১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ১ উইকেটে ২৩ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। বাংলাদেশ দল এখনো এগিয়ে ৯৪ রানে। তৃতীয় ওভারে শরীফুল ইসলামের বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার সায়েম আইয়ুব (১)।
পাকিস্তানকে চাপে রেখে শেষ দিন মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চার দিনের ব্যাটিং বিবেচনায়, ম্যাচ ড্র হওয়ার আভাসই দিচ্ছে। তবে অসাধারণ কিছু করে বাংলাদেশের সুযোগ রয়েছে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়ারও। এ জন্য পাকিস্তানের স্বাগতিকদের অল্প রানেই আটকে রাখতে হবে। দিন শেষে আবদুল্লাহ শফিক ১২ ও শান মাসুদ ৯ রানে অপরাজিত আছেন।
তার আগে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির সঙ্গে চার ফিফটি, রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ৫৬৫ রানে। পাকিস্তানের পাহাড়সম (৪৪৮ /৬) রান টপকে ১১৭ রানের লিড পায় সফরকারীরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে এটি এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে ২০১৫ সালে খুলনায় করেছিল ৫৫৫ রান। সব মিলিয়ে লাল বলে তৃতীয় সেরা ইনিংস তাদের।
তৃতীয় দিনের ৫ উইকেটে ৩১৬ রান থেকে চতুর্থ দিনের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ দল। বাকি ৫ উইকেটে চতুর্থ দিন যোগ করেছে ২৪৯ রান। দিনের শুরুতেই অতিথিরা হারায় লিটন দাসের উইকেট। যে নাসিম শাহর ওপর তাণ্ডব চালিয়ে আগের দিন ফিফটি করেছেন লিটন, তার বলেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন।
১০১তম ওভারের পঞ্চম বলে নাসিমের অনেক বাইরের বল ড্রাইভ করতে যান লিটন। ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। ৫৬ রানে ফেরেন লিটন। ভাঙে ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি।
৩৩২ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে মুশফিকের আরেকটি দারুণ জুটি। শতরানের জুটি গড়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরিও তুলে নেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ৬ উইকেটে ৩৮৯ রানে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনও নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন মুশফিক-মিরাজ।
মুশফিক হাঁটছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির পথে, মিরাজ তুলে নেন সপ্তম টেস্ট ফিফটি। দলকে লিড এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মুশফিক। কিন্তু সেঞ্চুরির পরও যেন আক্ষেপ থেকে গেল এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। ইনিংসের ১৫৭তম ওভারে মোহাম্মদ আলীর বল বুঝে উঠতে পারেননি। স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের হাতে।
১৯১ রানে থামে মুশফিকের ইনিংস। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। ৩৪১ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২২টি চার ও একটি ছক্কা। টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা ইনিংস এটি। ২০১৫ সালে সাকিব আল হাসান খেলেছিলেন ২০৬ রানের ইনিংস।
মোহাম্মদ আলীর আঘাতে শুধু মুশফিকই আক্ষেপে পোড়েননি, গতকাল তিনি সেঞ্চুরিবঞ্চিত করেছেন ওপেনার সাদমান ইসলামকেও। অসাধারণ এক বলে ৯৩ রানে বোল্ড করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটারকে।
মুশফিক আউট হওয়ায় সপ্তম উইকেটে মিরাজের সঙ্গে ভাঙে ১৯৬ রানের জুটি। ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন হাসান মাহমুদ। তাকে আউট করে ‘বেবি সেলিব্রেশন’ করলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। মাঠ থেকেই শুনলেন পাকিস্তানে তার স্ত্রী আনশা আফ্রিদি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
ব্যাট চালাতে থাকেন মিরাজ। কিন্তু ১৭৯ বলে ৭৭ রানে তাকেও থামিয়েছেন শাহিন। ইনিংসে ছিল ৬টি চার। ২২ রানে শরীফুল ইসলাম আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ১ রানে অপরাজিত থাকেন নাহিদ রানা। পাকিস্তানের হয়ে খুররম শাহজাদ ৩টি এবং ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ আলী।
