
দেশের ভেতর কেন রাজনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি ৮৪ হাজার কোটি টাকা? আমরা কোটা ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার দাবিতে ১ মাস আন্দোলন করলাম। ৪ সপ্তাহে ক্ষতি হয়ে গেল ৮৪x৭=৫৮৮, অর্থাৎ ৫৮৮ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায় থাকে, তারাই এই ক্ষতির হিসাবটা করে থাকে। ক্ষমতায় যারা থাকে, তারা চিৎকার করে বিশ্ববাসীকে জানান দেয় বিরোধী দলের মানুষেরা কত বিধ্বংসী। আর যারা বিরোধী দলে থাকে, তারা বিশ্ববাসীকে বোঝাতে চায়, সরকারি দল কত নিষ্ঠুর। এত এত মানুষ মরে, এত এত সম্পদ ধ্বংস হয়, তবু সরকার এবং সরকারি বিভিন্ন বাহিনীর নিষ্ঠুরতা কমে না। বর্তমানে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে। সরকারি হিসাবেই মৃতের সংখ্যা ১৮৭ জন। সরকারি হিসাবের বাইরে আর কতজন কে জানে! আহত শত শত। হাসপাতালসমূহে জায়গা নেই চিকিৎসার জন্য। আর আন্দোলন যেহেতু দেশজুড়ে, তাই দেশের কোনো জায়গাতেই ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই ভাব। নিজের বাবা-মা, কিংবা যেই হোক না কেন, তাদের চিকিৎসার জন্য দৌড়াদৌড়ি, ছোটাছুটি অনাত্মীয় মানুষের মনকেও ভিজিয়ে তুলছে। ১৯৫২ সালে ভাষার দাবিতে ছাত্ররা যে আন্দোলনে নেমেছিল, সে আন্দোলনেও এত মানুষের জীবন দিতে হয়নি। এত ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। সমগ্র দেশে ভয় ছড়িয়ে পড়েনি। কোটা আন্দোলনে বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা এখনো কাটিয়ে ওঠা সকলের পক্ষে সম্ভব হয়নি। সরবরাহের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব না হওয়ায় এখনো বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এখনো মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসেনি। এতে ১ সপ্তাহে ক্ষতি হয়েছে ৮৪ কোটি টাকা।
সরকার প্রতিদিন ১ হাজার কোটি টাকা করে পাচ্ছে না। ফলে সরকারি আয় কমে যাচ্ছে। আকস্মিক ছাত্র আন্দোলন যেমন অতীতে এমনটা কখনো হয়নি, আন্দোলন মোকাবিলাও এতটা কঠোরভাবে হয়নি। আসলে বাংলাদেশের মানুষ এমন আন্দোলন অতীতেও কখনো দেখেনি। সরকার শুধু তার জেদটুকু পরিহার করলেই এ আন্দোলন এড়িয়ে যাওয়া যেত।
সরকার প্রতিদিন ১ হাজার কোটি টাকা করে পাচ্ছে না। ফলে সরকারি আয় কমে যাচ্ছে। আকস্মিক ছাত্র আন্দোলন যেমন অতীতে এমনটা কখনো হয়নি, আন্দোলন মোকাবিলাও এতটা কঠোরভাবে হয়নি। আসলে বাংলাদেশের মানুষ এমন আন্দোলন অতীতেও কখনো দেখেনি। সরকার শুধু তার জেদটুকু পরিহার করলেই এ আন্দোলন এড়িয়ে যাওয়া যেত।