ঠিকানা পরিবারে যুক্ত হলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন

প্রকাশ : ১৬ অগাস্ট ২০২৪, ১০:৪৬ , অনলাইন ভার্সন
তুমুল জনপ্রিয় সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন বিশ্বখ্যাত জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে ছেড়ে যোগ দিয়েছেন রিভারটেল ও ঠিকানা পরিবারে। ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ঠিকানা পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ঠিকানার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন, রিভারটেলের সিইও রুহিন হোসেন এবং ঠিকানার ভাইস চেয়ারম্যান ও সিওও মুশরাত শাহীন অনুভা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত এবং বহির্বিশ্বে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা সংবাদপত্র ঠিকানা দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশি কমিউনিটি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে ঠিকানার অনলাইন ভার্সন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু রয়েছে। অন্যদিকে, রিভারটেল হলো যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি মালিকানাধীন মোবাইল টেলিকম কোম্পানি। খালেদ মুহিউদ্দীনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা প্রতিষ্ঠান দুটির সুনাম বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা দৃঢ় আশাবাদী।

দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে খালেদ মুহিউদ্দীন গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, উপস্থাপক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। ঠিকানা ও রিভারটেলে যোগদানের আগে তিনি জার্মানভিত্তিক মিডিয়া ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি বাংলা ভাষায় অন্যতম জনপ্রিয় টক শো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ সঞ্চালনা করতেন। নিরপেক্ষ ও নির্ভীক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন একজন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক। বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে প্রবাসেও তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে সাংবাদিকতা করছেন। অকুতোভয় ও নির্ভীক সাংবাদিকতার জন্য খালেদ মুহিউদ্দীন নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।

কর্মজীবনের শুরুতেই খালেদ মুহিউদ্দীন যোগ দেন বাংলাদেশের শীর্ষ জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোতে। তিনি দৈনিক প্রথম আলোর নগর পাতার সম্পাদক এবং পত্রিকাটির সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে আইন আদালত এবং খনিজ সম্পদ বিষয়ে প্রতিবেদন করতেন। এছাড়া প্রথম আলোর ‘ঢাকায় থাকি’ পাতার পরিকল্পনা ও সম্পাদনায় নিযুক্ত ছিলেন। খালেদ মুহিউদ্দীন কিছুদিন বেসরকারি অনলাইন সংবাদপত্র বিডিনিউজ২৪-এ বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাংবাদিকতা দিয়ে তার পেশা শুরু হলেও খালেদ মুহিউদ্দীন কয়েক মাস বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের বিসিএস পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে তিনি সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পান। ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন মাত্র ১০০ দিন। তবে সাংবাদিকতা ও লেখালেখির প্রতি প্রবল ভালোবাসার কারণে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে আবার ফিরে আসেন সাংবাদিকতায়।

খালেদ মুহিউদ্দীন ২০১১ সালে যোগ দেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে। সেখানে সাত বছর তিনি নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এই চ্যানেলেরই জনপ্রিয় টক শো ‘আজকের বাংলাদেশ’-এর উপস্থাপনা করেছেন খালেদ মুহিউদ্দীন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ভীক সাংবাদিক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে বই লেখাসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার পদচারণা রয়েছে। খালেদ মুহিউদ্দীনের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা নয়টি। এর মধ্যে অধ্যাপক এ এস এম আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যৌথভাবে লেখা ‘যোগাযোগের ধারণা’ এবং ‘যোগাযোগের তথ্য’ শিরোনামের দুটি বই রয়েছে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয়।
খালেদ মুহিউদ্দীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতার ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এরপর তিনি যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান এবং সেখানে ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
খালেদ মুহিউদ্দীন ১৯৭৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২০০১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএফসি ব্যাংক কর্মকর্তা ফারহানা শাওনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির রয়েছে এক কন্যাসন্তান।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078