সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিল্পকলা একাডেমি যুক্তরাষ্ট্র-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিকা রায় চৌধুরী সম্প্রতি একটি স্ট্যাটাস আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ২৫ আগস্ট রোববার তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘দেশ ছাড়ছে হাজার হাজার হিন্দু পরিবার। জন্মভূমি ছাড়ার যে কি কষ্ট!’
মনিরা রায় চৌধুরীর ওই স্ট্যাটাসে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ তার সঙ্গে একমত হলেও অনেকে দ্বিমত পোষণ করেছেন। যারা দ্বিমত পোষণ করেছেন তাদের মতে, মনিকা রায় চৌধুরীর তথ্যটি সঠিক নয়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ঘটনায় কোনো হিন্দু পরিবার দেশ ছাড়েননি। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নিয়েছেন মনিকা রায় চৌধুরী।
স্ট্যাটাস দেওয়ার পর আবার তা কেন প্রত্যাহার করলেন- এ বিষয়ে জানার জন্য মনিকা রায় চৌধুরী ঠিকানাকে জানান, আমি স্ট্যাটাসটি প্রত্যাহার করিনি। স্ট্যাটাস দেওয়ার পর নোংরা ভাষায় কিছু লোক আমাকে আক্রমণ করেছেন। একজন নারী হিসাবে তাদের নোংরা ভাষাগুলো গ্রহণ করতে পারনি।
তিনি বলেন, হিন্দু পরিবার দেশ ছেড়ে গেছেন এমন কথা স্ট্যাটাসে বলিনি। ছাড়ছে বলেছি। বাংলাদেশে বহু হিন্দু পরিবারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন যে সাম্প্রতিক ঘটনার পর বাংলাদেশে থাকা তাদের জন্য অনিরাপদ। এ কারণে তারা দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সমন্বয়ক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট শীতাংশু গুহ ঠিকানাকে বলেন, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে। নির্যাতিত বহ পরিবার প্রাণভয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় তারা দেশটিতে ঢুকতে পারেননি। বিএসএফ-এর অনুরোধে বিজিবি তাদের ফেরত পাঠিয়েছেন।
শীতাংশু গুহ বলেন, বাংলাদেশে যা কিছু ঘটুক না কেন, দিন শেষে সংখ্যালঘুদের ওপরই হামলা হয়। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশ থেকে একজন হিন্দুও ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেনি। তার কথায়, বাংলাদেশে হিন্দুরা সেখানেই বসবাস করছেন।
মনিরা রায় চৌধুরীর ওই স্ট্যাটাসে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ তার সঙ্গে একমত হলেও অনেকে দ্বিমত পোষণ করেছেন। যারা দ্বিমত পোষণ করেছেন তাদের মতে, মনিকা রায় চৌধুরীর তথ্যটি সঠিক নয়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ঘটনায় কোনো হিন্দু পরিবার দেশ ছাড়েননি। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নিয়েছেন মনিকা রায় চৌধুরী।
স্ট্যাটাস দেওয়ার পর আবার তা কেন প্রত্যাহার করলেন- এ বিষয়ে জানার জন্য মনিকা রায় চৌধুরী ঠিকানাকে জানান, আমি স্ট্যাটাসটি প্রত্যাহার করিনি। স্ট্যাটাস দেওয়ার পর নোংরা ভাষায় কিছু লোক আমাকে আক্রমণ করেছেন। একজন নারী হিসাবে তাদের নোংরা ভাষাগুলো গ্রহণ করতে পারনি।
তিনি বলেন, হিন্দু পরিবার দেশ ছেড়ে গেছেন এমন কথা স্ট্যাটাসে বলিনি। ছাড়ছে বলেছি। বাংলাদেশে বহু হিন্দু পরিবারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন যে সাম্প্রতিক ঘটনার পর বাংলাদেশে থাকা তাদের জন্য অনিরাপদ। এ কারণে তারা দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সমন্বয়ক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট শীতাংশু গুহ ঠিকানাকে বলেন, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে। নির্যাতিত বহ পরিবার প্রাণভয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় তারা দেশটিতে ঢুকতে পারেননি। বিএসএফ-এর অনুরোধে বিজিবি তাদের ফেরত পাঠিয়েছেন।
শীতাংশু গুহ বলেন, বাংলাদেশে যা কিছু ঘটুক না কেন, দিন শেষে সংখ্যালঘুদের ওপরই হামলা হয়। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশ থেকে একজন হিন্দুও ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেনি। তার কথায়, বাংলাদেশে হিন্দুরা সেখানেই বসবাস করছেন।