ডাবের পানি পুষ্টিকর ও আর্দ্রতা রক্ষাকারী উপাদান সমৃদ্ধ। এতে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ ও ইলেক্ট্রোলাইট যা ‘স্পোর্টস ড্রিংকস’ বা ‘কৃত্রিম স্বাদের পানীয়’ পান করার চাইতে স্বাস্থ্যকর।
খাবার তালিকায় ডাবের পানি যোগ করলে নানানভাবে স্বাস্থ্যোপকার পাওয়া যায়।
ডাবের পানির উপকারিতা
পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়- প্রাকৃতিক এই ‘আইসোটনিক’ পানীয় নানা রকম পুষ্টি উপাদান যেমন- পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, যা হারিয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রোলাইট যোগায় এবং আর্দ্রতা বজায় রাখে।
উপরন্তু, ডাবের পানিতে ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল’ উপাদান থাকায় তা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমের জটিলতা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ডেঙ্গুর মতো জ্বরের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
ডাবের পানি গর্ভাবস্থায় দেহের আর্দ্রতা যোগাতে, পুষ্টি ঘাটতি পূরণে এবং হজমের সমস্যা কমিয়ে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এতে ক্যালরির মাত্রা কম ও চর্বির মাত্রা বেশি যা বিপাক বাড়ায়। আর ওজন কমাতে সহায়তা করে।
ডাবের পানিতে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কম থাকায়, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।
ডাবের পানি স্বাভাবিকভাবে পান করার ছাড়াও দৈনিক খাবারের সাথে নানানভাবে যোগ করা যায়।
স্বাভাবিকভাবে পান করা
সহজ ও কার্যকর উপায়ে ডাবের পানি পান করতে চাইলে, চুমুক দিয়েই পান করতে হবে।
তাজা, কচি ডাব বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। ডাব কেটে এর পানি ও শাঁস গ্রহণ করার মাধ্যমে ডাবের আসল স্বাদা, ইলেক্ট্রোলাইট-সহ পুষ্টি উপাদান সহজেই পাওয়া যায়।
স্মুদিতে ব্যবহার
পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ডাবের পানি খেতে সুস্বাদু। তাই যে কোনো স্মুদি তৈরিতে সাধারণ পানির পরিবর্তে ডাবের পানি ব্যবহার করা যায়।
এর ইলেক্ট্রোলাইট দেহের আর্দ্রতার মাত্রা বজায় রাখে এবং প্রাকৃতিক মিষ্টিভাবের কারণে বাড়তি চিনি যোগ করার প্রয়োজন হয় না।
পচ্ছন্দের ফল, সবজির সাথে ডাবের পানির ব্যবহার পুষ্টিকর স্মুদি তৈরিতে সহায়তা করে।
তাজা ফলের জুসে ব্যবহার
সকালের নাস্তায় জুস হিসেবে পছন্দের ফলের সাথে ডাবের পানি যোগ করা যায়।
কমলা, আনারস, তরমুজ বা অন্য যে কোনো ফলের জুস তৈরিতে ডাবের পানির ব্যবহার বেশ মজাদার। এটা স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি পুষ্টি যোগানোর ও শরীর আর্দ্র রাখে।
রান্নায় ব্যবহার
ভাত বা ‘কিনওয়া’ রান্নায় সাধারণ পানির পরিবর্তে ডাবের পানি ব্যবহার যেমন স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ায় তেমনি পুষ্টিগুণও বৃদ্ধি করে।
তাই রান্নায় ডাবের পানি যোগ করেও খাবারে ভিন্ন মাত্রা আনা যায়।
বরফ তৈরি
ডাবের পানি আইস বক্সে করে ফ্রিজে রেখে বরফ তৈরি করে নিতে হবে। সাধারণ পানি, ফলের রস বা স্মুদিতে যোগ করে ঠাণ্ডা পানীয় তৈরি করা যায়। প্রতিদিন বিশেষ করে গরমকালে ডাবের পানি খাবার তালিকায় যোগ করার এটা একটা সহজ ও উপকারী উপায়।
ললি আইসক্রিম তৈরি
দেশের বাইরে ‘পপসিকল্স’ নামে পরিচিত হলেও আমাদের দেশে ললি আইসক্রিম নামেই বিক্রি হয়। আর স্বাস্থ্যকর ললি আইসক্রিম তৈরি করা যায় ডাবের পানি ব্যবহার করে।
পছন্দের যে কোনো ফলের টুকরা ডাবের পানিতে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। ঘরে তৈরি পপসিকল দেহের আর্দ্রতা যোগানোর পাশাপাশি পুষ্টি সরবারহ করবে।
‘মেরিনেইট’ ও ‘ড্রেসিং’য়ে ব্যবহার
খাবার মেরিনেইট করে রাখতে বা ড্রেসিং হিসেবে ডাবের পানি ব্যবহার করা যায়। সিট্রাস জুস, ভেষজ ও মসলার সাথে ডাবের পানি যোগ করে মাংস বা টফু মেরিনেইট করে স্বাদে আনা যায় ভিন্নতা।
