লেখালেখি করা নিয়ে কথাগুলো আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। আপনি যদি একজন লেখক হন, তাহলে তো আরও বেশি ভালো লাগবে। কারণ এখানে লেখকদের নিয়েই অনেক কথা বলা হয়েছে। লেখক হতে হলে লেখালেখি করার দরকার হয়। আর লেখালেখি করতে হলে মনের ইচ্ছা থাকার দরকার হয়। আসুন আমরা এই লেখালেখি নিয়ে কিছু সুন্দর সুন্দর কথা পড়ে ফেলি। আর এগুলো অনুপ্রেরণামূলক কথা, যা আপনার জীবনের পাথেয় হয়ে থাকতে পারে।
একজন পেশাদার লেখক এমন একজন কর্মী, যিনি কখনো কোথাও থামেন না। বিনা বেতনে অনেক পরিশ্রমে চালিয়ে যান তার লেখার মসি। আমি তখনই লিখি, যখন আমি অনুপ্রেরণা পাই, তাই আমি দেখতে পাই যে আমি প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকেই অনুপ্রাণিত হতে থাকি সারা দিন এমনকি দিনরাতব্যাপী। আপনি যদি লেখক হতে চান, তবে আপনাকে অবশ্যই অন্যদের চেয়ে দুটি কাজ বেশি করতে হবে, আর তা হলো প্রচুর পড়ুন এবং প্রচুর লিখুন। আমি বুঝি একজন লেখক যখন জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে, তখনো সে লেখে।
জীবনের প্রতিটি দিন লেখালেখি করুন, প্রচুর পড়ুন, তারপর দেখুন কী হয়। যদি ডাক্তার আমাকে বলতেন আমার বেঁচে থাকার জন্য মাত্র ১০ মিনিট আছে, তবে আমি উদ্বিগ্ন হব না। আমি একটু দ্রুত টাইপ করব। আমার দেখামতে প্রত্যেক লেখকের, লেখার সময় সমস্যায় পড়তে হয় তথ্য-উপাত্ত, পাঠকদের গ্রহণযোগ্যতা ও আলোচনা-সমালোচনা ভেবে। সৃষ্টিকর্তা ভালো কিছু লেখার জন্য সবকিছু স্মরণ করিয়ে দেন। বেশির ভাগ মানুষ ভুলে যেতে চায় তার বেদনাদায়ক বা বিব্রতকর বা নির্বোধ জিনিসগুলো। তবে আপনি ভুলে যাবেন না। আমি এগুলোকে এমন একটি গল্পে পরিণত করি, যা আমাকে সত্যকে সত্য মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সুযোগ করে দেয়।
কীভাবে লিখতে হয় তার সঠিক কোনো নিয়ম নেই। কখনো কখনো এটি সহজে এবং নিখুঁতভাবে আসে, কখনো কখনো এটি শক্ত শিলার মতো হয়ে আসে। তা যেমনটাই আসুক, আপনি লেখা চালিয়ে যাবেন। দেখবেন আপনি যা লিখেছেন, পরবর্তী সময়ে আপনার নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হবে যে, এসব আপনি নিজেই লিখেছেন। তাই লেখা চালিয়ে যাবেন, লেখা অভ্যাসে পরিণত করবেন। শুনলে অবাক হবেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক লিখেছেন, তবে তার আত্মজীবনীতে বলেছেন তিনি প্রতিদিন চার পৃষ্ঠা করে লিখেছেন, এর বেশি কখনোই লেখেননি, তবে এর চেয়ে কমও তিনি লেখেননি, আর তা ছিল নিয়মিত প্রতিদিন। কারণ লেখাটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।
