ডিং ওয়ার্কসে এবং ইমেল আল জাহান ওয়েল্ডিং ওয়ার্কস কোম্পানিতে কাজ করতেন বলে হাছান মুরাদ জানান। জানা যায় এই দুইজনে পরিবারের একমাত্র আয়ের ভরসা ছিল।
আমিরাতের স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে- শারজাহর কালবা সিটিতে নির্মাণাধীন একটি সরকারি স্কুলের ছাদ ধসে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স ও ক্রাইম সিন টিম হতাহতদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ সময় পুলিশ ছাদ ধসের প্রকৃত কারণ তদন্ত করে দেখছে বলেও জানা যায়।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনাস্থলেই দুই বাংলাদেশির মৃত্যু ঘটে এবং এতে আহত অপর তিনজনকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে রাতে তাদের মধ্যে এক পাকিস্তানি মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ সমিতি ফুজিরার কার্যকরী কমিটির সদস্য মাহাবুবুল হক জানায়, নিহত সামাদ আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দেশে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকেট কেটে রেখেছিলেন কিন্তু এখন তার বদলে তার নিথর নিষ্প্রাণ দেহ যাবে দেশে। যেখানে তার এক কন্যা, এক পুত্র ও স্ত্রী রয়েছেন। অন্যদিকে ইমেলের ঘরে অসুস্থ শিশুপুত্র ও স্ত্রী আছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ বর্তমানে শারজাহর কালবা হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে।
ঠিকানা/এএস