নেতৃত্বের কোন্দলে বিগত প্রায় এক দশক বিপর্যস্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। সরকারি দল হয়েও ঢিলেঢালাভাবে চলছিল সাংগঠনিক কার্যক্রম। কমিটির বাইরে সমান্তরালভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল বড় একটি অংশকে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সরকারের পতনের পরও কোন্দল মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অন্য কোনো ভয় নেই, তারপরও আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনের মত কার্যক্রম চালাচ্ছে সংগঠনটি। এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা সমালোচনার।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মী ঠিকানাকে জানান, সংগঠনের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানসহ হাতেগোনা কয়েকজন নেতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে কোন্দল চলে আসছিল। অন্যদিকে দলের হাইকমান্ডও চেয়েছে কোন্দল জিইয়ে রাখতে। পরিণাম হচ্ছে- এই বিপদে সুযোগ থাকার পরও দলের নেতারা এক হতে পারছেন না। সিদ্দিকুর রহমানের ডাকে প্রতিপক্ষ গ্রুপ আসছেন না। আবার সিদ্দিকুর রহমান থাকলে সে অনুষ্ঠানে তারা যাচ্ছেন না। দলের প্রধান বিপদে, দল বিপদে। পায়ের তলায় মাটি নেই। অথচ সুযোগ থাকার পরও ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে না কেউ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ একটি আন্ডারগ্রাউন্ড দল। হঠাৎ করে সভা-সমাবেশ ডাকছে। সেখানে উপস্থিতিও থাকছে হতাশাব্যঞ্জক। এমনকী গণমাধ্যমকেও কিছু জানানো হচ্ছে না। ফলে মিডিয়ার সাথে দূরত্ব বাড়ছে সংগঠনের।
গত প্রায় এক সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নামে একাধিক সভা-সমাবেশ হয়েছে। কিন্তু সেগুলো হঠাৎ ডাকা হচ্ছে। দু-একটি সমাবেশের জন্য মিডিয়াকে অবহিত করা হলেও বেশিরভাগই মিডিয়াকর্মীরা জানেন না। সর্বশেষ ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজ ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ সম্পর্কে মিডিয়াকে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকী মিডিয়ায় সমাবেশের খবর প্রেস রিলিজ আকারে পাঠানো হয়েছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর।
নাম প্রকাশে অচ্ছিুক একজন নেতা ঠিকানাকে জানান, সভা-সমাবেশ ডেকে যাতে প্রতিরোধের মুখে পড়তে না হয় সেজন্য দলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা নানান কৌশল নিচ্ছেন। এটা অনেকটা আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির মত আচরণ। এটা একেবারেই কাম্য নয়। ওই নেতার কারণে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হামিদের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অসাংবিধানিক অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন দখলদার সরকার গত ৫ আগস্ট থেকে সারা দেশে আওয়ামী লীগ, পুলিশ, ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ও গ্রেপ্তার তথা সমগ্র বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশে পরিণত করেছে। এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের আয়োজনে ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং হোয়াইট হাউজের সামনে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাম্প্রতিককালে সংঘটিত সকল বিষয়ের ওপর যেমন নির্বাচিত সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে জোরপূর্বক দেশত্যাগ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ও অসাংবিধানিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সংস্কারের নামে হত্যাযোগ্য ও গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছেন তার সম্মিলিত একটি চিঠি হস্তান্তর করা হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের কাছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, ডা মাসুদুল হাসান, হিনদেল কাদির বাপ্পা, সোলায়মান আলী, দরুদ মিয়া রণেল, ফরিদ আলম, তরীকুল হায়দার, শরিফ কামরুল আলম হীরা, নুরুল আফছার সেন্টু, সাহানারা রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, রফিকুর রহমান, এমদাদ চৌধুরী, সাহী নাজমুল, মাহমুদন নবী বাকী, শেখ সেলিম, জিআই রাসেল, আজাদ, তাপস, ইকবাল ইউসুফ, মমতাজ শাহনাজ, ইকবাল, কিবরিয়া শেখ জামাল হোসেন, সেবুল মিয়া, ড. জাহিদ, সাবু, হুমায়ূন আহমেদ, মাহী, হাসান, রাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ‘স্ট্যান্ড উইথ শেখ হাসিনা;’, ‘লং লিভ হাসিনা’, ‘উই আর ফর হাসিনা’, ‘স্টেপ ডাউন ইউনূস’, ‘স্টপ কিলিং ইন বাংলাদেশ’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মী ঠিকানাকে জানান, সংগঠনের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানসহ হাতেগোনা কয়েকজন নেতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে কোন্দল চলে আসছিল। অন্যদিকে দলের হাইকমান্ডও চেয়েছে কোন্দল জিইয়ে রাখতে। পরিণাম হচ্ছে- এই বিপদে সুযোগ থাকার পরও দলের নেতারা এক হতে পারছেন না। সিদ্দিকুর রহমানের ডাকে প্রতিপক্ষ গ্রুপ আসছেন না। আবার সিদ্দিকুর রহমান থাকলে সে অনুষ্ঠানে তারা যাচ্ছেন না। দলের প্রধান বিপদে, দল বিপদে। পায়ের তলায় মাটি নেই। অথচ সুযোগ থাকার পরও ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে না কেউ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ একটি আন্ডারগ্রাউন্ড দল। হঠাৎ করে সভা-সমাবেশ ডাকছে। সেখানে উপস্থিতিও থাকছে হতাশাব্যঞ্জক। এমনকী গণমাধ্যমকেও কিছু জানানো হচ্ছে না। ফলে মিডিয়ার সাথে দূরত্ব বাড়ছে সংগঠনের।
গত প্রায় এক সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নামে একাধিক সভা-সমাবেশ হয়েছে। কিন্তু সেগুলো হঠাৎ ডাকা হচ্ছে। দু-একটি সমাবেশের জন্য মিডিয়াকে অবহিত করা হলেও বেশিরভাগই মিডিয়াকর্মীরা জানেন না। সর্বশেষ ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজ ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ সম্পর্কে মিডিয়াকে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকী মিডিয়ায় সমাবেশের খবর প্রেস রিলিজ আকারে পাঠানো হয়েছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর।
নাম প্রকাশে অচ্ছিুক একজন নেতা ঠিকানাকে জানান, সভা-সমাবেশ ডেকে যাতে প্রতিরোধের মুখে পড়তে না হয় সেজন্য দলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা নানান কৌশল নিচ্ছেন। এটা অনেকটা আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির মত আচরণ। এটা একেবারেই কাম্য নয়। ওই নেতার কারণে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হামিদের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অসাংবিধানিক অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন দখলদার সরকার গত ৫ আগস্ট থেকে সারা দেশে আওয়ামী লীগ, পুলিশ, ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ও গ্রেপ্তার তথা সমগ্র বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশে পরিণত করেছে। এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের আয়োজনে ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং হোয়াইট হাউজের সামনে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাম্প্রতিককালে সংঘটিত সকল বিষয়ের ওপর যেমন নির্বাচিত সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে জোরপূর্বক দেশত্যাগ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ও অসাংবিধানিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সংস্কারের নামে হত্যাযোগ্য ও গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছেন তার সম্মিলিত একটি চিঠি হস্তান্তর করা হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের কাছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, ডা মাসুদুল হাসান, হিনদেল কাদির বাপ্পা, সোলায়মান আলী, দরুদ মিয়া রণেল, ফরিদ আলম, তরীকুল হায়দার, শরিফ কামরুল আলম হীরা, নুরুল আফছার সেন্টু, সাহানারা রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, রফিকুর রহমান, এমদাদ চৌধুরী, সাহী নাজমুল, মাহমুদন নবী বাকী, শেখ সেলিম, জিআই রাসেল, আজাদ, তাপস, ইকবাল ইউসুফ, মমতাজ শাহনাজ, ইকবাল, কিবরিয়া শেখ জামাল হোসেন, সেবুল মিয়া, ড. জাহিদ, সাবু, হুমায়ূন আহমেদ, মাহী, হাসান, রাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ‘স্ট্যান্ড উইথ শেখ হাসিনা;’, ‘লং লিভ হাসিনা’, ‘উই আর ফর হাসিনা’, ‘স্টেপ ডাউন ইউনূস’, ‘স্টপ কিলিং ইন বাংলাদেশ’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।