উপন্যাস লেখার জন্য তিনটি নিয়ম রয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে, অনেকে জানেন না সেই বিষয়গুলো কী। লেখক হিসেবে আপনার তিনটি জিনিস থাকতে হবে, তা হলো পরিচালনা, শৃঙ্খলা ও ইচ্ছা। যদি আপনি এই তিনটির মধ্যে কোনো একটি হারিয়ে ফেলেন, আপনার কাছে বিশ্বের সমস্ত প্রতিভা থাকতে পারে, তবে যেকোনো কিছু করাই কঠিন হয়ে যাবে। আমি প্রতিদিন কিছুটা সময় লেখালেখি করার চেষ্টা করি, সপ্তাহে ৫ দিন। কখনো কখনো একটি নিয়ম ভাঙা কোনো নিয়মের চেয়ে ভালো।
লেখার চেয়ে ভালো আর কোনো শিক্ষক নেই...লাইব্রেরির একটি কার্ড রাখুন। এটিই সেরা বিনিয়োগ। একজন লেখক এমন এক ব্যক্তি, যার পক্ষে নিজের জন্য লেখার চেয়ে অন্যের জন্য লেখা কঠিন। তাই নিজের জন্যই লিখুন। আপনি যদি একটি গল্প লেখেন, তবে এটি খারাপ হতে পারে। আপনি যদি ১০০টিও গল্প লেখেন তবু মতবিভেদ থাকবে। আপনি যদি লেখার জন্য অনুপ্রেরণা পাওয়ার অপেক্ষা করেন, তাহলে আপনি লেখক নন, আপনি হলেন ওয়েটার। যদি এমন কোনো বই থাকে, যা আপনি পড়তে চান, তবে এটি এখনো লেখা হয়নি। তবে আপনাকে অবশ্যই এই বইটি লিখতে হবে।
যে বইটি লিখতে মন চায়, তা লিখে ফেলুন। বইটি যদি বড়দের জন্য লেখা খুব কঠিন হয়ে যায়, তবে আপনি এটি শিশুদের জন্য লিখুন। আপনার কাছে যদি পড়ার সময় না থাকে, তবে আপনার কাছে লেখার সময়ও নেই। সোজা ও সহজ হিসাব। আমরা লেখার মাধ্যমে জীবনের স্বাদ দুবার নিতে পারি, একটা হলো বর্তমান মুহূর্তের স্বাদ, আরেকটি হলো অতীতের স্বাদ। আর এ দুটো পেয়ে গেলে দেখবেন তৃতীয় স্বাদও পেয়ে যাবেন, আর সেটা হলো ভবিষ্যৎ স্বাদ। লেখকের অশ্রু নেই, পাঠকের অশ্রু নেই। লেখকের মধ্যে কোনো আশ্চর্যের বিষয় নেই, পাঠকের মধ্যেও কোনো আশ্চর্যের বিষয় নেই।
আমি একজন লেখক হিসেবে চাইব, বস্তুনিষ্ঠ লেখায় সবাই এগিয়ে আসুক। তবে বস্তুনিষ্ঠ লিখতে চাইলে নিজেকে বস্তুনিষ্ঠ পাঠক হওয়া বাঞ্ছনীয়। আর লেখকগণই পারেন অতীত ও বর্তমান থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ লিখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উদ্দীপন করে রাখতে। আপনি আমি যদি না লেখি, তাহলে এ ধরণির কাছে ঋণী হয়ে থাকব বলে মনে করি। আসুন কিছু পাওয়ার জন্য নয়, কিছুটা ঋণ পরিশোধ দেওয়ার জন্য যা জানি যা বুঝি সেখান থেকেই লেখা শুরু করি। আর লেখার সমৃদ্ধি আস্তে আস্তে হয়েই যাবে।
আগামী দু-তিন প্রজন্মের পরে সবাই আমাদের ভুলে যাবে। আর কেউই আপনাকে আমাকে মনে রাখবে না। তবে আপনার আমার লেখা শুধু যুগের সাক্ষী হয়ে নয়, বরং শত সহস্রাধিক যুগের সাক্ষী হয়ে বেঁচে থাকবে। এক অমরত্ব নিয়ে আপনি আমি বেঁচে থাকব এই ধরণিতে। আসুন, সবাই আজ থেকেই লেখায় মনোনিবেশ করি। একটি সুস্থ সবল মানবসভ্যতা গড়ে তুলি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে তুলে দিয়ে যাই একটি নিখুঁত সভ্যতায় উন্মাদনার ঝান্ডা।
