বাক স্বাধীনতার নামে ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রকাশের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে গত ১২ জুলাই একটি রেজ্যুলেশন পাস হয়েছে।
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে ইরাকের দূতাবাসের সামনে সোমবার ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পুড়িয়েছেন দুই বিক্ষোভকারী।
এ ঘটনা নিশ্চিতভাবেই দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। ইরাক এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর কর্তৃপক্ষকে তথাকথিত বাক স্বাধীনতা এবং বিক্ষোভের অধিকারের সুরক্ষার বিষয়টি অবিলম্বে আরও একবার ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।
বাগদাদে অবস্থিত ডেনমার্কের দূতাবাসের ডেনিশ স্টাফ দেশ ছেড়েছেন বলেও জানিয়েছে ইরাক। যদিও ডেনমার্ক বলছে, তারা ইরাক থেকে দূত প্রত্যাহার করেনি।
এর আগে গত মাসের শেষ দিকে সুইডেনে কোরআন পোড়ানো নিয়ে রীতিমত লঙ্কাকাণ্ড বেধে গিয়েছিল।
সুইডেন ও ডেনমার্ক তাদের বাক স্বাধীনতার অধিকারের সুরক্ষায় করা আইনের অধীনে বিক্ষোভকারীদের কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেয়। যা নিয়ে ইরান এবং ইরাকসহ মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশ তীব্র প্রতিবাদ করেছে। কয়েকটি দেশে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ইরাকের বিক্ষোভকারীরা বাগদাদে সুইডেনের দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
কোপেনহেগেনে সোমবার কোরআন পোড়ানো দুই বিক্ষোভকারী নিজেদের ‘ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস’ বলে দাবি করেছেন। যারা গত সপ্তাহে একই ধরনের বিক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং তার পুরোটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে দেখিয়েছে।
দুই নর্ডিক দেশের কোরআন পোড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গত শনিবার বাগদাদে কয়েক হাজার ইরাকি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
ইরাকের ক্ষমতাসীন দল এবং সশস্ত্র কয়েকটি গোষ্ঠী ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোর অনেকে ইরান ঘনিষ্ঠ।
ওই দিন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, যারা কোরআনকে অসম্মান করবে তাদের ‘সবচেয়ে কঠোর শাস্তির’ মুখোমুখি হতে হবে।
বাক স্বাধীনতার নামে ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রকাশের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে গত ১২ জুলাই একটি রেজ্যুলেশন পাস হয়।
যেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানকে ধর্মীয় বিদ্বেষ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
সেইসঙ্গে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সরকারকে নিজ নিজ দেশে বিদ্যমান আইন পর্যালোচনা করে দেখা এবং এর ফাঁকফোকর যা ‘ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রতিরোধ, বিদ্বেষমূলক কর্মকান্ডের বিচার এবং ধর্মীয় বিদ্বেষ নিয়ে প্রচারে বাধা সৃষ্টি করতে পারে’ তা বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
ঠিকানা/এসআর
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে ইরাকের দূতাবাসের সামনে সোমবার ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পুড়িয়েছেন দুই বিক্ষোভকারী।
এ ঘটনা নিশ্চিতভাবেই দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। ইরাক এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর কর্তৃপক্ষকে তথাকথিত বাক স্বাধীনতা এবং বিক্ষোভের অধিকারের সুরক্ষার বিষয়টি অবিলম্বে আরও একবার ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।
বাগদাদে অবস্থিত ডেনমার্কের দূতাবাসের ডেনিশ স্টাফ দেশ ছেড়েছেন বলেও জানিয়েছে ইরাক। যদিও ডেনমার্ক বলছে, তারা ইরাক থেকে দূত প্রত্যাহার করেনি।
এর আগে গত মাসের শেষ দিকে সুইডেনে কোরআন পোড়ানো নিয়ে রীতিমত লঙ্কাকাণ্ড বেধে গিয়েছিল।
সুইডেন ও ডেনমার্ক তাদের বাক স্বাধীনতার অধিকারের সুরক্ষায় করা আইনের অধীনে বিক্ষোভকারীদের কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেয়। যা নিয়ে ইরান এবং ইরাকসহ মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশ তীব্র প্রতিবাদ করেছে। কয়েকটি দেশে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ইরাকের বিক্ষোভকারীরা বাগদাদে সুইডেনের দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
কোপেনহেগেনে সোমবার কোরআন পোড়ানো দুই বিক্ষোভকারী নিজেদের ‘ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস’ বলে দাবি করেছেন। যারা গত সপ্তাহে একই ধরনের বিক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং তার পুরোটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে দেখিয়েছে।
দুই নর্ডিক দেশের কোরআন পোড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গত শনিবার বাগদাদে কয়েক হাজার ইরাকি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
ইরাকের ক্ষমতাসীন দল এবং সশস্ত্র কয়েকটি গোষ্ঠী ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোর অনেকে ইরান ঘনিষ্ঠ।
ওই দিন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, যারা কোরআনকে অসম্মান করবে তাদের ‘সবচেয়ে কঠোর শাস্তির’ মুখোমুখি হতে হবে।
বাক স্বাধীনতার নামে ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রকাশের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে গত ১২ জুলাই একটি রেজ্যুলেশন পাস হয়।
যেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানকে ধর্মীয় বিদ্বেষ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
সেইসঙ্গে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সরকারকে নিজ নিজ দেশে বিদ্যমান আইন পর্যালোচনা করে দেখা এবং এর ফাঁকফোকর যা ‘ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রতিরোধ, বিদ্বেষমূলক কর্মকান্ডের বিচার এবং ধর্মীয় বিদ্বেষ নিয়ে প্রচারে বাধা সৃষ্টি করতে পারে’ তা বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
ঠিকানা/এসআর