এছাড়াও, সালাদের ড্রেসিং হিসেবে ডাবের পানি ব্যবহার করা উপকারী।
ঠিকানা/এসআর
খাবার তালিকায় ডাবের পানি যোগ করলে নানানভাবে স্বাস্থ্যোপকার পাওয়া যায়।
ডাবের পানির উপকারিতা
পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়- প্রাকৃতিক এই ‘আইসোটনিক’ পানীয় নানা রকম পুষ্টি উপাদান যেমন- পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, যা হারিয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রোলাইট যোগায় এবং আর্দ্রতা বজায় রাখে।
উপরন্তু, ডাবের পানিতে ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল’ উপাদান থাকায় তা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমের জটিলতা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ডেঙ্গুর মতো জ্বরের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
ডাবের পানি গর্ভাবস্থায় দেহের আর্দ্রতা যোগাতে, পুষ্টি ঘাটতি পূরণে এবং হজমের সমস্যা কমিয়ে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এতে ক্যালরির মাত্রা কম ও চর্বির মাত্রা বেশি যা বিপাক বাড়ায়। আর ওজন কমাতে সহায়তা করে।
ডাবের পানিতে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কম থাকায়, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।
ডাবের পানি স্বাভাবিকভাবে পান করার ছাড়াও দৈনিক খাবারের সাথে নানানভাবে যোগ করা যায়।
স্বাভাবিকভাবে পান করা
সহজ ও কার্যকর উপায়ে ডাবের পানি পান করতে চাইলে, চুমুক দিয়েই পান করতে হবে।
তাজা, কচি ডাব বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। ডাব কেটে এর পানি ও শাঁস গ্রহণ করার মাধ্যমে ডাবের আসল স্বাদা, ইলেক্ট্রোলাইট-সহ পুষ্টি উপাদান সহজেই পাওয়া যায়।
স্মুদিতে ব্যবহার
পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ডাবের পানি খেতে সুস্বাদু। তাই যে কোনো স্মুদি তৈরিতে সাধারণ পানির পরিবর্তে ডাবের পানি ব্যবহার করা যায়।
এর ইলেক্ট্রোলাইট দেহের আর্দ্রতার মাত্রা বজায় রাখে এবং প্রাকৃতিক মিষ্টিভাবের কারণে বাড়তি চিনি যোগ করার প্রয়োজন হয় না।
পচ্ছন্দের ফল, সবজির সাথে ডাবের পানির ব্যবহার পুষ্টিকর স্মুদি তৈরিতে সহায়তা করে।
তাজা ফলের জুসে ব্যবহার
সকালের নাস্তায় জুস হিসেবে পছন্দের ফলের সাথে ডাবের পানি যোগ করা যায়।
কমলা, আনারস, তরমুজ বা অন্য যে কোনো ফলের জুস তৈরিতে ডাবের পানির ব্যবহার বেশ মজাদার। এটা স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি পুষ্টি যোগানোর ও শরীর আর্দ্র রাখে।
রান্নায় ব্যবহার
ভাত বা ‘কিনওয়া’ রান্নায় সাধারণ পানির পরিবর্তে ডাবের পানি ব্যবহার যেমন স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ায় তেমনি পুষ্টিগুণও বৃদ্ধি করে।
তাই রান্নায় ডাবের পানি যোগ করেও খাবারে ভিন্ন মাত্রা আনা যায়।
বরফ তৈরি
ডাবের পানি আইস বক্সে করে ফ্রিজে রেখে বরফ তৈরি করে নিতে হবে। সাধারণ পানি, ফলের রস বা স্মুদিতে যোগ করে ঠাণ্ডা পানীয় তৈরি করা যায়। প্রতিদিন বিশেষ করে গরমকালে ডাবের পানি খাবার তালিকায় যোগ করার এটা একটা সহজ ও উপকারী উপায়।
ললি আইসক্রিম তৈরি
দেশের বাইরে ‘পপসিকল্স’ নামে পরিচিত হলেও আমাদের দেশে ললি আইসক্রিম নামেই বিক্রি হয়। আর স্বাস্থ্যকর ললি আইসক্রিম তৈরি করা যায় ডাবের পানি ব্যবহার করে।
পছন্দের যে কোনো ফলের টুকরা ডাবের পানিতে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। ঘরে তৈরি পপসিকল দেহের আর্দ্রতা যোগানোর পাশাপাশি পুষ্টি সরবারহ করবে।
‘মেরিনেইট’ ও ‘ড্রেসিং’য়ে ব্যবহার
খাবার মেরিনেইট করে রাখতে বা ড্রেসিং হিসেবে ডাবের পানি ব্যবহার করা যায়। সিট্রাস জুস, ভেষজ ও মসলার সাথে ডাবের পানি যোগ করে মাংস বা টফু মেরিনেইট করে স্বাদে আনা যায় ভিন্নতা।
এছাড়াও, সালাদের ড্রেসিং হিসেবে ডাবের পানি ব্যবহার করা উপকারী।
ঠিকানা/এসআর