একজন পেশাদার লেখক এমন একজন কর্মী, যিনি কখনো কোথাও থামেন না। বিনা বেতনে অনেক পরিশ্রমে চালিয়ে যান তার লেখার মসি। আমি তখনই লিখি, যখন আমি অনুপ্রেরণা পাই, তাই আমি দেখতে পাই যে আমি প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকেই অনুপ্রাণিত হতে থাকি সারা দিন এমনকি দিনরাতব্যাপী। আপনি যদি লেখক হতে চান, তবে আপনাকে অবশ্যই অন্যদের চেয়ে দুটি কাজ বেশি করতে হবে, আর তা হলো প্রচুর পড়ুন এবং প্রচুর লিখুন। আমি বুঝি একজন লেখক যখন জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে, তখনো সে লেখে।
জীবনের প্রতিটি দিন লেখালেখি করুন, প্রচুর পড়ুন, তারপর দেখুন কী হয়। যদি ডাক্তার আমাকে বলতেন আমার বেঁচে থাকার জন্য মাত্র ১০ মিনিট আছে, তবে আমি উদ্বিগ্ন হব না। আমি একটু দ্রুত টাইপ করব। আমার দেখামতে প্রত্যেক লেখকের, লেখার সময় সমস্যায় পড়তে হয় তথ্য-উপাত্ত, পাঠকদের গ্রহণযোগ্যতা ও আলোচনা-সমালোচনা ভেবে। সৃষ্টিকর্তা ভালো কিছু লেখার জন্য সবকিছু স্মরণ করিয়ে দেন। বেশির ভাগ মানুষ ভুলে যেতে চায় তার বেদনাদায়ক বা বিব্রতকর বা নির্বোধ জিনিসগুলো। তবে আপনি ভুলে যাবেন না। আমি এগুলোকে এমন একটি গল্পে পরিণত করি, যা আমাকে সত্যকে সত্য মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সুযোগ করে দেয়।
কীভাবে লিখতে হয় তার সঠিক কোনো নিয়ম নেই। কখনো কখনো এটি সহজে এবং নিখুঁতভাবে আসে, কখনো কখনো এটি শক্ত শিলার মতো হয়ে আসে। তা যেমনটাই আসুক, আপনি লেখা চালিয়ে যাবেন। দেখবেন আপনি যা লিখেছেন, পরবর্তী সময়ে আপনার নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হবে যে, এসব আপনি নিজেই লিখেছেন। তাই লেখা চালিয়ে যাবেন, লেখা অভ্যাসে পরিণত করবেন। শুনলে অবাক হবেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক লিখেছেন, তবে তার আত্মজীবনীতে বলেছেন তিনি প্রতিদিন চার পৃষ্ঠা করে লিখেছেন, এর বেশি কখনোই লেখেননি, তবে এর চেয়ে কমও তিনি লেখেননি, আর তা ছিল নিয়মিত প্রতিদিন। কারণ লেখাটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।
উপন্যাস লেখার জন্য তিনটি নিয়ম রয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে, অনেকে জানেন না সেই বিষয়গুলো কী। লেখক হিসেবে আপনার তিনটি জিনিস থাকতে হবে, তা হলো পরিচালনা, শৃঙ্খলা ও ইচ্ছা। যদি আপনি এই তিনটির মধ্যে কোনো একটি হারিয়ে ফেলেন, আপনার কাছে বিশ্বের সমস্ত প্রতিভা থাকতে পারে, তবে যেকোনো কিছু করাই কঠিন হয়ে যাবে। আমি প্রতিদিন কিছুটা সময় লেখালেখি করার চেষ্টা করি, সপ্তাহে ৫ দিন। কখনো কখনো একটি নিয়ম ভাঙা কোনো নিয়মের চেয়ে ভালো।
লেখার চেয়ে ভালো আর কোনো শিক্ষক নেই...লাইব্রেরির একটি কার্ড রাখুন। এটিই সেরা বিনিয়োগ। একজন লেখক এমন এক ব্যক্তি, যার পক্ষে নিজের জন্য লেখার চেয়ে অন্যের জন্য লেখা কঠিন। তাই নিজের জন্যই লিখুন। আপনি যদি একটি গল্প লেখেন, তবে এটি খারাপ হতে পারে। আপনি যদি ১০০টিও গল্প লেখেন তবু মতবিভেদ থাকবে। আপনি যদি লেখার জন্য অনুপ্রেরণা পাওয়ার অপেক্ষা করেন, তাহলে আপনি লেখক নন, আপনি হলেন ওয়েটার। যদি এমন কোনো বই থাকে, যা আপনি পড়তে চান, তবে এটি এখনো লেখা হয়নি। তবে আপনাকে অবশ্যই এই বইটি লিখতে হবে।
যে বইটি লিখতে মন চায়, তা লিখে ফেলুন। বইটি যদি বড়দের জন্য লেখা খুব কঠিন হয়ে যায়, তবে আপনি এটি শিশুদের জন্য লিখুন। আপনার কাছে যদি পড়ার সময় না থাকে, তবে আপনার কাছে লেখার সময়ও নেই। সোজা ও সহজ হিসাব। আমরা লেখার মাধ্যমে জীবনের স্বাদ দুবার নিতে পারি, একটা হলো বর্তমান মুহূর্তের স্বাদ, আরেকটি হলো অতীতের স্বাদ। আর এ দুটো পেয়ে গেলে দেখবেন তৃতীয় স্বাদও পেয়ে যাবেন, আর সেটা হলো ভবিষ্যৎ স্বাদ। লেখকের অশ্রু নেই, পাঠকের অশ্রু নেই। লেখকের মধ্যে কোনো আশ্চর্যের বিষয় নেই, পাঠকের মধ্যেও কোনো আশ্চর্যের বিষয় নেই।
আমি একজন লেখক হিসেবে চাইব, বস্তুনিষ্ঠ লেখায় সবাই এগিয়ে আসুক। তবে বস্তুনিষ্ঠ লিখতে চাইলে নিজেকে বস্তুনিষ্ঠ পাঠক হওয়া বাঞ্ছনীয়। আর লেখকগণই পারেন অতীত ও বর্তমান থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ লিখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উদ্দীপন করে রাখতে। আপনি আমি যদি না লেখি, তাহলে এ ধরণির কাছে ঋণী হয়ে থাকব বলে মনে করি। আসুন কিছু পাওয়ার জন্য নয়, কিছুটা ঋণ পরিশোধ দেওয়ার জন্য যা জানি যা বুঝি সেখান থেকেই লেখা শুরু করি। আর লেখার সমৃদ্ধি আস্তে আস্তে হয়েই যাবে।
আগামী দু-তিন প্রজন্মের পরে সবাই আমাদের ভুলে যাবে। আর কেউই আপনাকে আমাকে মনে রাখবে না। তবে আপনার আমার লেখা শুধু যুগের সাক্ষী হয়ে নয়, বরং শত সহস্রাধিক যুগের সাক্ষী হয়ে বেঁচে থাকবে। এক অমরত্ব নিয়ে আপনি আমি বেঁচে থাকব এই ধরণিতে। আসুন, সবাই আজ থেকেই লেখায় মনোনিবেশ করি। একটি সুস্থ সবল মানবসভ্যতা গড়ে তুলি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে তুলে দিয়ে যাই একটি নিখুঁত সভ্যতায় উন্মাদনার ঝান্ডা।