সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিক হিসেবে সারা বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় খালেদ মুহিউদ্দীন ঠিকানা পরিবারে যোগ দিয়েছেন। তিনি ঠিকানা ডিজিটাল মিডিয়ায় এডিটর ইন চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। খুব শিগগির খালেদ মুহিউদ্দীনের উপস্থাপনায় শুরু হবে টকশো ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’। ইউটিউব, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাবে অনুষ্ঠানটি।
বিশ্বখ্যাত জার্মান গণমাধ্যম ‘ডয়চে ভেলে’র বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন খালেদ মুহিউদ্দীন। তার সঞ্চালনায় প্রায় চার বছর ধরে চলা টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। এমনকি জনপ্রিয়তার বিচারে বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকাকে পেছনে ফেলে দেয় অনুষ্ঠানটি।
গত ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে খালেদ মুহিউদ্দীন ঠিকানা পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ঠিকানার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন, রিভারটেলের সিইও রুহিন হোসেন এবং ঠিকানার ভাইস চেয়ারম্যান ও সিওও মুশরাত শাহীন অনুভা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় ঠিকানা ও রিভারটেল পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত এবং বহির্বিশ্বে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা সংবাদপত্র ঠিকানা দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশি কমিউনিটি বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে ঠিকানার অনলাইন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু রয়েছে।
ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন জানান, ঠিকানার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রখ্যাত সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।
ঠিকানার ভাইস চেয়ারম্যান ও রিভারটেলের কো-ফাউন্ডার মুশরাত শাহীন অনুভা জানান, ‘ঠিকানা’ ছাড়াও খালেদ মুহিউদ্দীন সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিভারটেলে কমিউনিকেশন ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে খালেদ মুহিউদ্দীন গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, উপস্থাপক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। নিরপেক্ষ ও নির্ভীক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে প্রবাসেও দৃঢ়তার সঙ্গে সাংবাদিকতা করছেন।
কর্মজীবনের শুরুতেই খালেদ মুহিউদ্দীন যোগ দেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে। তিনি পত্রিকাটির নগর পাতার সম্পাদক এবং সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে আইন আদালত এবং খনিজসম্পদ বিষয়ে প্রতিবেদন করতেন। এ ছাড়া ‘ঢাকায় থাকি’ পাতার পরিকল্পনা ও সম্পাদনায় নিযুক্ত ছিলেন তিনি। খালেদ মুহিউদ্দীন কিছুদিন বেসরকারি অনলাইন সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাংবাদিকতা দিয়ে তার পেশা শুরু হলেও খালেদ মুহিউদ্দীন ১৮তম বিসিএস পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকতা ও লেখালেখির প্রতি প্রবল ভালোবাসার কারণে অল্প কিছুদিনের মাথায় সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে আবার ফিরে যান সাংবাদিকতায়।
খালেদ মুহিউদ্দীন ২০১১ সালে যোগ দেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে। সেখানে প্রায় সাত বছর তিনি বার্তা প্রধান ও নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এই চ্যানেলেরই জনপ্রিয় টকশো ‘আজকের বাংলাদেশ’-এর উপস্থাপনা করেছেন তিনি এবং এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ভীক সাংবাদিক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে বই লেখাসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় খালেদ মুহিউদ্দীনের পদচারণ রয়েছে। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে অধ্যাপক এএসএম আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যৌথভাবে লেখা ‘যোগাযোগের ধারণা’ এবং ‘যোগাযোগের তথ্য’ শিরোনামে দুটি বই রয়েছে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয়।
খালেদ মুহিউদ্দীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতার ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা খালেদ মুহিউদ্দীনের পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক কন্যাসন্তানের জনক। তার মা ও বড় ভাই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।
বিশ্বখ্যাত জার্মান গণমাধ্যম ‘ডয়চে ভেলে’র বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন খালেদ মুহিউদ্দীন। তার সঞ্চালনায় প্রায় চার বছর ধরে চলা টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। এমনকি জনপ্রিয়তার বিচারে বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকাকে পেছনে ফেলে দেয় অনুষ্ঠানটি।
গত ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে খালেদ মুহিউদ্দীন ঠিকানা পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ঠিকানার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন, রিভারটেলের সিইও রুহিন হোসেন এবং ঠিকানার ভাইস চেয়ারম্যান ও সিওও মুশরাত শাহীন অনুভা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় ঠিকানা ও রিভারটেল পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত এবং বহির্বিশ্বে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা সংবাদপত্র ঠিকানা দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশি কমিউনিটি বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে ঠিকানার অনলাইন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু রয়েছে।
ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন জানান, ঠিকানার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রখ্যাত সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।
ঠিকানার ভাইস চেয়ারম্যান ও রিভারটেলের কো-ফাউন্ডার মুশরাত শাহীন অনুভা জানান, ‘ঠিকানা’ ছাড়াও খালেদ মুহিউদ্দীন সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিভারটেলে কমিউনিকেশন ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে খালেদ মুহিউদ্দীন গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, উপস্থাপক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। নিরপেক্ষ ও নির্ভীক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে প্রবাসেও দৃঢ়তার সঙ্গে সাংবাদিকতা করছেন।
কর্মজীবনের শুরুতেই খালেদ মুহিউদ্দীন যোগ দেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে। তিনি পত্রিকাটির নগর পাতার সম্পাদক এবং সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে আইন আদালত এবং খনিজসম্পদ বিষয়ে প্রতিবেদন করতেন। এ ছাড়া ‘ঢাকায় থাকি’ পাতার পরিকল্পনা ও সম্পাদনায় নিযুক্ত ছিলেন তিনি। খালেদ মুহিউদ্দীন কিছুদিন বেসরকারি অনলাইন সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাংবাদিকতা দিয়ে তার পেশা শুরু হলেও খালেদ মুহিউদ্দীন ১৮তম বিসিএস পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকতা ও লেখালেখির প্রতি প্রবল ভালোবাসার কারণে অল্প কিছুদিনের মাথায় সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে আবার ফিরে যান সাংবাদিকতায়।
খালেদ মুহিউদ্দীন ২০১১ সালে যোগ দেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে। সেখানে প্রায় সাত বছর তিনি বার্তা প্রধান ও নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এই চ্যানেলেরই জনপ্রিয় টকশো ‘আজকের বাংলাদেশ’-এর উপস্থাপনা করেছেন তিনি এবং এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ভীক সাংবাদিক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে বই লেখাসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় খালেদ মুহিউদ্দীনের পদচারণ রয়েছে। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে অধ্যাপক এএসএম আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যৌথভাবে লেখা ‘যোগাযোগের ধারণা’ এবং ‘যোগাযোগের তথ্য’ শিরোনামে দুটি বই রয়েছে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয়।
খালেদ মুহিউদ্দীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতার ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা খালেদ মুহিউদ্দীনের পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক কন্যাসন্তানের জনক। তার মা ও বড় ভাই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।