
আফ্রিকার কিছু অংশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়লেও বাংলাদেশে এখনো এর কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে, দেশে ইতিমধ্যে ‘মাঙ্কিপক্স’ রোগের সংক্রমণ নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে। বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতার পাশাপাশি মেডিক্যাল টিমও গঠন করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে আমাদেরকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে।
এরই মধ্যে এমপক্সের প্রাদুর্ভাবকে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংক্রামক এই রোগে ইতিমধ্যে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের অন্তত ৪৫০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স। এই মহাদেশের বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, কেনিয়া ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে ইউরোপের সুইডেন ও এশিয়ার পাকিস্তানেও। সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দ্য আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫০০ মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে।
পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের হার বেড়েছে ১৬০ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৯ শতাংশ। ফলে ভাইরাসটির উচ্চ মৃত্যুহার নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।
যেভাবে ছড়ায়
মাঙ্কিপক্স নামটা শুনে বানরের কথা মনে হলেও ভাইরাসটি আসলে সংক্রমিত হয় ইঁদুর, বন্যকুকুর, কাঠবিড়ালি, বানর ও খরগোশের শরীর থেকে। সর্বপ্রথম এটি একটি বানরের শরীরে আবিষ্কার হয় বলে এমন নামকরণ। ত্বকের ফোসকা সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা দেওয়ার এক থেকে চার দিন আগে থেকেই অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে। এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুরা।
এ রোগ থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখার উপায়
আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকা। আক্রান্ত ব্যক্তি এবং সেবা প্রদানকারী উভয়ে মাস্ক ব্যবহার করা। সাবান পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া (৩০ সেকেন্ড ধরে)। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস যেমন :সাবান, জীবাণুনাশক, ডিটারজেন্ট দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা। আক্রান্ত বন্যপ্রাণী অথবা ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, খরগোশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা। তবে সাধারণত গৃহপালিত প্রাণী গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, মহিষ থেকে এ রোগ ছড়ায় না।
ঠিকানা/এসআর
এরই মধ্যে এমপক্সের প্রাদুর্ভাবকে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংক্রামক এই রোগে ইতিমধ্যে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের অন্তত ৪৫০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স। এই মহাদেশের বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, কেনিয়া ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে ইউরোপের সুইডেন ও এশিয়ার পাকিস্তানেও। সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দ্য আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫০০ মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে।
পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের হার বেড়েছে ১৬০ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৯ শতাংশ। ফলে ভাইরাসটির উচ্চ মৃত্যুহার নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।
যেভাবে ছড়ায়
মাঙ্কিপক্স নামটা শুনে বানরের কথা মনে হলেও ভাইরাসটি আসলে সংক্রমিত হয় ইঁদুর, বন্যকুকুর, কাঠবিড়ালি, বানর ও খরগোশের শরীর থেকে। সর্বপ্রথম এটি একটি বানরের শরীরে আবিষ্কার হয় বলে এমন নামকরণ। ত্বকের ফোসকা সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা দেওয়ার এক থেকে চার দিন আগে থেকেই অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে। এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুরা।
এ রোগ থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখার উপায়
আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকা। আক্রান্ত ব্যক্তি এবং সেবা প্রদানকারী উভয়ে মাস্ক ব্যবহার করা। সাবান পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া (৩০ সেকেন্ড ধরে)। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস যেমন :সাবান, জীবাণুনাশক, ডিটারজেন্ট দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা। আক্রান্ত বন্যপ্রাণী অথবা ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, খরগোশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা। তবে সাধারণত গৃহপালিত প্রাণী গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, মহিষ থেকে এ রোগ ছড়ায় না।
ঠিকানা/এসআর