ঠিকানা/এনআই
পাকিস্তানকে চাপে রেখে শেষ দিন মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চার দিনের ব্যাটিং বিবেচনায়, ম্যাচ ড্র হওয়ার আভাসই দিচ্ছে। তবে অসাধারণ কিছু করে বাংলাদেশের সুযোগ রয়েছে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়ারও। এ জন্য পাকিস্তানের স্বাগতিকদের অল্প রানেই আটকে রাখতে হবে। দিন শেষে আবদুল্লাহ শফিক ১২ ও শান মাসুদ ৯ রানে অপরাজিত আছেন।
তার আগে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির সঙ্গে চার ফিফটি, রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ৫৬৫ রানে। পাকিস্তানের পাহাড়সম (৪৪৮ /৬) রান টপকে ১১৭ রানের লিড পায় সফরকারীরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে এটি এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে ২০১৫ সালে খুলনায় করেছিল ৫৫৫ রান। সব মিলিয়ে লাল বলে তৃতীয় সেরা ইনিংস তাদের।
তৃতীয় দিনের ৫ উইকেটে ৩১৬ রান থেকে চতুর্থ দিনের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ দল। বাকি ৫ উইকেটে চতুর্থ দিন যোগ করেছে ২৪৯ রান। দিনের শুরুতেই অতিথিরা হারায় লিটন দাসের উইকেট। যে নাসিম শাহর ওপর তাণ্ডব চালিয়ে আগের দিন ফিফটি করেছেন লিটন, তার বলেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন।
১০১তম ওভারের পঞ্চম বলে নাসিমের অনেক বাইরের বল ড্রাইভ করতে যান লিটন। ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। ৫৬ রানে ফেরেন লিটন। ভাঙে ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি।
৩৩২ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে মুশফিকের আরেকটি দারুণ জুটি। শতরানের জুটি গড়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরিও তুলে নেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ৬ উইকেটে ৩৮৯ রানে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনও নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন মুশফিক-মিরাজ।
মুশফিক হাঁটছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির পথে, মিরাজ তুলে নেন সপ্তম টেস্ট ফিফটি। দলকে লিড এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মুশফিক। কিন্তু সেঞ্চুরির পরও যেন আক্ষেপ থেকে গেল এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। ইনিংসের ১৫৭তম ওভারে মোহাম্মদ আলীর বল বুঝে উঠতে পারেননি। স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের হাতে।
১৯১ রানে থামে মুশফিকের ইনিংস। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। ৩৪১ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২২টি চার ও একটি ছক্কা। টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা ইনিংস এটি। ২০১৫ সালে সাকিব আল হাসান খেলেছিলেন ২০৬ রানের ইনিংস।
মোহাম্মদ আলীর আঘাতে শুধু মুশফিকই আক্ষেপে পোড়েননি, গতকাল তিনি সেঞ্চুরিবঞ্চিত করেছেন ওপেনার সাদমান ইসলামকেও। অসাধারণ এক বলে ৯৩ রানে বোল্ড করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটারকে।
মুশফিক আউট হওয়ায় সপ্তম উইকেটে মিরাজের সঙ্গে ভাঙে ১৯৬ রানের জুটি। ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন হাসান মাহমুদ। তাকে আউট করে ‘বেবি সেলিব্রেশন’ করলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। মাঠ থেকেই শুনলেন পাকিস্তানে তার স্ত্রী আনশা আফ্রিদি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
ব্যাট চালাতে থাকেন মিরাজ। কিন্তু ১৭৯ বলে ৭৭ রানে তাকেও থামিয়েছেন শাহিন। ইনিংসে ছিল ৬টি চার। ২২ রানে শরীফুল ইসলাম আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ১ রানে অপরাজিত থাকেন নাহিদ রানা। পাকিস্তানের হয়ে খুররম শাহজাদ ৩টি এবং ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ আলী।
ঠিকানা/এনআই