শুরুটা ভালো করলেও শেষটা হয়নি বাংলাদেশের। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পাকিস্তান। প্রথম দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৫৮ রান। প্রথম দিনে ৪৮ ওভার খেলা হয়েছে।
বেরসিক বৃষ্টির কারণে তো সাড়ে চার ঘণ্টারও বেশি সময় পর খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় খেলা শুরুর পর বৃষ্টির মতোই টপাটপ উইকেট পাওয়া শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। দলীয় ৩ রানের মাথায় আবদুল্লাহ শফিককে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান হাসান মাহমুদ। তবে উইকেট পাওয়াতে পেসার হাসানের যতটুকু অবদান, তার চেয়ে ঢের বেশি ফিল্ডার জাকিরের।
যেভাবে গ্যালিতে অ্যাক্রোব্যাটিক ক্যাচ নিলেন, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। নিজের ডান দিকে ঝাঁপ দিয়ে চিতা বাঘের মতো ‘শিকার’ শফিককে ধরে ফেলেন বাঁহাতি ব্যাটার। হাসানের পর জোড়া উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দেন শরীফুল ইসলাম। শুরুটা করেন শান মাসুদকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে। এরপর নিজের স্বপ্নের উইকেট নেন শরীফুল।
টেস্ট শুরুর আগেই শরীফুল জানিয়েছিলেন বাবর আজমকে আউট করাটা তার স্বপ্ন। দ্বিতীয় বলেই পাকিস্তানের সীমিত ওভারের অধিনায়ককে আউট করে সেই স্বপ্নপূরণ করেন তিনি। তার স্বপ্নপূরণের বিপরীতে অষ্টমবারের মতো টেস্টে শূন্য রানে আউট হয়েছেন বাবর। এর জন্য অবশ্য বাঁহাতি পেসারের কাছ থেকে একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য লিটনের। কারণ পাখির মতো বাঁ দিকে লাফ দিয়ে বাবরের ক্যাচটা তালুবন্দী না করলে শরীফুলের স্বপ্নপূরণের অপেক্ষা হয়তো আরও দীর্ঘ হতো।
১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে এ সময় প্রথম ইনিংসে ধুঁকছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে স্বাগতিকদের ঢাল হয়ে দাঁড়ান দুই বাঁহাতি ব্যাটার সাইম আইয়ুব ও সৌদ শাকিল। চতুর্থ উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন দুজনে। দলকে ম্যাচে ফেরানোর পথে ফিফটিও পেয়েছেন দুজনে। ৫৬ রানে সাইমকে আউট করে বাংলাদেশের দীর্ঘ সময়ের উইকেট-খরা কাটান শুরুতে উইকেট এনে দেওয়া হাসান। দলীয় ১১৪ রানের সময় পাকিস্তানের ওপেনারকে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানান তিনি।
সতীর্থ আউট হলেও ৫৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন শাকিল। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ২৪ রান করা উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রানের অপরাজিত জুটি গড়া দুই ব্যাটার আগামীকাল আবারও দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। সমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ও হাসান।
ঠিকানা/এনআই
বেরসিক বৃষ্টির কারণে তো সাড়ে চার ঘণ্টারও বেশি সময় পর খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় খেলা শুরুর পর বৃষ্টির মতোই টপাটপ উইকেট পাওয়া শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। দলীয় ৩ রানের মাথায় আবদুল্লাহ শফিককে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান হাসান মাহমুদ। তবে উইকেট পাওয়াতে পেসার হাসানের যতটুকু অবদান, তার চেয়ে ঢের বেশি ফিল্ডার জাকিরের।
যেভাবে গ্যালিতে অ্যাক্রোব্যাটিক ক্যাচ নিলেন, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। নিজের ডান দিকে ঝাঁপ দিয়ে চিতা বাঘের মতো ‘শিকার’ শফিককে ধরে ফেলেন বাঁহাতি ব্যাটার। হাসানের পর জোড়া উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দেন শরীফুল ইসলাম। শুরুটা করেন শান মাসুদকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে। এরপর নিজের স্বপ্নের উইকেট নেন শরীফুল।
টেস্ট শুরুর আগেই শরীফুল জানিয়েছিলেন বাবর আজমকে আউট করাটা তার স্বপ্ন। দ্বিতীয় বলেই পাকিস্তানের সীমিত ওভারের অধিনায়ককে আউট করে সেই স্বপ্নপূরণ করেন তিনি। তার স্বপ্নপূরণের বিপরীতে অষ্টমবারের মতো টেস্টে শূন্য রানে আউট হয়েছেন বাবর। এর জন্য অবশ্য বাঁহাতি পেসারের কাছ থেকে একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য লিটনের। কারণ পাখির মতো বাঁ দিকে লাফ দিয়ে বাবরের ক্যাচটা তালুবন্দী না করলে শরীফুলের স্বপ্নপূরণের অপেক্ষা হয়তো আরও দীর্ঘ হতো।
১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে এ সময় প্রথম ইনিংসে ধুঁকছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে স্বাগতিকদের ঢাল হয়ে দাঁড়ান দুই বাঁহাতি ব্যাটার সাইম আইয়ুব ও সৌদ শাকিল। চতুর্থ উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন দুজনে। দলকে ম্যাচে ফেরানোর পথে ফিফটিও পেয়েছেন দুজনে। ৫৬ রানে সাইমকে আউট করে বাংলাদেশের দীর্ঘ সময়ের উইকেট-খরা কাটান শুরুতে উইকেট এনে দেওয়া হাসান। দলীয় ১১৪ রানের সময় পাকিস্তানের ওপেনারকে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানান তিনি।
সতীর্থ আউট হলেও ৫৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন শাকিল। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ২৪ রান করা উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রানের অপরাজিত জুটি গড়া দুই ব্যাটার আগামীকাল আবারও দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। সমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ও হাসান।
ঠিকানা/এনআই