বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুতের ৮০০ মিলিয়ন ডলার পাবে আদানি : গভর্নর

প্রকাশ : ২৩ অগাস্ট ২০২৪, ২১:৪৬ , অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশের কাছে ৮০০ মিলিয়ন ডলার পায় ভারতীয় শিল্প গোষ্ঠী আদানি। গোষ্ঠীটির বিদ্যুৎ উৎপাদক কোম্পানি আদানি পাওয়ার এই অর্থ পায় বলে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

গণমাধ্যমটিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর জানান, মূলত ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত আদানির কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে যে বিদ্যুৎ পাঠানো হয় সেই প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই অর্থ পায়। তিনি বলেন, আমরা যদি তাদের (এই অর্থ) পরিশোধ না করি, তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।’ তবে ব্লুমবার্গের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদানি গ্রুপের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

অভ্যন্তরীণ আলোচনার সঙ্গে পরিচিত একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আদানি পাওয়ারের এখন পর্যন্ত সরবরাহ লাইন কাটার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে অর্থ না প্রদান করা হলে ঋণদাতা ও কয়লা সরবরাহকারীদের চাপের মুখে পড়তে পারে আদানি গ্রুপ। তারা জানিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধানে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে।

এর আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১২ আগস্ট বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য নির্মিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ ভারতেও বিক্রির অনুমতি দিয়ে বিদ্যুৎ রপ্তানি বিধি সংশোধন করে ভারত। ফলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হলে আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে কোম্পানিটি। কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড়খন্ড রাজ্যে অবস্থিত।

ব্লুমবার্গ বলছে, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতে ক্রমেই নিজেদের জায়গা বিস্তার করছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আদানি গ্রুপ। বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানে নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায় গোষ্ঠীটি। কিন্তু অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে বিলম্বের ঘটনা গোষ্ঠীটির জন্য অর্থনৈতিক ভূরাজনৈতিক ঝুঁকিই বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। 

এর আগে, ২০২২ সালে গৌতম আদানি একটি টুইট শেয়ার করে গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের যাত্রা শুরুর কথা উল্লেখ করেন। সেখানে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়। পরে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট উৎপাদন শুরু করে। 

আদানি পাওয়ার ছাড়াও এনটিপিসি লিমিটেড এবং পিটিসি ইন্ডিয়া লিমিটেডসহ ভারতের কয়েকটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সেই সংস্থাগুলোরও বাংলাদেশের কাছে কোনো অনাদায়ি বকেয়া আছে কি না সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। 

ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতি। আহসান এইচ মনসুর ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, সামগ্রিক বকেয়া ২০০ কোটি ডলার। যার মধ্যে আছে এয়ারলাইনসের বকেয়া, যা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে। এদিন গভর্নর বলেছেন, ‘আমাদের বার্তাটি পরিষ্কার, আমাদের অর্থের প্রয়োজন। আমরা সব বকেয়া পরিশোধ করতে চাই।’

ঠিকানা/এএস 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041